A
ভারসাই চুক্তি, ১৯১৯
B
ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি, ১৬৪৮
C
প্যারিস চুক্তি, ১৭৮৩
D
লুজান চুক্তি, ১৯২৩
উত্তরের বিবরণ
ত্রিশ বছরব্যাপী যুদ্ধ ইউরোপে ধর্মকেন্দ্রিক সংঘাতের শেষ বড় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। এই যুদ্ধ প্রাথমিকভাবে প্রোটেস্টান্ট জার্মানির উপর অস্ট্রিয়ান হ্যাপসবার্গদের প্রভাব অক্ষুন্ন রাখা, ডেনমার্কের রাজার উচ্চাভিলাষ, বাল্টিক অঞ্চলে সুইডেনের একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার এবং হ্যাপসবার্গদের পরাজিত করে ফ্রান্সকে ইউরোপের প্রধান শক্তিতে পরিণত করা নিয়ে সংঘটিত হয়। এছাড়া, ধর্মান্ধতা, স্বার্থপরতা, ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খা এবং প্রাধান্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা ইউরোপের সকল দেশকে এই যুদ্ধে টেনে নেয়। দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে এই যুদ্ধে সমগ্র জার্মানি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
-
যুদ্ধ প্রলম্বিত হওয়ার মূল কারণগুলোর মধ্যে ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াই এবং ধর্মীয় আধিপত্যের প্রতিযোগিতা।
-
ইউরোপের বৃহৎ অংশ এই সংঘাতের কারণে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
ত্রিশ বছরের এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অবসান ঘটাতে ১৬৪৮ সালে ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি সম্পাদিত হয়।
-
১৬৪৮ সালের ২৪ অক্টোবর, ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ ত্রিশ বছরব্যাপী ধর্মসংক্রান্ত যুদ্ধের অবসান ঘটে।
-
এই চুক্তি ইউরোপে শান্তির জন্য প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
-
ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি ইউরোপকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নিয়ে আসে।
-
এই চুক্তির নির্ধারিত ভূ-খণ্ডগত সীমানা নেপোলিয়নের যুগ পর্যন্ত বহাল থাকে।

0
Updated: 19 hours ago
'উইঘুর' হলো-
Created: 3 weeks ago
A
চীনের একটি খাবারের নাম
B
চীনের একটি ধর্মীয় স্থানের নাম
C
চীনের একটি শহরের নাম
D
চীনের একটি সম্প্রদায়ের নাম
উইঘুর ও জিনজিয়াং
-
উইঘুর: চীনের একটি মুসলিম সম্প্রদায়।
-
জিনজিয়াং প্রদেশ:
-
চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
-
রাজধানী হলো উরুমকি।
-
এখানে উইঘুর এবং হানা সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে।
-
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
১৯৪৯ সালের আগে জিনজিয়াং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল, যার নাম ছিল পূর্ব তুর্কিস্থান।
-
স্বাধীনতা হারানোর পর চীনা কমিউনিস্ট সরকার দ্বারা এখানকার মুসলিমদের উপর কঠোর দমন চালানো হচ্ছে।
-
-
বর্তমান পরিস্থিতি:
-
পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র বা "বন্দিশিবিরে" প্রায় ১২ লাখ উইঘুর মুসলিম আটক রয়েছেন।
-
এই কারণে জিনজিয়াংকে প্রায়ই “পৃথিবীর বৃহত্তম কারাগার” বলা হয়।
-
রোহিঙ্গাদের পরে উইঘুররা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে পড়ে।
-
তথ্যসূত্র: Amnesty International, Human Rights Watch, ব্রিটানিকা, Council on Foreign Relations (CFR) ও অন্যান্য অনলাইন সূত্র।

0
Updated: 3 weeks ago
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী প্রধান মুসলিম সম্প্রদায়ের নাম কি?
Created: 2 weeks ago
A
তুর্কমেন
B
উইঘুর
C
তাজিক
D
কাজাখ
উইঘুর জাতি
উইঘুররা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী তুর্কি বংশোদ্ভুত মুসলিম সম্প্রদায়।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য জাতি ও উপজাতি:
-
কুর্দি: পশ্চিম এশিয়ার কুর্দিস্তানের পার্বত্য অঞ্চলের ইরানি বংশোদ্ভুত জাতি। দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক, উত্তর-পশ্চিম ইরান, উত্তর ইরাক ও উত্তর সিরিয়ায় বসবাস।
-
মাউরি: নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী জাতি।
-
তাতার: তুর্কি বংশোদ্ভুত উপজাতি, মূলত ইউরোপ ও এশিয়ায় বাস।
-
কারেন: মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী স্বাধীনতাকামী উপজাতি।
-
গুর্খা: নেপালের যোদ্ধা জাতি।
-
টোডা: দক্ষিণ ভারতের উপজাতি, যারা বহুস্বামী বিবাহ প্রথা মেনে চলে।
-
পশতুন: আফগানিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি।
-
এক্সিমো: সাইবেরিয়া, রাশিয়ায় বসবাসকারী উপজাতি, কুকুরচালিত স্লেজ ব্যবহার করে।
-
পিগমি: পৃথিবীর সবচেয়ে খর্বাকৃতির উপজাতি।
-
জুলু: দক্ষিণ আফ্রিকার নিগ্রো জাতি।
-
রেড ইন্ডিয়ান: আমেরিকার আদিবাসী জনগণ।
-
আফ্রিদি: পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বসবাসকারী পশতুন নৃগোষ্ঠী।
উৎস: Britannica

0
Updated: 2 weeks ago
'আরব বসন্ত' বলতে কী বুঝায়?
Created: 3 weeks ago
A
আরবের বিভিন্ন দেশে গণজাগরণ
B
আরব অঞ্চলে বসন্তকাল
C
আরব রাজতন্ত্র
D
আরবীয় মহিলাদের ক্ষমতায়ন
আরব বসন্ত
আরব বসন্ত হলো আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনগণের গণজাগরণের আন্দোলন। এটি ২০১০ সালের শেষের দিকে শুরু হয়, যখন সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এই আন্দোলনের ফলে বহু দেশেই দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসকরা ক্ষমতাচ্যুত হন। আরব বসন্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং আঞ্চলিক মিডিয়ার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূচনা ও বিস্তার:
আরব বসন্তের সূচনা হয় তিউনিসিয়ায়, যা উত্তর আফ্রিকার একটি দেশ। ২০১০–২০১১ সালে এই আন্দোলনের ঢেউ মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশ হলো:
-
মিশর: প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক ক্ষমতাচ্যুত হন।
-
লিবিয়া: মুয়াম্মর আল-গাদ্দাফির শাসনকাল শেষ হয়।
-
এছাড়াও সিরিয়া, ইয়েমেন, বাহরাইন ও অন্যান্য দেশে আন্দোলন চলে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে এই আন্দোলনের প্রভাবও ছিল বড়। প্রায় পৌনে দুই বছরের মধ্যে শুধু ছয়টি দেশেই (লিবিয়া, সিরিয়া, মিশর, তিউনিসিয়া, বাহরাইন ও ইয়েমেন) মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২,০৫৬ কোটি ডলার।
উৎস: Britannica

0
Updated: 3 weeks ago