কোথায় শেনজেন (Schengen) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
A
১৯৯৫ সালে ডেনমার্কে
B
১৯৮৪ সালে বেলজিয়ামে
C
১৯৮৫ সালে লুক্সেমবার্গে
D
১৯৯৬ সালে হাঙ্গেরিতে
উত্তরের বিবরণ
শেনজেন চুক্তি হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ব্যক্তিদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করে। চুক্তিটি ১৯৮৫ সালে স্বাক্ষরিত হয় এবং লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরেই স্বাক্ষর করা হয়। ১৯৯৫ সালের ২৬ মার্চ চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইউরোপে ভিসামুক্ত যাত্রা শুরু হয়।
-
শেনজেনভুক্ত দেশ সংখ্যা: ২৯টি।
-
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি ২৫টি দেশ এবং ইইউর বাইরে চারটি দেশ—সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, লিচেনস্টাইন—ও শেনজেন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
-
সর্বশেষ শেনজেন অঞ্চলে যুক্ত হয়েছে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া, যা ২০২৪ সালের মার্চে কার্যকর হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম রাষ্ট্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ইরাক
B
চীন
C
রাশিয়া
D
পাকিস্তান
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম রাষ্ট্র হলো রাশিয়া। এই স্বীকৃতি সাম্প্রতিক বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।
-
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানকে বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
এর ফলে রাশিয়া হলো প্রথম দেশ, যারা সরাসরি তালেবান সরকারের বৈধতা মেনে নিল।
-
২০২৪ সালের জুলাইয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে “সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের মিত্র” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
-
এর আগে এপ্রিল মাসে রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট তালেবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা তুলে নেয়।
তালেবানের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট:
-
তালেবান গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে সোভিয়েত দখলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়।
-
১৯৯৬ সালে তারা কাবুল দখল করে শাসন শুরু করে।
-
১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা চালায় এবং সেই বছরের শেষ দিকে তালেবান সরকারকে উৎখাত করে।
-
পরবর্তী ২০ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তানের সামরিক নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
-
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে।
-
২০২১ সালে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবান পুনরায় কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আবার ক্ষমতায় আসে।
-
দীর্ঘ চার দশকের যুদ্ধ (১৯৭৯-২০২১) শেষে তালেবান সরকার এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর কোনো দেশ তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে এ সময় থেকে রাশিয়া ধীরে ধীরে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে।
-
যদিও স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান এবং পাকিস্তান ইতোমধ্যে কাবুলে তাদের রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছে, যা স্বীকৃতির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে ধরা হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোন চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপের “Thirty years’ war” এর সমাপ্তি ঘটে?
Created: 1 month ago
A
ভারসাই চুক্তি, ১৯১৯
B
ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি, ১৬৪৮
C
প্যারিস চুক্তি, ১৭৮৩
D
লুজান চুক্তি, ১৯২৩
ত্রিশ বছরব্যাপী যুদ্ধ ইউরোপে ধর্মকেন্দ্রিক সংঘাতের শেষ বড় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। এই যুদ্ধ প্রাথমিকভাবে প্রোটেস্টান্ট জার্মানির উপর অস্ট্রিয়ান হ্যাপসবার্গদের প্রভাব অক্ষুন্ন রাখা, ডেনমার্কের রাজার উচ্চাভিলাষ, বাল্টিক অঞ্চলে সুইডেনের একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার এবং হ্যাপসবার্গদের পরাজিত করে ফ্রান্সকে ইউরোপের প্রধান শক্তিতে পরিণত করা নিয়ে সংঘটিত হয়। এছাড়া, ধর্মান্ধতা, স্বার্থপরতা, ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খা এবং প্রাধান্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা ইউরোপের সকল দেশকে এই যুদ্ধে টেনে নেয়। দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে এই যুদ্ধে সমগ্র জার্মানি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
-
যুদ্ধ প্রলম্বিত হওয়ার মূল কারণগুলোর মধ্যে ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াই এবং ধর্মীয় আধিপত্যের প্রতিযোগিতা।
-
ইউরোপের বৃহৎ অংশ এই সংঘাতের কারণে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
ত্রিশ বছরের এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অবসান ঘটাতে ১৬৪৮ সালে ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি সম্পাদিত হয়।
-
১৬৪৮ সালের ২৪ অক্টোবর, ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ ত্রিশ বছরব্যাপী ধর্মসংক্রান্ত যুদ্ধের অবসান ঘটে।
-
এই চুক্তি ইউরোপে শান্তির জন্য প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
-
ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি ইউরোপকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নিয়ে আসে।
-
এই চুক্তির নির্ধারিত ভূ-খণ্ডগত সীমানা নেপোলিয়নের যুগ পর্যন্ত বহাল থাকে।
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা উদ্ভবের সময়কাল কোনটি?
Created: 1 month ago
A
প্রাচীন গ্রীস সময়কাল
B
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকাল
C
১৬০০-১৮০০ সাল
D
প্রাচীন রোম সময়কাল
আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা
নিকোলো ম্যাকিয়াভেলী (১৪৬৯–১৫২৭) আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার অন্যতম পুরোধা। তিনি ইতালির ফ্লোরেন্স শহরের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের বিভিন্ন উত্থান-পতনের মধ্যে, তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘দি প্রিন্স’ (১৫৩২) রচনা করেন,
যা আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার মূল বিষয়গুলোকে সংক্ষেপে উপস্থাপন করে। এছাড়া তাঁর অন্যান্য রাজনৈতিক রচনার মধ্যে ‘ডিসকোর্স’ এবং ‘দি আর্ট অব ওয়ার’ উল্লেখযোগ্য।
ম্যাকিয়াভেলীর রাষ্ট্রচিন্তার প্রভাব:
-
ইতালির রাজনৈতিক পরিস্থিতি: তখনকার সময় ইতালি ভিন্ন খণ্ডে বিভক্ত এবং রাজনৈতিকভাবে দুর্বল ছিল। ম্যাকিয়াভেলী জাতীয় চেতনায় দেশকে একত্রিত করতে এবং একটি শক্তিশালী শাসন ব্যবস্থা স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন।
-
রেনেসাঁর প্রভাব: নবজাগরণের সময়ে জন্ম নেওয়া ম্যাকিয়াভেলী রাজনৈতিক বিষয়গুলোকে ধর্মীয় ও নৈতিকতার সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করে বাস্তবসম্মত ও পৃথিবীবান্ধব দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেন।
আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার অন্যান্য তাত্ত্বিকরা: ম্যাকিয়াভেলীর পাশাপাশি থমাস হব্স, জন লক, জঁ বেদিন প্রমুখও আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামোর তাত্ত্বিক উন্নয়ন ঘটান।
ইতিহাসে প্রেক্ষাপট:
১৬০০–১৮০০ সাল ইউরোপে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে রেনেসাঁর ছোঁয়া সাহিত্য, শিল্প, বিজ্ঞান ও রাষ্ট্রচিন্তা সহ সবক্ষেত্রে পরিবর্তন আনে। সামন্ততান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গে সংঘাত এবং সামাজিক পরিবর্তনের ফলে আধুনিক রাষ্ট্রের ধারণা প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে।
উৎস: আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস, SSHL, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago