বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিনকালের ভূমিরূপসমূহ আনুমানিক কত বছর পূর্বে গঠিত হয়েছিলো?
A
২৫,০০০ বছর
B
৩২,০০০ বছর
C
২৫,০০০০ বছর
D
৩১,০০০ বছর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি তিন ভাগে ভাগ করা যায়
১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
২. প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
৩. সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
-
আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বে গঠিত
-
মাটির রং লাল ও ধূসর
-
প্রধান এলাকা: উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড়
বরেন্দ্রভূমি
-
অবস্থান: রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ
-
আয়তন: ৯,৩২০ বর্গকিমি
-
উচ্চতা: ৬–১২ মিটার সমভূমির তুলনায়
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সর্ববৃহৎ উঁচুভূমি
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়
-
অবস্থান: টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়ালের গড়
-
আয়তন: ৪,১০৩ বর্গকিমি
-
উচ্চতা: প্রায় ৩০ মিটার সমভূমির তুলনায়
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি এবং দেশের গজারী বৃক্ষের কেন্দ্র
লালমাই পাহাড়
-
অবস্থান: কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিমি পশ্চিমে লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত
-
আয়তন: ৩৪ বর্গকিমি
-
গড় উচ্চতা: ২১ মিটার
0
Updated: 1 month ago
ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
জিপিএস
B
জিআইএস
C
স্যাটেলাইট ইমেজ
D
রাডার
জিআইএস (Geographical Information System)
-
ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সংক্ষেপে জিআইএস বলা হয়।
-
জিআইএস হলো একটি সফটওয়্যারভিত্তিক পদ্ধতি, যা ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানচিত্রায়ণ ও পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে।
-
১৯৬৪ সালে কানাডায় প্রথম জিআইএস ব্যবহৃত হয়।
-
১৯৮০ সালের পর থেকে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
-
জিআইএসের মাধ্যমে একটি মানচিত্রে পানি ব্যবস্থাপনা, টপোগ্রাফি, ভূমি ব্যবহার, যোগাযোগ এবং মৃত্তিকার মতো বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা যায়।
ব্যবহার:
-
ভূমি ব্যবস্থাপনা
-
প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন
-
পানি গবেষণা
-
নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা
-
জনসংখ্যা বিশ্লেষণ
-
পরিবহন ও যোগাযোগ বিশ্লেষণ
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোথায় ল্যানোস ও প্যাম্পাস তৃণভূমি দেখা যায়?
Created: 1 month ago
A
উত্তর আমেরিকা
B
পূর্ব ইউরোপ
C
দক্ষিণ আমেরিকা
D
অস্ট্রেলিয়া
তৃণভূমি: পৃথিবীর বিস্তীর্ণ সবুজ চারণভূমি
তৃণভূমি হলো ঘাস দ্বারা আচ্ছাদিত সুবিস্তৃত ভূমি, যা সাধারণত স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠে। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত দুটি বিখ্যাত তৃণভূমি হলো ল্যানোস এবং প্যাম্পাস।
পৃথিবীজুড়ে আরও অনেক বিখ্যাত তৃণভূমি রয়েছে, যা বিভিন্ন মহাদেশের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যকে সমৃদ্ধ করেছে:
- প্রেইরি: এটি উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত একটি সুবিশাল তৃণভূমি।
- সাভানা: আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত এই তৃণভূমি নানা ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের আবাসস্থল।
- স্টেপ: পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার শুষ্ক অঞ্চলে স্টেপ তৃণভূমি দেখা যায়।
এই তৃণভূমিগুলো কেবল উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থলই নয়, বরং পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 month ago
GIS-এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 month ago
A
Geographical Identification System
B
Geographical Information System
C
Geographical Interchange System
D
Geographical Infographical System
জিআইএস হলো এমন একটি কম্পিউটার-ভিত্তিক ব্যবস্থা যা ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি স্থানিক তথ্যের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিতকরণ, মানচিত্রায়ণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে।
-
জিআইএস (Geographical Information System) হলো ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত রূপ।
-
এটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানিক এবং পারস্পরিক সমস্যা চিহ্নিত করতে সহায়ক।
-
১৯৬৪ সালে কানাডায় প্রথমবার এই কৌশলটি ব্যবহার শুরু হয়।
-
১৯৮০-এর দশক থেকে বিস্তারিত ও ব্যাপকভাবে ব্যবহার হতে শুরু করে।
-
জিআইএস বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে, যেমন:
-
ভূমি ব্যবস্থাপনা
-
প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন
-
পানি গবেষণা
-
আঞ্চলিক গবেষণা
-
নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা
-
জনসংখ্যা বিশ্লেষণ
-
পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশ্লেষণ
-
জিআইএসের মাধ্যমে স্থানিক তথ্যের দৃশ্যমানীকরণ, সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করা সম্ভব হয়। এটি আধুনিক পরিকল্পনা, গবেষণা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 1 month ago