পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়জাত ভূমির আকৃতি কেমন থাকে?
A
নদীর বাঁক
B
ভি আকৃতি
C
গিরিসংকট
D
ডি আকৃতি
উত্তরের বিবরণ
নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরূপ (Erosional Features of River)
নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে ভূ-পৃষ্ঠে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে এবং নতুন নতুন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কার্য সবচেয়ে বেশি ঘটে।
১. ভি-আকৃতি উপত্যকা (V-shaped Valley)
-
অবস্থান: পার্বত্য অঞ্চল
-
সৃষ্টি প্রক্রিয়া:
-
পার্বত্য অঞ্চলের শিলা কঠিন হওয়ায় নদীর স্রোতের গতিবেগ বেশি থাকে।
-
নদী মূলত তলদেশে বেশি ক্ষয় সাধন করে, পার্শ্ব ক্ষয় তুলনামূলকভাবে কম হয়।
-
নদীর মধ্যভাগ ক্রমশ ক্ষয়িত হয়ে ভি-আকৃতির রূপ ধারণ করে, যেমন ইংরেজি অক্ষর ‘V’।
-
-
বিস্তার:
-
সময়ের সঙ্গে পার্শ্ব ক্ষয় বৃদ্ধি পেলে উপত্যকাটি ধীরে ধীরে প্রশস্ত হয়।
-
এই প্রক্রিয়াটি প্রধানত উচ্চপথীয় নদী এবং পর্বতাঞ্চলে দেখা যায়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিনকালের ভূমিরূপসমূহ আনুমানিক কত বছর পূর্বে গঠিত হয়েছিলো?
Created: 1 month ago
A
২৫,০০০ বছর
B
৩২,০০০ বছর
C
২৫,০০০০ বছর
D
৩১,০০০ বছর
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি তিন ভাগে ভাগ করা যায়
১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
২. প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
৩. সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
-
আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বে গঠিত
-
মাটির রং লাল ও ধূসর
-
প্রধান এলাকা: উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড়
বরেন্দ্রভূমি
-
অবস্থান: রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ
-
আয়তন: ৯,৩২০ বর্গকিমি
-
উচ্চতা: ৬–১২ মিটার সমভূমির তুলনায়
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সর্ববৃহৎ উঁচুভূমি
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়
-
অবস্থান: টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়ালের গড়
-
আয়তন: ৪,১০৩ বর্গকিমি
-
উচ্চতা: প্রায় ৩০ মিটার সমভূমির তুলনায়
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি এবং দেশের গজারী বৃক্ষের কেন্দ্র
লালমাই পাহাড়
-
অবস্থান: কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিমি পশ্চিমে লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত
-
আয়তন: ৩৪ বর্গকিমি
-
গড় উচ্চতা: ২১ মিটার
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোথায় ল্যানোস ও প্যাম্পাস তৃণভূমি দেখা যায়?
Created: 1 month ago
A
উত্তর আমেরিকা
B
পূর্ব ইউরোপ
C
দক্ষিণ আমেরিকা
D
অস্ট্রেলিয়া
তৃণভূমি: পৃথিবীর বিস্তীর্ণ সবুজ চারণভূমি
তৃণভূমি হলো ঘাস দ্বারা আচ্ছাদিত সুবিস্তৃত ভূমি, যা সাধারণত স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠে। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত দুটি বিখ্যাত তৃণভূমি হলো ল্যানোস এবং প্যাম্পাস।
পৃথিবীজুড়ে আরও অনেক বিখ্যাত তৃণভূমি রয়েছে, যা বিভিন্ন মহাদেশের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যকে সমৃদ্ধ করেছে:
- প্রেইরি: এটি উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত একটি সুবিশাল তৃণভূমি।
- সাভানা: আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত এই তৃণভূমি নানা ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের আবাসস্থল।
- স্টেপ: পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার শুষ্ক অঞ্চলে স্টেপ তৃণভূমি দেখা যায়।
এই তৃণভূমিগুলো কেবল উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থলই নয়, বরং পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 month ago
গ্রিনিচ মান সময়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য কত ঘণ্টা?
Created: 1 month ago
A
৫ ঘণ্টা
B
৬ ঘণ্টা
C
৭ ঘণ্টা
D
৮ ঘণ্টা
গ্রিনিচ মান সময় (GMT):
-
গ্রিনিচ মান মন্দির যুক্তরাজ্যে অবস্থিত।
-
Greenwich Mean Time (GMT) হলো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে প্রণীত সময় পদ্ধতি।
-
বাংলাদেশের সাথে GMT-এর পার্থক্য +৬ ঘণ্টা।
-
অর্থাৎ গ্রীনিচ মান সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ সময় ৬ ঘণ্টা আগে।
-
পৃথিবীতে প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
-
বাংলাদেশ গ্রিনিচ মান মন্দির থেকে ৯০° পূর্বদিকে অবস্থিত, ফলে সময়ের পার্থক্য ৯০ × ৪ = ৩৬০ মিনিট বা ৬ ঘণ্টা।
-
গ্রিনিচের পূর্ব দিকে অবস্থিত স্থানগুলোর সময় গ্রিনিচের থেকে এগিয়ে থাকে।
0
Updated: 1 month ago