বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা -
A
০.০১ মিলিগ্রাম
B
০.৩ মিলিগ্রাম
C
০.১ মিলিগ্রাম
D
০.০৩ মিলিগ্রাম
উত্তরের বিবরণ
আর্সেনিক (Arsenic)
-
প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য: ধূসর আভাযুক্ত, সাদা রঙবিশিষ্ট, ভঙ্গুর প্রকৃতির একটি অর্ধধাতু বা উপধাতু।
-
রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য:
-
আণবিক সংখ্যা: ৩৩
-
আণবিক ভর: ৭৪.৯২
-
-
প্রকৃতিতে উপস্থিতি: আর্সেনিক বিভিন্ন যৌগ আকারে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়।
-
মানব ও স্বাস্থ্য প্রভাব: প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত আর্সেনিক একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়।
-
সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা:
-
বাংলাদেশে প্রতি লিটার পানিতে: ০.০৫ মিলিগ্রাম
-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ: প্রতি লিটার ০.০১ মিলিগ্রাম
-
-
দূষণপ্রবণ এলাকা: চাঁদপুর জেলা দেশে সবচেয়ে আর্সেনিক দূষণপ্রবণ।
-
ইতিহাস: ১৯৯৩ সালে চাপাইনবাবগঞ্জে প্রথমবারের মতো নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়জাত ভূমির আকৃতি কেমন থাকে?
Created: 1 month ago
A
নদীর বাঁক
B
ভি আকৃতি
C
গিরিসংকট
D
ডি আকৃতি
নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরূপ (Erosional Features of River)
নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে ভূ-পৃষ্ঠে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে এবং নতুন নতুন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কার্য সবচেয়ে বেশি ঘটে।
১. ভি-আকৃতি উপত্যকা (V-shaped Valley)
-
অবস্থান: পার্বত্য অঞ্চল
-
সৃষ্টি প্রক্রিয়া:
-
পার্বত্য অঞ্চলের শিলা কঠিন হওয়ায় নদীর স্রোতের গতিবেগ বেশি থাকে।
-
নদী মূলত তলদেশে বেশি ক্ষয় সাধন করে, পার্শ্ব ক্ষয় তুলনামূলকভাবে কম হয়।
-
নদীর মধ্যভাগ ক্রমশ ক্ষয়িত হয়ে ভি-আকৃতির রূপ ধারণ করে, যেমন ইংরেজি অক্ষর ‘V’।
-
-
বিস্তার:
-
সময়ের সঙ্গে পার্শ্ব ক্ষয় বৃদ্ধি পেলে উপত্যকাটি ধীরে ধীরে প্রশস্ত হয়।
-
এই প্রক্রিয়াটি প্রধানত উচ্চপথীয় নদী এবং পর্বতাঞ্চলে দেখা যায়।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোথায় ল্যানোস ও প্যাম্পাস তৃণভূমি দেখা যায়?
Created: 1 month ago
A
উত্তর আমেরিকা
B
পূর্ব ইউরোপ
C
দক্ষিণ আমেরিকা
D
অস্ট্রেলিয়া
তৃণভূমি: পৃথিবীর বিস্তীর্ণ সবুজ চারণভূমি
তৃণভূমি হলো ঘাস দ্বারা আচ্ছাদিত সুবিস্তৃত ভূমি, যা সাধারণত স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠে। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত দুটি বিখ্যাত তৃণভূমি হলো ল্যানোস এবং প্যাম্পাস।
পৃথিবীজুড়ে আরও অনেক বিখ্যাত তৃণভূমি রয়েছে, যা বিভিন্ন মহাদেশের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যকে সমৃদ্ধ করেছে:
- প্রেইরি: এটি উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত একটি সুবিশাল তৃণভূমি।
- সাভানা: আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত এই তৃণভূমি নানা ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের আবাসস্থল।
- স্টেপ: পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার শুষ্ক অঞ্চলে স্টেপ তৃণভূমি দেখা যায়।
এই তৃণভূমিগুলো কেবল উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থলই নয়, বরং পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি উঁচু উচ্চতার মেঘ?
Created: 1 month ago
A
কিউম্যুলাস
B
নিম্বাস
C
স্ট্রেটাস
D
সিরাস
মেঘের শ্রেণিবিভাগ: উচ্চতার ভিত্তিতে তিনটি প্রধান স্তর
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার তারতম্যের উপর ভিত্তি করে মেঘকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। এই শ্রেণিবিভাগ মেঘের গঠন, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস বুঝতে সহায়ক।
উঁচু উচ্চতার মেঘ: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬,০০০ মিটার বা তারও বেশি উচ্চতায় এই মেঘগুলো অবস্থান করে। এগুলো সাধারণত বরফ কণা দ্বারা গঠিত হয় এবং দেখতে পাতলা ও সাদা হয়। উঁচু উচ্চতার মেঘের প্রধান প্রকারগুলি হলো:
- সিরাস (Cirrus)
- সিরোকিউম্যুলাস (Cirrocumulus)
- সিরোস্ট্রেটাস (Cirrostratus)
মাঝারি উচ্চতার মেঘ: এই মেঘগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,০০০ মিটার থেকে ৬,০০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে দেখা যায়। এগুলো জলীয় বাষ্প বা বরফ কণা দ্বারা গঠিত হতে পারে এবং এদের বিভিন্ন রূপ দেখা যায়। মাঝারি উচ্চতার মেঘের কয়েকটি উদাহরণ হলো:
- অল্টোস্ট্রেটাস (Altostratus)
- কিউম্যুলাসস্ট্রেটাস (Stratocumulus - এটি সাধারণত নিম্ন উচ্চতার মেঘ হলেও, কিছু ক্ষেত্রে মাঝারি উচ্চতায়ও দেখা যেতে পারে)
- নিম্বোস্ট্রেটাস (Nimbostratus)
নিম্ন উচ্চতার মেঘসমূহ: এই মেঘগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,০০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে অবস্থান করে। এগুলো সাধারণত জলীয় বাষ্প দ্বারা গঠিত এবং এদের মধ্যে অনেকগুলোই বৃষ্টিপাত ঘটায়। নিম্ন উচ্চতার মেঘের প্রকারভেদগুলো হলো:
- স্ট্রেটাস (Stratus)
- স্ট্রেটোকিউম্যুলাস (Stratocumulus)
- কিউম্যুলাস (Cumulus)
- কিউম্যুলোনিম্বাস (Cumulonimbus) - যা বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাতে সক্ষম।
এই শ্রেণিবিভাগ আবহাওয়াবিদদের মেঘ পর্যবেক্ষণ এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো প্রদান করে।
0
Updated: 1 month ago