'কিয়োটো প্রটোকল' কীসের সাথে সম্পর্কিত?
A
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ
B
গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস
C
ওজোন স্তর সুরক্ষা
D
বিপজ্জনক বর্জ্যের আন্তঃসীমান্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ
উত্তরের বিবরণ
কিয়োটো প্রোটোকল – সংক্ষিপ্ত তথ্য
-
উদ্দেশ্য: জলবায়ু পরিবর্তন রোধ এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস।
-
প্রকৃতি: আন্তর্জাতিক চুক্তি, জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (UNFCCC)-এর অধীনে।
-
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
শিল্পোন্নত দেশগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর বাধ্যবাধকতা।
-
প্রথম আইনগত বাধ্যবাধকতা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের জন্য।
-
-
সময়সূচি:
-
স্বাক্ষরিত: ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৭, কিয়োটো, জাপান
-
কার্যকর: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫
-
-
দেশসমূহ: স্বাক্ষরকারী দেশ – ৮৩টি, অনুমোদনকারী দেশ – ১৯২টি
-
প্রতিশ্রুতি ধাপ:
-
প্রথম প্রতিশ্রুতি: ২০০৮-২০১২
-
দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি: ২০১৩-২০২০
-
-
উল্লেখযোগ্য: দ্বিতীয় ধাপ ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত হলেও পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনও শুরু হয়নি।
0
Updated: 1 month ago
কিয়োটো প্রটোকল কোন দেশে গৃহীত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
ফ্রান্স
B
জাপান
C
ব্রাজিল
D
সুইডেন
কিয়োটো প্রটোকল হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গৃহীত। এটি ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে জাপানের কিয়োটো শহরে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (Conference of Parties – COP-3) এ গৃহীত হয়। প্রটোকলটি ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কার্যকর হয়। বাংলাদেশ ২০০১ সালের ২২ অক্টোবর চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন প্রদান করে। কানাডা ছিল প্রথম দেশ যা এই প্রটোকল থেকে প্রত্যাহার করে।
• কিয়োটো প্রটোকল গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের জন্য আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা আরোপ করে।
• প্রটোকলের অধীনে ‘কার্বন ক্রেডিট’ বা নির্গমন ক্রেডিট ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশগুলো নিজেদের নির্গমন সীমা পূরণ করতে পারে।
• এটি শিল্পোন্নত দেশগুলোকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য বাধ্য করে।
• প্রটোকলটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
• কিয়োটো প্রটোকল আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু নীতি ও বৈশ্বিক সহযোগিতার এক শক্তিশালী কাঠামো হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 3 weeks ago
দোহা সংশোধনী কোন প্রটোকলের সাথে সম্পর্কিত?
Created: 1 month ago
A
মন্ট্রিল প্রটোকল
B
কিয়োটো প্রটোকল
C
কার্টাগেনা প্রটোকল
D
নাগোয়া প্রটোকল
দোহা সংশোধনী (Doha Amendment)
-
ঘটনা: ২০১২ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হয় কপ–১৮ সম্মেলন।
-
উদ্দেশ্য: কিয়োটো প্রটোকলের দ্বিতীয় পর্ব (২০১৩–২০২০) কার্যকর করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ।
-
এই সিদ্ধান্ত বা সংশোধনীকে বলা হয় দোহা সংশোধনী।
প্রেক্ষাপট
-
কিয়োটো প্রটোকল:
-
এটি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কাঠামো কনভেনশন (UNFCCC)–এর অধীনে গৃহীত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
এতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর অঙ্গীকার করে।
-
মূল লক্ষ্য ছিল পৃথিবীতে কার্বনের মাত্রা হ্রাস করে পরিবেশগত বিপর্যয় রোধ করা।
-
-
প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর, নতুন উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন হয়।
-
তাই দ্বিতীয় পর্বের জন্য দোহা সংশোধনী প্রবর্তিত হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
উৎস: UNFCCC ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
কিয়োটো প্রটোকলের বিষয়বস্তু কী?
Created: 1 month ago
A
ওজোনস্তরের ক্ষয় হ্রাস
B
জৈব নিরাপত্তা
C
জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষা
D
গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস
কিয়োটো প্রটোকল মূলত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের জন্য গৃহীত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। এটি ছিল প্রথম আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা,
যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে কিয়োটো প্রটোকল সম্পর্কিত তথ্যগুলো সাজানো হলো।
-
প্রথম আইনগত বাধ্যবাধকতা: গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের জন্য Kyoto Protocol প্রথম আন্তর্জাতিক আইনগত কাঠামো তৈরি করে।
-
চুক্তির প্রকৃতি: এটি জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (UNFCCC)–এর অধীনে স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
প্রধান লক্ষ্য: শিল্পোন্নত দেশগুলোকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া।
-
স্বাক্ষরের তারিখ: ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৭।
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫।
-
স্বাক্ষরের স্থান: Kyoto, Japan।
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ৮৩টি।
-
অনুমোদনকারী দেশ: ১৯২টি।
-
Kyoto Protocol–কে বিশ্ব উষ্ণতা রোধে “কার্বন সনদ” হিসেবে ধরা হতো। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রিনহাউস গ্যাস, বিশেষ করে Carbon dioxide (CO2) নির্গমন হ্রাস করা, কারণ এই গ্যাসই global warming–এর প্রধান কারণ।
-
এ চুক্তির অংশ হিসেবে Carbon Credit system চালু করা হয়, যেখানে এক দেশ অন্য দেশের emission reduction প্রচেষ্টা কিনতে বা বিক্রি করতে পারত। এর ফলে একটি বৈশ্বিক বাজার গড়ে ওঠে, যা ‘কার্বন সনদ’ বা ‘কার্বন ক্রেডিট’ নামে পরিচিত।
-
Kyoto Protocol–এর অধীনে ২০১২ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৫.২% কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
-
বাস্তবায়নের শর্ত অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ৫৫% গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদনকারী দেশগুলোর স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল।
-
প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি দেশকে নিজেদের emission নির্দিষ্ট হারে কমাতে বলা হয়।
-
মোট ৬টি গ্যাস কমানোর পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত হয়:
-
Carbon dioxide (CO2)
-
Methane (CH4)
-
Nitrous oxide (N2O)
-
Hydrofluorocarbons (HFCs)
-
Perfluorocarbons (PFCs)
-
Sulphur hexafluoride (SF6)
-
-
উন্নত দেশগুলো দুটি commitment period–এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল:
-
প্রথমটি ২০০৮–২০১২
-
দ্বিতীয়টি ২০১৩–২০২০
-
-
প্রথম চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তা ২০২০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়, তবে বাস্তবায়ন কার্যক্রম এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি।
-
তুলনামূলকভাবে অন্য আন্তর্জাতিক প্রটোকলগুলো:
-
Montreal Protocol: ওজোন স্তর ক্ষয়কারী পদার্থের নির্গমন হ্রাসে স্বাক্ষরিত।
-
Cartagena Protocol: জীববৈচিত্র্য ও জৈব নিরাপত্তা সংরক্ষণ সম্পর্কিত।
-
0
Updated: 1 month ago