বাংলাদেশের ছয় ঋতুর সঠিক অনুক্রম কোনটি?
A
গ্রীষ্ম, বর্ষা, বসন্ত, হেমন্ত, শীত ও শরৎ
B
বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত ও গ্রীষ্ম
C
শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা
D
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে ঋতুর আবির্ভাব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঘটে এবং এগুলি একটি নির্দিষ্ট ক্রমে পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়। দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ, এবং প্রধানত উপক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির, অর্থাৎ উষ্ণ ও আর্দ্র।
যদিও প্রকৃত জলবায়ু বৈচিত্র্য থাকতে পারে, প্রচলিত বাংলা বর্ষপঞ্জিতে বছরকে ছয়টি ঋতুতে বিভক্ত করা হয়েছে।
-
ছয় ঋতুর ক্রম: গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত
-
প্রতি দুই মাস অন্তর ঋতু পরিবর্তিত হয়
-
কখনও কখনও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋতুর শুরু, শেষ বা ব্যাপ্তি পরিবর্তিত হতে পারে
0
Updated: 1 month ago
সেরিকালচার বলতে বোঝায়-
Created: 1 month ago
A
তুলা চাষ
B
নীল চাষ
C
রেশম পোকা চাষ
D
তামাক চাষ
সেরিকালচার হলো রেশম উৎপাদনের জন্য রেশম পোকার লার্ভা পালন ও তাদের তৈরি কোকুন থেকে সুতা সংগ্রহ করার একটি প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ কৃষি পদ্ধতি। এটি কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত এবং বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটিও এর জন্য উপযোগী।
-
রেশম পোকার বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে, তবে Bombyx mori রেশম চাষে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
-
এই পোকা তুঁত গাছের পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে, তাই রেশম চাষের জন্য তুঁত গাছ চাষ অপরিহার্য।
-
রেশম চাষকে ইংরেজিতে Sericulture বলা হয়। শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ ‘Serio’ থেকে, যার অর্থ হলো Silk বা রেশম।
-
তুঁত গাছের পাতা খাইয়ে রেশম পোকার লার্ভা পালন করা হয় এবং তারা যে গুটি বা কোকুন তৈরি করে, সেখান থেকেই রেশম সুতা আহরণ করা হয়।
-
আধুনিক রেশম চাষে শুধু লার্ভা পালন নয়, বরং প্রজনন ঘটিয়ে অধিক উৎপাদনশীল রেশম পোকা তৈরি করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
-
বাংলাদেশের আবহাওয়া, মাটি ও জলবায়ু রেশম চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
অন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আধুনিক চাষ পদ্ধতি:
-
বাণিজ্যিকভাবে উদ্যান বিষয়ক বিদ্যা: হর্টিকালচার
-
বাণিজ্যিকভাবে মৌমাছি চাষ: এপিকালচার
-
বাণিজ্যিকভাবে পাখি পালন বিষয়ক বিদ্যা: এভিকালচার
-
বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ: পিসিকালচার
-
বাণিজ্যিকভাবে চিংড়ি চাষ: প্রণকালচার
-
বাণিজ্যিকভাবে সামুদ্রিক মৎস্য পালন: মেরিকালচার
0
Updated: 1 month ago
যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তা হলো -
Created: 2 months ago
A
অয়ন বায়ু
B
নিয়ত বায়ু
C
প্রত্যয়ন বায়ু
D
মৌসুমী বায়ু
বায়ুপ্রবাহ ও এর প্রকারভেদ
বায়ু সর্বদা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। সাধারণত, উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে শীতল ও ভারী বায়ু নিম্নচাপ অঞ্চলে যায়। এছাড়াও, ফেরেলের সূত্র অনুসারে বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বাঁকে।
বায়ুপ্রবাহের প্রধান চারটি প্রকার:
-
নিয়ত বায়ু
-
সাময়িক বায়ু
-
স্থানীয় বায়ু
-
অনিয়মিত বায়ু
নিয়ত বায়ু:
-
যে বায়ু সর্বদা উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়, তাকে নিয়ত বায়ু বলা হয়।
-
এটি বছরের সকল সময় একই দিকে প্রবাহিত হয়।
-
নিয়ত বায়ুর দিক পৃথিবীর চাপ বলয় দ্বারা নির্ধারিত হয়।
-
নিয়ত বায়ু আবার তিন ভাগে বিভক্ত:
-
অয়ন বায়ু
-
পশ্চিমী বায়ু
-
মেরু বায়ু
-
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
ম্যানগ্রোভ কি?
Created: 2 months ago
A
কেওড়া বন
B
শালবন
C
উপকূলীয় বন
D
চিরহরিৎ বন
ম্যানগ্রোভ বন
ম্যানগ্রোভ বলতে সাধারণভাবে সেই বিস্তীর্ণ জলাভূমিকে বোঝায় যা জোয়ার-ভাটার সময় প্লাবিত হয়। অর্থাৎ, এটি এমন উপকূলীয় বন যেখানে জোয়ার-ভাটার কারণে জমি মাঝে মাঝে পানিতে ডুবে যায়। ম্যানগ্রোভ বন সাধারণত লবণাক্ত মাটিতে জন্মায়।
সুন্দরবন
-
সুন্দরবন হলো বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন।
-
এর মোট আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশের সুন্দরবন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত, যা মোট সুন্দরবনের প্রায় ৬২%।
-
সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার সঙ্গে সংলগ্ন।
-
প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী। এছাড়াও এখানে গরান, গেওয়া, কেওড়া, ধুন্দল, গোলপাতা ইত্যাদি গাছ পাওয়া যায়।
-
১৮৭৮ সালে সুন্দরবনের পুরো এলাকা সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
-
৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্বের ৭৯৮তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্থান হিসেবে ঘোষণা করে।
সূত্রঃ বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago