১৯৭১ সালে ‘The Concert for Bangladesh’ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
A
চট্টগ্রাম
B
কলকাতা
C
লন্ডন
D
নিউইয়র্ক
উত্তরের বিবরণ
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। পাকিস্তানের পরাজয়ের মুখে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলেও, দেশটির কংগ্রেসের অনেক সদস্য, সংবাদপত্র, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ জনগণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পাশে দাঁড়ায়।
এই প্রেক্ষাপটেই ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করা হয়, যা আন্তর্জাতিক স্তরে মানুষের সহানুভূতি ও অর্থ সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী জর্জ হ্যারিসন নিউইয়র্কে কনসার্ট আয়োজন করেন এবং এর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ মুজিবনগর সরকারের কাছে প্রদান করেন।
-
ভারতের খ্যাতিমান শিল্পী রবি শঙ্কর কনসার্টের আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন।
-
কনসার্টটি ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়।
-
কনসার্ট আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago
চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ-এর দীক্ষাগুরু কে ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
অতীশ দিপঙ্কর
B
শিলভদ্র
C
মা হুয়ান
D
মেগাস্থিনিস
হিউয়েন সাঙ ও তাঁর নালন্দা অধ্যয়ন
হিউয়েন সাঙ ছিলেন চীনা এক বিখ্যাত পরিব্রাজক এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু, যিনি ফা-হিয়েনের পরবর্তী তীর্থযাত্রী হিসেবে পরিচিত। তাঁর ভ্রমণলিপি থেকে সাত শতকের দ্বিতীয়ার্ধের বাংলার কিছু ইতিহাস জানা যায়। সে সময় উত্তর ভারতে সম্রাট হর্ষবর্ধন, বাংলায় শশাঙ্ক এবং আসামে ভাস্করবর্মণ শাসন করছিলেন।
ভ্রমণ ও অধ্যয়ন:
-
৬২৯ সালে হিউয়েন সাঙ চীন থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং উত্তরের বাণিজ্যপথ হয়ে মধ্য এশিয়ার কুশ হয়ে উত্তর ভারতে পৌঁছান।
-
কনৌজনগরে সম্রাট হর্ষবর্ধনের আতিথ্য লাভ করেন।
-
নালন্দা মহাবিহারে বেশ কিছুদিন অবস্থান করে অধ্যাপকদের কাছ থেকে বৌদ্ধ দর্শন, যুক্তি ও ধর্মশাস্ত্র শিখেন।
-
নালন্দার অধ্যক্ষ আচার্য শীলভদ্র ছিলেন তাঁর প্রধান শিক্ষক। শীলভদ্র নিজে সন্ন্যাস জীবন শুরু করার আগে যুক্তিবিদ্যা, ভাষাতত্ত্ব ও সাংখ্যদর্শন অধ্যয়ন করেছিলেন।
বাংলা ও শশাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য:
-
৬৩৮ সালের দিকে হিউয়েন সাঙ বাংলায় পৌঁছান।
-
তাঁর লেখা থেকে শশাঙ্কের ইতিহাস, হর্ষবর্ধনের সঙ্গে শশাঙ্কের বৈরিতা এবং শশাঙ্কের ধর্মনীতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায়।
প্রত্যাবর্তন ও পরবর্তী জীবন:
-
৬৪৫ সালে চীনে ফিরে তিনি উষ্ম সংবর্ধনা পান।
-
৬৬৪ সাল পর্যন্ত বৌদ্ধ রচনাগুলোর চীনা অনুবাদে জীবনের বাকি সময় ব্যয় করেন।
শৈশব ও প্রারম্ভিক শিক্ষা:
-
শৈশব থেকেই ধর্মগ্রন্থ ও প্রাচীন জ্ঞানী লেখকদের পাঠে আগ্রহী ছিলেন।
-
লুওইয়াং নগরে ১৩ বছর বয়সে বৌদ্ধভিক্ষু সম্প্রদায়ে প্রবেশ করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড' কোথায় অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
যমুনা নদীতে
B
মেঘনার মোহনায়
C
বঙ্গোপসাগরে
D
সন্দ্বীপ চেনেল
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড – বঙ্গোপসাগরের গভীর খাদ
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
প্রকৃতি: সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হলো খাদাকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা বা গভীর গিরিখাত।
-
অবস্থান: এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদী বিভাগের পশ্চিমে অবস্থিত। অনেকে এটিকে “গঙ্গা খাদ” নামেও চেনে।
-
প্রস্থ ও ঢাল: খাদটির প্রস্থ প্রায় ৫–৭ কিলোমিটার। তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল, এবং পার্শ্ব দেয়ালের ঢাল প্রায় ১২°।
-
গভীরতা: মহীসোপানের কাছাকাছি অংশে খাদটির গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার।
-
পলল ও স্রোত: বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের গবেষণায় দেখা গেছে, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ঘোলাটে স্রোত বহন করে এবং পললসমূহ গভীর সমুদ্রে স্থানান্তর করে। বেশিরভাগ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গমস্থল থেকে উৎপন্ন হয়, যা হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর অংশ থেকে আসা নদী ও প্রবাহের মাধ্যমে সাগরে পৌঁছায়।
-
বর্তমান প্রভাব: বর্তমানে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত এবং বালি সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
উচ্চ ফলনশীল ভুট্টার জাত কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
শুভ্রা
B
ময়না
C
প্রভাতী
D
প্রগতি
উচ্চ ফলনশীল ফসলের বিভিন্ন জাতের মধ্যে বাছাই কৃষির উন্নত প্রযুক্তি এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ফসলের জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য উচ্চ ফলনশীল জাত নিচে দেওয়া হলো:
-
ভুট্টা: বর্ণালি, শুভ্রা, খই, মোহর।
-
কলা: সিঙ্গাপুরী, কাবুলী, মেহের সাগর, অমৃত সাগর, সবরি, অনুপম, মালভোগ, মর্তমান, চাঁপা, অগ্নিশ্বর, কবরী।
-
আলু: হীরা, আইলসা, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, চমক, মরিনী, সুন্দরী, কুফরী, মুলটা।
-
গম: কাঞ্চন, আকবর, অঘ্রাণী, প্রতিভা, সৌরভ, গৌরব।
-
পেঁয়াজ: সুখ সাগর, ঝিটকা, কৈলাসনগর, তাহেরপুরী, ভাতি।
-
বাঁধাকপি: গ্রীন এক্সপ্রেস, ড্রামহেড, গোল্ডেন ক্রস, প্রভাতী, অগ্রদূত।
-
ধান: বিপ্লব, হিরা, মালা, ইরাটম, ময়না, চান্দিনা, হরিধান, নারিফা, সুফলা, প্রগতি।
-
আম: মহানন্দা, ল্যাংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালি, গোপালভোগ, সূর্যপুরী, হিমসাগর, মোহনভোগ।
এই জাতগুলি উচ্চ ফলন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদনের জন্য পরিচিত, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক।
0
Updated: 3 weeks ago