A
ধীরে বহে মেঘনা
B
কলমিলতা
C
আবার তােরা মানুষ হ
D
হুলিয়া
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো বাংলা সিনেমায় যুদ্ধ ও তার প্রভাবকে জীবন্তভাবে তুলে ধরে। এই চলচ্চিত্রগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতা, সামাজিক অবক্ষয়, এবং মানুষের মানসিক যন্ত্রণার চিত্র ফুটে উঠেছে।
মুক্তিযুদ্ধের ভেতরের নানামাত্রিক ঘটনা ও চরিত্রের আবেগকে বিভিন্ন পরিচালক তাদের নিজস্ব ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন।
-
হুলিয়া: এটি নির্মাণ করেছেন তানভীর মোকাম্মেল। চলচ্চিত্রটি ষাটের দশকে প্রগতিশীল সংগঠনের কর্মীদের ওপর পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে লেখা নির্মলেন্দু গুণের কবিতা অনুযায়ী নির্মিত। গল্পে হুলিয়া বুকে নিয়ে ঘরছাড়া এক তরুণের জীবনকে ক্যামেরার ফ্রেমে তুলে ধরা হয়েছে।
-
ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩): মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রের পরিচালক আলমগীর কবির। গল্পে ভারতীয় মেয়ে অনিতার প্রেমিক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয় এবং অনিতা ঢাকায় এসে যুদ্ধের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করে গভীরভাবে মর্মাহত হয়। এতে অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদ, ববিতা, গোলাম মোস্তফা, আনোয়ার হোসেন, খলিল উল্লাহ প্রমুখ। চলচ্চিত্রটিতে গান রয়েছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এর কণ্ঠে।
-
তোরা মানুষ হ (১৯৭৩): পরিচালক খান আতাউর রহমান। এই চলচ্চিত্রে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অবক্ষয়ের চিত্র ফুটে উঠেছে। চরিত্র হিসেবে অভিনয় করেছেন ফারুক, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ববিতা, রোজী আফসারী, রওশন জামিল প্রমুখ। গল্পে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও তরুণদের কার্যকলাপ এবং একজন আদর্শবাদী অধ্যক্ষের দৃঢ়তা তুলে ধরা হয়েছে।
-
কলমীলতা: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পরিচালক শহীদুল হক খান।

0
Updated: 22 hours ago
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার সংখ্যা-
Created: 2 weeks ago
A
২৬
B
২৭
C
২৮
D
৩১
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (BCS) ও ক্যাডারের সংখ্যা
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (BPSC) একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের সকল সরকারি কর্মে উপযুক্ত এবং যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করার দায়িত্ব পালন করে। BPSC প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা আয়োজনের মাধ্যমে দেশের মানব সম্পদ পরিকল্পনায় উৎকর্ষ সাধন এবং জনপ্রশাসনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার সংখ্যা বর্তমানে ২৬টি। এর মধ্যে, ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বরের বাংলাদেশ গেজেট (S.R.O. নং-৩৩৫-আইন/২০১৮) অনুযায়ী, ইকোনমিক ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সাথে একীভূত করা হয়েছে।
BCS-এর ২৬টি ক্যাডার:
১. প্রশাসন
২. কৃষি
৩. আনসার
৪. সমবায়
৫. শুল্ক ও আবগারি
৬. পরিবার পরিকল্পনা
৭. মৎস্য
৮. খাদ্য
৯. পররাষ্ট্র
১০. বন
১১. সাধারণ শিক্ষা
১২. স্বাস্থ্য
১৩. তথ্য
১৪. পশু সম্পদ
১৫. পুলিশ
১৬. ডাক
১৭. জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল
১৮. গণপূর্ত
১৯. রেলওয়ে প্রকৌশল
২০. রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক
২১. সড়ক ও জনপথ
২২. পরিসংখ্যান
২৩. কর
২৪. কারিগরি শিক্ষা
২৫. বাণিজ্য
২৬. নিরীক্ষা ও হিসাব
উৎস: বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (bpsc.gov.bd)।

0
Updated: 2 weeks ago
যশোর জেলায় অবস্থিত বিল-
Created: 3 weeks ago
A
হাইল
B
পাথরচাওলি
C
ভবদহ
D
আড়িয়াল
ভবদহ বিল – যশোর জেলায়
ভবদহ বিল বাংলাদেশের যশোর জেলায় অবস্থিত।
যশোর জেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
যশোর জেলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ১৭৮৬ সালে, অর্থাৎ প্রায় দুইশত বছর আগে।
-
ইতিহাসে যশোরের শাসকদের মধ্যে মহারাজ বিক্রমমাদিত্য, রাজা প্রতাপাদিত্য ও রাজা সীতারাম রায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
১৮৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের গঠন ও পুনর্বিন্যাস ক্রমাগত চলতে থাকে।
-
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রশাসনিক উন্নয়নের জন্য যশোরকে ভেঙ্গে পুনর্গঠন করে।
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল যশোর থেকেই।
ভূগোল ও নদী:
-
যশোর এক ধরণের মৃতপ্রায় ব-দ্বীপ হিসেবে পরিচিত।
-
জেলার প্রধান নদীসমূহ: ভৈরব, চিত্রা, কপোতাক্ষ, হরিহর, দাদরা, বেত্রাবতী, কোদলা ও ইছামতি।
বিল সমূহ:
-
যশোরের গুরুত্বপূর্ণ বিলের মধ্যে রয়েছে ভবদহ, জলেশ্বর, বকর ও হরিণা।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 3 weeks ago
সমাজের শিক্ষিত শ্রেণীর যে অংশ সরকার বা কর্পোরেট গ্রুপে থাকে না, কিন্তু সকলের উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখে-
Created: 1 week ago
A
রাজনৈতিক দল
B
সুশীল সমাজ
C
বিচার বিভাগ
D
প্রশাসন বিভাগ
সুশীল সমাজ (Civil Society)
-
সুশীল সমাজ হলো সমাজের শিক্ষিত ও সচেতন মানুষদের একটি অংশ, যারা সরকার বা বড় কোম্পানিতে চাকরি করেন না, তবুও সমাজের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে সক্ষম।
-
এটি কোনো রাজনৈতিক দলের বা সরকারের পক্ষপাতিত্বে কাজ করে না এবং নির্দিষ্ট মতাদর্শ প্রচার করা সুশীল সমাজের কাজ নয়।
-
সুশীল সমাজ চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর অংশ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।
-
আজকাল সুশীল সমাজ মানবসম্পদ উন্নয়ন, সমাজসেবা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
-
এটি সরকারের জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
-
সুশীল সমাজ সরকারকে গঠনমূলক সমালোচনা করে, যার ফলে সরকার সহজেই তাদের পরামর্শ বা সুপারিশকে উপেক্ষা করতে পারে না।
-
এছাড়া, সমাজে সাম্প্রদায়িক শান্তি বজায় রাখা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করা সুশীল সমাজের দায়িত্ব।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, ১ম পত্র, প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago