'মাৎস্যন্যায়' কোন সময়কালকে নির্দেশ করে?
A
মৌর্য পূর্ববর্তী যুগ
B
শশাঙ্কের পূর্ববর্তী যুগ
C
পালদের পূর্ববর্তী যুগ
D
গুপ্ত পূর্ববর্তী যুগ
উত্তরের বিবরণ
মাৎস্যন্যায় – সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
অর্থ: বাংলায় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সময়।
-
কালপরিসীমা: ৭ম-৮ম শতক, প্রায় ৬৫০–৭৫০ খ্রিস্টাব্দ।
-
সৃষ্টিকাল: রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর থেকে পাল বংশের আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত।
-
লক্ষণীয় বিষয়:
-
রাজনীতিতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করত।
-
প্রাচীন শিলালিপি, খালিমপুর তাম্রশাসন, এবং সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিতম কাব্যে এই সময়কে উল্লেখ করা হয়েছে।
-
-
অবসান: রাজা গোপাল সিংহাসনে বসার মাধ্যমে মাৎস্যন্যায়ের অবসান ঘটে এবং পাল বংশ প্রতিষ্ঠা পায়।
উপসংহার:
মাৎস্যন্যায় হল বাংলায় শশাঙ্কের মৃত্যুর পর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সময়কাল, যা প্রায় ১০০ বছর স্থায়ী ছিল এবং রাজা গোপালের হাত ধরে পাল বংশের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
0
Updated: 1 month ago
‘মাৎস্যন্যায়’-এর অবসান ঘটে কীভাবে?
Created: 1 month ago
A
পালদের আগমনে
B
সেনদের আগমনে
C
গুপ্তদের আগমনে
D
মৌর্যদের আগমনে
মাৎস্যন্যায় বাংলার ৭ম-৮ম শতককে নির্দেশ করে। রাজা শশাঙ্ক ৬৩৭ সালে মৃত্যুবরণ করার পর যোগ্য শাসকের অভাবে গৌড়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পুরো বাংলায় নেমে আসে অন্ধকার যুগ, যেখানে একশ বছরের মতো ইতিহাসে অরাজকতা এবং নেতৃত্বের শূন্যতার সৃষ্টি হয়। এই সময়কালকে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলা হয়। বিশৃঙ্খলার সময় বাংলা অঞ্চলে সিংহাসনে বসেন রাজা গোপাল, এবং পালবংশের আগমনের মাধ্যমে মাৎস্যন্যায়ের অবসান ঘটে।
-
পাল রাজবংশ আট শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় চারশত বছর ধরে বাংলা ও বিহারে শাসন করে।
-
বংশটি প্রতিষ্ঠা করেন শক্তিশালী রাজা গোপাল।
-
গোপালের পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল সিংহাসনে বসেন।
-
দেবপালের পর পাল সাম্রাজ্য কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু প্রথম মহীপালের রাজত্বকালে পালবংশের গৌরব পুনরায় ফিরে আসে।
-
দ্বিতীয় মহীপাল ও রামপালের রাজত্বকালে বরেন্দ্র অঞ্চলে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। রামপাল বিদ্রোহ দমন করে বরেন্দ্র অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেন এবং তিনি পালবংশের শেষ মুকুটমণি।
-
অবশেষে সেনবংশের উত্থানের মাধ্যমে পাল শাসনের অবসান ঘটে।
-
পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন এবং পালযুগে বৌদ্ধ ধর্ম তিব্বত, জাভা, সুমাত্রা ও মালয়েশিয়াতে প্রসার লাভ করে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago