মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন দেশ বাংলাদেশের পক্ষে জাতিসংঘে ভেটো প্রদান করে?
A
ভারত
B
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
C
চীন
D
সোভিয়েত ইউনিয়ন
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘে বাংলাদেশের পক্ষে ভেটো – সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
ঘটনাপ্রেক্ষা:
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে তিনবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করে।
-
এই প্রস্তাবগুলোর মাধ্যমে পাকিস্তানকে কূটনৈতিক সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
-
-
সোভিয়েত ইউনিয়নের পদক্ষেপ:
-
প্রতিবারই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো ব্যবহার করে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে।
-
এর ফলে পাকিস্তানপন্থী প্রস্তাবগুলো ব্যর্থ হয়।
-
-
কৌশলগত প্রভাব:
-
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে তাদের সপ্তম নৌবহর পাঠায়।
-
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারত মহাসাগরে নৌবহর মোতায়েন করে, ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহর পিছু হটে।
-
এই কৌশলগত সহায়তা বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে আফসার ব্যাটালিয়ন কোথায় গড়ে উঠে?
Created: 1 month ago
A
টাঙ্গাইল
B
সিরাজগঞ্জ
C
পাবনা
D
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার নিভৃত পল্লী মল্লিকবাড়ী গ্রামে মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ একটি পার্টি গঠন করেন, যা একমাত্র রাইফেল দিয়ে পরিচালিত হত। তিনি পাকবাহিনী ও দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে লড়াই করে তার পার্টির সদস্যদের নেতৃত্ব দেন এবং শত্রুদের যথাযথ শিক্ষা প্রদান করেন। আফসার ব্যাটালিয়ন তার পার্টি থেকে আড়াই হাজারেরও অধিক রাইফেল, ব্রেটাগান, রকেট লান্সার, স্টেনগান, এমএমজি ইত্যাদি উদ্ধার করে। এই বাহিনীতে মোট প্রায় সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
-
আফসার ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে রোগাক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা ও বিপর্যস্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য ১৩ জন ডাক্তার এবং ৩ জন নার্স নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপিত হয়।
-
মুক্ত এলাকা পরিচালনা ও সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়, যা শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আঞ্চলিক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর এলাকার বাইরে গড়ে ওঠা উল্লেখযোগ্য বাহিনীসমূহ:
-
কাদেরিয়া বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
আফসার ব্যাটালিয়ন (ভালুকা, ময়মনসিংহ)
-
বাতেন বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
হেমায়েত বাহিনী (গোপালগঞ্জ, বরিশাল)
-
হালিম বাহিনী (মানিকগঞ্জ)
-
আকবর বাহিনী (মাগুরা)
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী (সিরাজগঞ্জ, পাবনা)
-
জিয়া বাহিনী (সুন্দরবন)
এছাড়া ঢাকা শহরে ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত গেরিলা দল শহরের বড় স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শত্রুর ক্ষতি সাধন করেছিল।
0
Updated: 1 month ago
স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য কতজন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধি দেয়া হয়?
Created: 1 week ago
A
৭ জন
B
৬ জন
C
২ জন
D
৫ জন
0
Updated: 1 week ago
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণ দলিলে কার স্বাক্ষর ছিল?
Created: 2 months ago
A
কর্নেল ওসমানী
B
জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা
C
লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে নিয়াজী
D
মেজর জেনারেল রাও ফরমান
পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ:
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে।
-
তাদের এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।
-
উল্লেখ্য:
-
১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার জেনারেল এ কে নিয়াজিকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
-
১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহনীর প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সংবরণ করে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
-
১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া নয়টার সময় মানেকশ ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকবকে আত্মসমর্পণের দলিল ও আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য ঢাকায় পাঠান।
-
অবশেষে মুক্তিযুদ্ধের জয়ী ও পরাজিত দুই পক্ষের মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক দলিল স্বাক্ষরিত হয়।
-
যৌথ বাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, জিওসি এবং পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক।
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি ও প্রথম আলো।
0
Updated: 2 months ago