বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও প্রধান আইন পরামর্শক হিসেবে কে দায়িত্ব পালন করেন?
A
প্রধান বিচারপতি
B
অ্যাটর্নি জেনারেল
C
আইন সচিব
D
আইন মন্ত্রী
উত্তরের বিবরণ
অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney General) – সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
সংজ্ঞা ও ভূমিকা:
-
অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও প্রধান আইন পরামর্শক।
-
তিনি সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
সাধারণত জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মধ্য থেকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-
পদাধিকার অনুযায়ী, অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি হন।
-
তাকে সহায়তা করেন যুগ্ম অ্যাটর্নি জেনারেল, উপ অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল।
-
-
বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল:
-
বাংলাদেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
-
তিনি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
-
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে সংবিধানের ৬৪(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
-
তিনি পূর্ববর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন-এর স্থলাভিষিক্ত।
-
-
মূল দায়িত্ব:
-
সরকারের আইনগত পরামর্শ প্রদান।
-
সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রের পক্ষে মামলা পরিচালনা।
-
আইন সংক্রান্ত নীতিমালা ও সিদ্ধান্তে সরকারের সহায়তা প্রদান।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?
Created: 1 week ago
A
রাষ্ট্রপতি ভবন
B
জাতীয় পরিষদ
C
জাতীয় সংসদ
D
মন্ত্রিপরিষদ
বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। এটি দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান, যেখানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশের আইন, বাজেট ও নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি এবং রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তথ্যগুলো নিম্নরূপভাবে উল্লেখ করা যায়—
-
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা একমাত্র জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত।
-
জাতীয় সংসদ একটি এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা, অর্থাৎ এর কেবল একটি কক্ষ বা চেম্বার আছে।
-
সংসদের প্রধান বা স্পিকার সংসদ পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন এবং সংসদ অধিবেশন পরিচালনা করেন।
-
জাতীয় সংসদের প্রতীক হলো শাপলা ফুল, যা বাংলাদেশের জাতীয় ফুলও বটে। এই প্রতীক জাতীয় ঐক্য ও শান্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
সংসদের ভবনটি ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত, যা স্থপতি লুই আই. কান (Louis I. Kahn) নকশা করেন। এটি আধুনিক স্থাপত্যকলার এক অনন্য নিদর্শন।
-
১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুল সাত্তার জাতীয় সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন।
-
জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্স বা ভবন এলাকা প্রায় ২১৫ একর জমির ওপর বিস্তৃত, যার মধ্যে মূল ভবন, হ্রদ, উদ্যান ও অন্যান্য ভবন অন্তর্ভুক্ত।
-
সংসদ সদস্যদের (এমপি) সংখ্যা বর্তমানে ৩৫০ জন, যার মধ্যে ৩০০ জন সরাসরি নির্বাচিত এবং ৫০টি সংরক্ষিত আসন নারী সদস্যদের জন্য বরাদ্দ।
-
সংসদের সদস্যরা ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন এবং জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
সংসদে সরকারের পক্ষের দল ও বিরোধী দল উভয়ই থাকে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে গতিশীল রাখে।
-
জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়ন, বাজেট অনুমোদন ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।
-
সংসদ অধিবেশন বছরে কয়েকবার অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রাষ্ট্রপতি অধিবেশন আহ্বান ও সমাপ্ত করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী সংসদের নেতা হিসেবে সরকারের নীতিমালা উপস্থাপন করেন এবং সংসদের মাধ্যমে তার অনুমোদন নেন।
-
জাতীয় সংসদ দেশের জনগণের প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণতন্ত্র, ন্যায় ও সমতার প্রতিফলন ঘটায়।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার হৃদপিণ্ড। এখানেই রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন, নীতিনির্ধারণ এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। তাই জাতীয় সংসদ শুধু একটি ভবন নয়, বরং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষার প্রতীক।
0
Updated: 1 week ago