বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে সুপ্রীম কোর্টকে "কোর্ট অব রেকর্ড" বলা হয়েছে?
A
অনুচ্ছেদ - ১০৯
B
অনুচ্ছেদ - ১১২
C
অনুচ্ছেদ - ১০৮
D
অনুচ্ছেদ - ১১০
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান ও সুপ্রীম কোর্ট:
-
অনুচ্ছেদ ১০৮: সুপ্রীম কোর্টকে “কোর্ট অব রেকর্ড” হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
-
অর্থাৎ, সুপ্রীম কোর্টের সকল আদেশ ও রায় আইন অনুযায়ী চূড়ান্ত ও বাধ্যতামূলক।
-
আদালত অবমাননার ক্ষেত্রে তদন্ত এবং দণ্ডাদেশ প্রদানের ক্ষমতাও সুপ্রীম কোর্টের রয়েছে।
-
সংবিধান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
বাংলাদেশের সংবিধান হলো দেশের মৌলিক ও সর্বোচ্চ আইন।
-
সংবিধান কার্যকরভাবে ব্যাখ্যা ও রক্ষা করার দায়িত্বে সুপ্রীম কোর্ট থাকেন।
-
সংবিধান প্রণয়নের জন্য ১৯৭২ সালে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়েছিল।
অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ১০৯: আদালতসমূহের উপর তত্ত্বাবধায়ন ও নিয়ন্ত্রণ।
-
অনুচ্ছেদ ১১০: অধস্তন আদালত থেকে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা স্থানান্তর।
-
অনুচ্ছেদ ১১২: সুপ্রীম কোর্টের সহায়তা।
সারসংক্ষেপ:
সুপ্রীম কোর্ট সংবিধানের মূল রক্ষক ও ব্যাখ্যাকারী। অনুচ্ছেদ ১০৮ অনুযায়ী এটি “কোর্ট অব রেকর্ড” এবং আদালত অবমাননার ক্ষেত্রে তদন্ত ও দণ্ডাদেশ প্রদানের ক্ষমতা রাখে।
0
Updated: 1 month ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ সংখ্যা কয়টি?
Created: 6 days ago
A
১৫২টি
B
১৫৩টি
C
১৫৪টি
D
১৫৫টি
0
Updated: 6 days ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের আলােকে বাংলাদেশে বৈদেশিক নীতি পরিচালিত হয়?
Created: 1 month ago
A
অনুচ্ছেদ ২২
B
অনুচ্ছেদ ২৩
C
অনুচ্ছেদ ২৪
D
অনুচ্ছেদ ২৫
বাংলাদেশের সংবিধানের পররাষ্ট্রনীতি (দ্বিতীয় অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ২৫)
বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ২৫ নং অনুচ্ছেদে দেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি হবে কয়েকটি মূল নীতি:
-
আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতি উন্নয়ন: বিশ্বের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা।
-
জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা: অন্য দেশের স্বাধীনতা ও সমতা মেনে চলা।
-
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।
-
আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নীতির প্রতি শ্রদ্ধা।
এই নীতিগুলোর ভিত্তিতে রাষ্ট্র তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে:
-
(ক) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি ব্যবহার এড়ানো এবং সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের প্রচেষ্টা চালানো।
-
(খ) প্রত্যেক জাতির স্বাধীনভাবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার অধিকার সমর্থন করা।
-
(গ) সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে নিপীড়িত জনগণের ন্যায্য সংগ্রাম সমর্থন করা।
সংক্ষেপে, এই অনুচ্ছেদটি বাংলাদেশকে একটি শান্তিপ্রিয়, ন্যায়পরায়ণ ও সমমর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক নীতি অনুসরণের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
সংযুক্ত অন্যান্য অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ২২: নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৩: জাতীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৪: জাতীয় স্মৃতি নিদর্শনের সংরক্ষণ।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন ভাগে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
দ্বিতীয় ভাগ
B
তৃতীয় ভাগ
C
চতুর্থ ভাগ
D
পঞ্চম ভাগ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত রয়েছে, যা সংবিধানের তৃতীয় ভাগে বর্ণিত।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সংবিধানের মৌলিক অধিকার: ৩য় ভাগে বিস্তারিতভাবে উল্লেখিত।
-
সংবিধানের ভাগ বা অধ্যায়গুলো:
১. প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
২. দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
৩. তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
৪. চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
৫. পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
৬. ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগ
৭. সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
৮. অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
৯. নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
১০. দশম ভাগ: সংবিধান-সংশোধন
১১. একাদশ ভাগ: বিবিধ
0
Updated: 1 month ago