A
ঢাকা
B
ময়মনসিংহ
C
টাঙ্গাইল
D
কুষ্টিয়া
উত্তরের বিবরণ
কাগমারী সম্মেলন (Kagmari Conference, ১৯৫৭)
-
সময় ও স্থান: ১৯৫৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, টাঙ্গাইল জেলার কাগমারী নামক স্থানে অনুষ্ঠিত।
-
নেতৃত্ব ও আহ্বায়ক: সম্মেলনের আহ্বায়ক ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
-
প্রধান অতিথি: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
-
গুরুত্ব:
-
এটি পূর্ব বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) তথা দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সম্মেলন হিসেবে পরিচিত।
-
সম্মেলনের স্বল্প সময়ের মধ্যেই মাওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) প্রতিষ্ঠা করেন।
-
-
উল্লেখযোগ্য: কাগমারী সম্মেলন পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক, যা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সমন্বয় ঘটিয়েছে।

0
Updated: 23 hours ago
কাগমারী সম্মেলনের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন?
Created: 10 hours ago
A
স্যার সলিমুল্লাহ
B
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
C
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
D
এ কে ফজলুল হক
কাগমারী সম্মেলনের নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, যিনি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। ভাসানী ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার ধনপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তিনি মওলানা ভাসানী নামে পরিচিত এবং ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।
-
১৯৫৭ সালে ভাসানী টাঙ্গাইলের কাগমারিতে একটি বিশাল আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্মেলন আহ্বান করেন, যা পরে ‘কাগমারি সম্মেলন’ নামে খ্যাত হয়।
-
সম্মেলনে তিনি সোহরাওয়ার্দীর বৈদেশিক নীতির তীব্র বিরোধিতা করেন, যা দলের ভাঙনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
-
একই বছরে তিনি ঢাকায় পাকিস্তানের সকল বামপন্থি দলের একটি সম্মেলন আহ্বান করেন এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে একটি নতুন দল গঠন করেন।
-
মওলানা ভাসানী এই দলের সভাপতি হন, এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মাহমুদুল হক ওসমানী সেক্রেটারি জেনারেল হন।
-
এ সময় থেকে ভাসানী প্রকাশ্যে বামপন্থি রাজনীতি অনুসরণ করতে শুরু করেন।

0
Updated: 10 hours ago
কাগমারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়-
Created: 3 days ago
A
রোজ গার্ডেন
B
সিরাজগঞ্জে
C
সন্তোষে
D
সুনামগঞ্জ
কাগমারী সম্মেলন (১৯৫৭)
সময় ও স্থান:
১৯৫৭ সালের ৬ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের নেতৃত্ব ও অতিথি:
-
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
-
প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
সম্মেলনের বিশেষ তাৎপর্য:
এই সম্মেলনেই মাওলানা ভাসানী প্রথমবারের মতো পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের উদ্দেশে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে তাদের সাথে বিদায় জানানোর ইঙ্গিত দেন। ইতিহাসবিদদের মতে, এটিই ছিল পাকিস্তান থেকে পূর্ব বাংলার বিচ্ছিন্নতার প্রাথমিক ঘোষণা বা সূচনা।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 days ago