সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য কত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল?
A
২৫ জন
B
৩০ জন
C
৩৪ জন
D
৩৬ জন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়া:
-
১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
-
কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
-
প্রথম অধিবেশন: খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৭২।
-
উত্থাপন: ১২ অক্টোবর ১৯৭২-এ খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উত্থাপিত হয়।
-
গৃহীত হয়: ৪ নভেম্বর ১৯৭২-এ গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
-
স্বাক্ষর: ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭২-এ গণপরিষদ সদস্যরা সংবিধানে স্বাক্ষর করেন।
-
কার্যকর: সর্বশেষ, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২-এ সংবিধান কার্যকর হয়।
0
Updated: 1 month ago
নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন কে?
Created: 2 months ago
A
রফিক
B
নূর হোসেন
C
শামসুজ্জোহা
D
আসাদ
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন
-
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক অভ্যুত্থারের মাধ্যমে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
-
এরশাদের ক্ষমতা দখলের পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় প্রধানত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
-
টানা ৯ বছর চলা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য, যা স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে।
-
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
-
আন্দোলনের সময়ে গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামা তরুণ নুর হোসেন পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।
-
নুর হোসেন শহিদের মৃত্যু হয় ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা।
0
Updated: 2 months ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 month ago
A
ত্রিপুরা
B
মারমা
C
চাকমা
D
গারো
-
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাস করে চট্টগ্রাম বিভাগে (এ জনগোষ্ঠীর ৬০.০৪%)।
-
উপজাতির সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে (০.২৫%)।
-
বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
জনসংখ্যার পরিসংখ্যান:
-
চাকমা → ৪,৮৩,৩৬৫
-
মারমা → ২,২৪,২৯৯
-
ত্রিপুরা → ১,৫৬,৬২০
-
সাঁওতাল → ১,২৯,০৫৬
-
ওরাওঁ → ৮৫,৮৫৮
-
গারো → ৭৬,৮৫৪
তথ্যসূত্র: পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রথম আদমশুমারি হয়-
Created: 1 month ago
A
১৯৭৯ সালে
B
১৯৭২ সালে
C
১৯৭৩ সালে
D
১৯৭৪ সালে
আদমশুমারি (বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট)
-
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে।
-
সে সময় দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭ কোটি ৬৪ লাখ।
-
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৬টি আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
-
আদমশুমারি হয়েছে যথাক্রমে ১৯৭৪, ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১, ২০১১ ও ২০২২ সালে।
-
সাধারণত প্রতি ১০ বছর অন্তর এ শুমারি অনুষ্ঠিত হয়।
-
সর্বশেষ তথা ৬ষ্ঠ আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২২ সালের ১৫-২১ জুন, যার নাম ছিল “জনশুমারি ও গৃহগণনা”।
-
এ কাজ পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ব্রিটিশ আমলে ভারতের ভাইসরয় লর্ড মেয়ো প্রথম পরিসংখ্যান জরিপ শুরু করেন। তার আমলেই ১৮৭২ সালে উপমহাদেশে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
0
Updated: 1 month ago