A
যারা সরকারের নীতি নির্ধারণ করে।
B
যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাবলী সম্পর্কে একমত পোষণ করে।
C
যারা রাজনৈতিক একক হিসেবে কাজ করে।
D
যারা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
উত্তরের বিবরণ
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Pressure Group) হলো এমন সংগঠন বা গোষ্ঠী, যা সরকার বা নীতিনির্ধারকদের ওপর নির্দিষ্ট দাবি আদায়ের জন্য প্রভাব বিস্তার করে। এরা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা রাখে এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
-
রাজনৈতিক দলের মতোই চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী প্রতিটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য উপাদান। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বোঝার জন্য তাদের গঠন, আকৃতি-প্রকৃতি এবং ভূমিকা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী এমন সংস্থা, যা কিছু সংখ্যক সাধারণ স্বার্থে আবদ্ধ বেসরকারি লোকের সমন্বয়ে গঠিত এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে আইনসভার বাইরে থেকে সরকারি নীতিমালা গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করে। অনেকেই এদের স্বার্থকামী গোষ্ঠী হিসেবেও অভিহিত করেন।
-
অধ্যাপক মাইনর ওয়েনার অনুযায়ী, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো স্বেচ্ছামূলকভাবে সংগঠিত এমন একটি গোষ্ঠী, যা সরকারি কাঠামোর বাইরে অবস্থান করে এবং সরকারি নীতিমালা গ্রহণ, পরিচালনা ও নির্ধারণে প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট থাকে।
-
আলফ্রেড গ্রজিয়ার মতে, এটি একটি সংগঠিত সামাজিক গোষ্ঠী, যা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের আচরণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী তাদের পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে অর্থ ও যানবাহন দিয়ে, প্রচারকাজে সাহায্য করে, যাতে তারা নির্বাচিত হয়ে আইন প্রণয়ন ও শাসন কার্যক্রম পরিচালনার সময় গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে।
-
প্রয়োজনে তারা মিটিং, মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে।

0
Updated: 23 hours ago
বর্তমানে দেশে সরকারিভাবে মোট কয়টি স্থলবন্দর রয়েছে? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 4 days ago
A
১৬টি
B
২০টি
C
২২টি
D
২৪টি
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বিএসবিক)
-
লক্ষ্য:
স্থলপথে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি সহজতর ও উন্নত করা। -
স্থলবন্দর সংখ্যা:
-
দেশে মোট ২৪টি স্থলবন্দর সরকারিভাবে বিদ্যমান।
-
চলমান স্থলবন্দর সংখ্যা: ১৬টি।
-
চলমান স্থলবন্দরসমূহ
-
বাস্থবক পরিচালিত (১১টি):
বেনাপোল, ভোমরা, আখাউড়া, বুড়িমারী, নাকুগাঁও, তামাবিল, সোনাহাট, গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী, বিলোনিয়া, শেওলা, ধানুয়াকামালপুর। -
BOT ভিত্তিতে পরিচালিত (৫টি):
সোনামসজিদ, হিলি, টেকনাফ, বাংলাবান্ধা, বিবিরবাজার। -
চালুর অপেক্ষায় (২টি):
রামগড়, বাল্লা।
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রতিষ্ঠা সাল: ২০০১
-
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান: হ্যাঁ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে
উৎস: বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইট

0
Updated: 4 days ago
স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব হলেন-
Created: 1 week ago
A
সতীন সরকার
B
সৈয়দ আলী আহসান
C
সৈয়দ শামসুল হক
D
শামসুর রহমান
• স্বাধীনতা পদক:
- ‘স্বাধীনতা পদক’ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক।
- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।
- ১৯৭৭ সাল থেকে এই পদক প্রদান করা হচ্ছে।
- স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তদের প্রত্যেককে আঠারো ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, পাঁচ লক্ষ টাকা এবং একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
প্রশ্নে উল্লেখিত চার জন ব্যক্তিই বিভিন্ন সময়ে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
প্রশ্নের অপশনে একাধিক উত্তর থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।
এখানে,
- কবি শামসুর রহমান ১৯৯১ সালে সাহিত্যে,
- যতীন সরকার শিক্ষায় ২০১০ সালে,
- সৈয়দ আলী আহসান সাহিত্যে- ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
এবং
- সৈয়দ শামসুল হক ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখ্য,
অপশনে ‘সতীন’ –এর স্থলে ‘যতীন’ এবং ‘রহমান’ –এর স্থলে ‘রাহমান’ হবে।
উৎস: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওয়েবসাইট, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 3 days ago
A
খাজা নাজিম উদ্দীন
B
নুরুল আমিন
C
লিয়াকত আলী খান
D
মােহাম্মদ আলী জিন্নাহ
ভাষা আন্দোলন
বাংলার মুক্তির ইতিহাসে প্রথম বড় ঘটনা ছিল ভাষা আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালির মধ্যে জাতীয়তাবোধের সূচনা ঘটে।
সূচনা ও পরিণতি
ভাষা আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৭ সালে, আর এর চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় ১৯৫২ সালে।
আন্দোলনের সময়কার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব
-
পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন: ফিরোজ খান নুন
-
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ছিলেন: গোলাম মোহাম্মদ
-
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন: খাজা নাজিমউদ্দীন
-
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন: নুরুল আমিন
অতিরিক্ত তথ্য
-
পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-
পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলী খান।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 days ago