চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী বলতে কী বুঝায়?
A
যারা সরকারের নীতি নির্ধারণ করে।
B
যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাবলী সম্পর্কে একমত পোষণ করে।
C
যারা রাজনৈতিক একক হিসেবে কাজ করে।
D
যারা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
উত্তরের বিবরণ
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Pressure Group) হলো এমন সংগঠন বা গোষ্ঠী, যা সরকার বা নীতিনির্ধারকদের ওপর নির্দিষ্ট দাবি আদায়ের জন্য প্রভাব বিস্তার করে। এরা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা রাখে এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
-
রাজনৈতিক দলের মতোই চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী প্রতিটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য উপাদান। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বোঝার জন্য তাদের গঠন, আকৃতি-প্রকৃতি এবং ভূমিকা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী এমন সংস্থা, যা কিছু সংখ্যক সাধারণ স্বার্থে আবদ্ধ বেসরকারি লোকের সমন্বয়ে গঠিত এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে আইনসভার বাইরে থেকে সরকারি নীতিমালা গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করে। অনেকেই এদের স্বার্থকামী গোষ্ঠী হিসেবেও অভিহিত করেন।
-
অধ্যাপক মাইনর ওয়েনার অনুযায়ী, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো স্বেচ্ছামূলকভাবে সংগঠিত এমন একটি গোষ্ঠী, যা সরকারি কাঠামোর বাইরে অবস্থান করে এবং সরকারি নীতিমালা গ্রহণ, পরিচালনা ও নির্ধারণে প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট থাকে।
-
আলফ্রেড গ্রজিয়ার মতে, এটি একটি সংগঠিত সামাজিক গোষ্ঠী, যা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের আচরণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী তাদের পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে অর্থ ও যানবাহন দিয়ে, প্রচারকাজে সাহায্য করে, যাতে তারা নির্বাচিত হয়ে আইন প্রণয়ন ও শাসন কার্যক্রম পরিচালনার সময় গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে।
-
প্রয়োজনে তারা মিটিং, মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে।
0
Updated: 1 month ago
সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হয় -
Created: 1 week ago
A
পাগ-মার্ক
B
ফুটমার্ক
C
GIS
D
কোয়ার্ডবেট
সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হয় “পাগ-মার্ক” পদ্ধতি, যা বাংলায় বলা হয় “পদচিহ্ন বা পায়ের ছাপের মাধ্যমে গণনা”। এই পদ্ধতিতে বাঘের চলাফেরার পথে তাদের পদচিহ্ন সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে বাঘের আনুমানিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এটি বহু বছর ধরে সুন্দরবনের বাঘ গণনায় একটি ঐতিহ্যবাহী ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত।
ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায়—
• “পাগ-মার্ক পদ্ধতি” মূলত বাঘের পায়ের ছাপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা নির্ধারণের একটি প্রাচীন ও কার্যকর কৌশল। বাঘের প্রতিটি পদচিহ্নের আকার, গভীরতা ও নকশা আলাদা হয়ে থাকে, যা দিয়ে এক বাঘকে অন্য বাঘ থেকে আলাদা করা সম্ভব হয়।
• সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের পদচিহ্ন মাটিতে, বালিতে বা কাদা জমিতে খুব স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। বন বিভাগের কর্মীরা এই ছাপগুলো প্লাস্টার কাস্ট বা মাপের মাধ্যমে সংরক্ষণ করেন।
• প্রতিটি পদচিহ্নের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও আঙুলের বিন্যাস বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করেন, পদচিহ্নটি পুরুষ না স্ত্রী বাঘের, এবং একই বাঘের পুনরাবৃত্তি হয়েছে কি না।
• পাগ-মার্ক পদ্ধতি ব্যয়সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য হওয়ায় অতীতে সুন্দরবনে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হতো, বিশেষ করে যখন আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ক্যামেরা ট্র্যাপ বা ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রচলিত ছিল না।
• তবে বর্তমানে এই পদ্ধতির সঙ্গে ক্যামেরা ট্র্যাপ ও GIS প্রযুক্তিও ব্যবহৃত হচ্ছে, যাতে গণনা আরও নির্ভুল হয়। তবুও, প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পাগ-মার্ক পদ্ধতি এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• এই পদ্ধতি শুধু সংখ্যা নয়, বরং বাঘের গমনপথ, কার্যক্ষেত্র (territory), ও আচরণগত তথ্য সম্পর্কেও ধারণা দেয়।
• যদিও এই পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা আছে—যেমন একই বাঘের একাধিক ছাপ গণনায় আসতে পারে বা বৃষ্টিতে ছাপ নষ্ট হতে পারে—তবুও সুন্দরবনের কঠিন ভূপ্রকৃতির কারণে এটি এখনো বহুল ব্যবহৃত একটি কার্যকর উপায়।
সবশেষে বলা যায়, সুন্দরবনের বাঘ গণনায় “পাগ-মার্ক” পদ্ধতি সবচেয়ে প্রচলিত এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি, যা বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাই সঠিক উত্তর হলো (ক) পাগ-মার্ক।
0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ একক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প কোনটি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
পদ্মা বহুমুখী সেতু
B
পায়রা সমুদ্র বন্দর
C
মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র
D
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
তথ্যগুলো হলো:
-
প্রকল্পের গুরুত্ব: দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প।
-
বাস্তবায়ন সংস্থা: বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।
-
স্থান: পাবনার ঈশ্বরদী।
-
ক্ষমতা: ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট।
-
অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সহায়তা: রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায়, রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট প্রকল্পের প্রধান ঠিকাদার।
-
প্রকল্প খরচ: প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা।
-
মেয়াদ: জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫; পরে বাড়িয়ে ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত করা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান- [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
৪র্থ
B
৩য়
C
২য়
D
১ম
ইলিশ উৎপাদন
-
ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
-
আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৮৬ শতাংশই হয় বাংলাদেশে।
-
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মডেল অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন হবে ৫ লাখ ৩৮ হাজার থেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার টন।
-
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ৭১ হাজার টন ইলিশ ধরা পড়লেও ২০২৪–২৫ অর্থবছরে তা কমে ৫ লাখ ২৯ হাজার টনে দাঁড়ায়।
-
এভাবে ইলিশ আহরণ কমেছে ৪২ হাজার টন।
-
নদ–নদীর গভীরতা হ্রাস, দূষণসহ নানা কারণে ইলিশ উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে।
তথ্যসূত্র: পত্রিকা রিপোর্ট
0
Updated: 1 month ago