চাকমা নৃগোষ্ঠীর প্রধান উৎসবের নাম কী?
A
সোহরাই
B
ওয়ানগালা
C
বিজু
D
বৈসুখ
উত্তরের বিবরণ
চাকমা উপজাতির প্রধান উৎসব হলো বিজু, যা বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে তিন দিনব্যাপী উদযাপিত হয়। এই উৎসবের তিনটি ধাপ রয়েছে—ফুল বিজু, মূল বিজু ও গোজ্যা বিজু—যেখানে ধর্মীয় আচার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য-গীত এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়। বিজু শুধু আনন্দের উৎসব নয়, এটি সামাজিক বন্ধন ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত।
-
চাকমা জনগোষ্ঠী:
-
বাংলাদেশের বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
নিজেদেরকে চাঙমা বলে পরিচয় দেয়।
-
প্রধান বসতি পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে।
-
অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে কিছু স্থানে মিশ্রিত।
-
বর্ষবরণ উৎসবের নাম বিজু।
-
চাকমাদের প্রায় ৯০% রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাস করে।
-
১৮৬০ সালে জুমচাষ নিষিদ্ধ হওয়ার পর তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের পূর্বাঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়।
-
-
অন্যান্য উপজাতি ও তাদের উৎসব:
-
মারমা সম্প্রদায়: ওয়াগ্যোয়াই, ধান কাটার উৎসব।
-
সাঁওতাল সম্প্রদায়: সোহরাই উৎসব।
-
গারো সম্প্রদায়: ওয়ানগালা, ধান কাটার পর দেবতা সেজং-এর পূজা।
-
ত্রিপুরা সম্প্রদায়: বর্ষবরণ উৎসবের নাম বৈসুখ/বৈসু/বাইশু।
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশে বাস করে না?
Created: 1 month ago
A
ডোগরা
B
চাক
C
ডালু
D
কোচ
ডোগরা ও অন্যান্য নৃগোষ্ঠী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
ডোগরা:
-
ইন্দো-আর্য নৃগোষ্ঠী।
-
প্রধান বসবাস: ভারতের জম্মু, হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাব।
-
বাংলাদেশে নেই।
-
-
চাক:
-
বাংলাদেশের একটি উপজাতি।
-
প্রধান বসবাস: বান্দরবান, চট্টগ্রামের চাক পাহাড় ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য।
-
ভাষা: চাক ভাষা।
-
‘চক’ শব্দের অর্থ: ‘দাঁড়ানো’।
-
-
ডালু:
-
বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
স্থান: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ি।
-
তাদের ভাষা সম্পর্কিত অনেকের মতে মণিপুরি।
-
-
কোচ:
-
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার অঞ্চলের প্রাচীন নৃগোষ্ঠী।
-
বাংলাদেশে বসবাস: ময়মনসিংহ জেলা (শেরপুর: ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবর্দী) ও আশেপাশের এলাকায়।
-
উপসংহার:
-
ডোগরা বাংলাদেশে নেই, বাকিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতি।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে বসবাসরত মাতৃতান্ত্রিক নৃগোষ্ঠী-
Created: 1 month ago
A
মারমা
B
সাঁওতাল
C
খাসিয়া
D
ওঁরাও
খাসিয়া হলো বাংলাদেশের একটি মাতৃতান্ত্রিক নৃগোষ্ঠী, যারা গারোদের মতোই মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। তাদের নিজস্ব সামাজিক ব্যবস্থা, বসতি ও ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
-
খাসিয়া জনগোষ্ঠী মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা অনুসরণ করে।
-
এরা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
শারীরিক বৈশিষ্ট্যে: গাত্রবর্ণ হরিদ্রাভ, নাক-মুখ চ্যাপ্টা, চোয়াল উঁচু, চোখ কালো ও ছোট টানা, খর্বকায়।
-
প্রায় পাঁচ শত বছর আগে আসাম থেকে বাংলাদেশে এরা স্থানান্তরিত হয়।
-
খাসিয়াদের গ্রামকে ‘পুঞ্জি’ বলা হয়।
-
পুঞ্জিপ্রধানকে ‘সিয়েম’ বলা হয়।
-
বাংলাদেশের উত্তরপূর্ব সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার অঞ্চলে এদের বসতি।
-
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশেও এরা বসবাস করে।
-
বর্তমানে শতকরা ৮০–৯০ ভাগ খাসিয়া খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কোন জেলায় 'ওরাওঁ' নৃগোষ্ঠী বসবাস করে না?
Created: 2 months ago
A
রাজশাহী
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
বান্দরবান
D
নওগাঁ
বান্দরবানে ‘ওরাওঁ’ নৃগোষ্ঠী বসবাস করে না।
• ওরাওঁ নৃগোষ্ঠী:
-
ওরাওঁ বাংলাদেশের একটি আদিবাসী নৃগোষ্ঠী। তাদের প্রধান বসবাস বরেন্দ্র অঞ্চলে।
-
বরেন্দ্র অঞ্চল বলতে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো বোঝানো হয়—যেমন: রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, জয়পুরহাট, বগুড়া, দিনাজপুর ও গাইবান্ধা।
-
এছাড়া তারা কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন গ্রামেও বসবাস করে।
-
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওরাওঁ জনগোষ্ঠী দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে।
-
বর্তমানে গাজীপুর, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলাতেও তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago