A
অক্সিন
B
অ্যাবসিসিক এসিড
C
ফ্লোরিজেন
D
ইথিলিন
উত্তরের বিবরণ
ফাইটোহরমোন হলো উদ্ভিদদেহে উৎপন্ন একধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং বিভিন্ন অঙ্গের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। এগুলো ক্ষুদ্র মাত্রায় উপস্থিত থাকলেও উদ্ভিদের জীববৈজ্ঞানিক কাজের জন্য অপরিহার্য।
-
যে রাসায়নিক পদার্থ উদ্ভিদে উৎপন্ন হয়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশ, অঙ্গ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে তাকে ফাইটোহরমোন (Phytohormones) বলা হয়।
-
কিছু গবেষক ফাইটোহরমোনকে উদ্ভিদ বৃদ্ধিকারক পদার্থ (Plant growth substances) হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।
-
যে রাসায়নিক কোষে উৎপন্ন হয় এবং উৎপত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী কোষ বা কোষপুঞ্জের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে হরমোন (Hormone) বলা হয়।
-
উদ্ভিদের প্রতিটি কোষই হরমোন উৎপন্ন করতে সক্ষম।
-
এরা পুষ্টিদ্রব্য নয়, কিন্তু ক্ষুদ্রমাত্রায় উদ্ভিদের বিভিন্ন জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
ফাইটোহরমোনের উদাহরণ:
-
অক্সিন (Auxin)
-
জিবেরেলিন (Gibberellin)
-
সাইটোকাইনিন (Cytokinin)
-
অ্যাবসিসিক এসিড (Abscisic acid)
-
ইথিলিন (Ethylene)
পসটুলেটেড হরমোন (Postulated hormones):
-
কিছু হরমোন রয়েছে যাদের শনাক্ত করা যায়নি, যেমন ফুল ও জনন সংশ্লিষ্ট অঙ্গের বিকাশে সহায়ক।
-
প্রধান হরমোন: ফ্লোরিজেন (Florigen) ও ভার্নালিন (Vernalin)।
-
ফ্লোরিজেন: পাতায় উৎপন্ন হয়ে পত্রমূলে স্থানান্তরিত হয় এবং পত্রমুকুলকে পুষ্পমুকুলে রূপান্তরিত করে।
-
ফ্লোরিজেন উদ্ভিদে ফুল ফোটাতে সহায়তা করে।

0
Updated: 23 hours ago
মানবদেহে কোন হরমোনের ঘাটতিতে ডায়াবেটিস দেখা দেয়?
Created: 12 hours ago
A
গ্লুকাগন
B
থাইরক্সিন
C
কর্টিসল
D
ইনসুলিন
ডায়াবেটিস হলো একটি বিপাকজনিত রোগ যা ইনসুলিনের অপর্যাপ্ত উৎপাদন বা কার্যকারিতার অভাবে দেখা দেয়। ইনসুলিন শরীরের কোষে গ্লুকোজ পরিবহনে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ইনসুলিন:
-
ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্স-এর বিটা কোষ থেকে নিঃসৃত হয়।
-
এটি রক্ত থেকে কোষে গ্লুকোজ পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ইনসুলিনের অভাব বা কোষের প্রতি সংবেদনশীলতা হারালে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিসের কারণ হয়।
-
ইনসুলিন কোষের ভিতরে গ্লুকোজ প্রবেশে সহায়তা করে, যা থেকে শক্তি উৎপাদিত হয়।
-
এটি যকৃত এবং পেশিতে গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন হিসেবে জমা রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস (Diabetes Mellitus):
-
বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস হলো এক ধরনের বিপাকজনিত রোগ।
-
ইনসুলিনের অভাবে বা কার্যকারিতা হ্রাসে ডায়াবেটিস হয়।
-
কেউ যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তবে প্যানক্রিয়াস পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না, অথবা শরীর ইনসুলিন ব্যবহার করতে অক্ষম হয়।
-
এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
-
টাইপ-১ ডায়াবেটিস: শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।
-
টাইপ-২ ডায়াবেটিস: শরীর ইনসুলিন তৈরি করলেও কোষগুলো যথাযথ সাড়া দেয় না।

0
Updated: 12 hours ago
নিচের কোন ধরনের কোলেস্টেরল মানবদেহে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে?
Created: 23 hours ago
A
HDL (High-Density Lipoprotein)
B
LDL (Low-Density Lipoprotein)
C
VLDL (Very Low Density Lipoprotein)
D
Triglyceride
HDL (High Density Lipoprotein) হলো রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ লিপোপ্রোটিন, যা সাধারণত “ভালো কোলেস্টেরল” (Good Cholesterol) নামে পরিচিত। এটি অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সংগ্রহ করে লিভারে নিয়ে যায়, যেখানে তা ভেঙে যায় বা দেহ থেকে অপসারণ হয়। ফলে রক্তনালিতে ফ্যাটি প্লাক জমে না এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
কোলেস্টেরল (Cholesterol):
-
কোলেস্টেরল হলো হাইড্রোকার্বন কোলেস্টেইন (Cholestane) থেকে উৎপন্ন একটি যৌগ।
-
এটি উচ্চশ্রেণির প্রাণিজ কোষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
-
কোলেস্টেরল রক্তে প্রবাহিত হয় লিপোপ্রোটিন নামক যৌগের মাধ্যমে।
-
রক্তে তিন ধরনের লিপোপ্রোটিন দেখা যায়:
১। LDL (Low Density Lipoprotein):
-
একে সাধারণত খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়।
-
এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
-
মানুষের রক্তে সাধারণত ৭০% LDL থাকে, তবে ব্যক্তি বিশেষে ভিন্নতা থাকতে পারে।
-
রক্তে এই কোলেস্টেরলের আদর্শ মান হলো < 1.8 mmol/L।
২। HDL (High Density Lipoprotein):
-
একে সাধারণত ভালো কোলেস্টেরল বলা হয়।
-
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
-
রক্তে এই কোলেস্টেরলের আদর্শ মান হলো > 1.5 mmol/L।
৩। ট্রাই-গ্লিসারাইড (Triglyceride):
-
এটি রক্তের প্লাজমায় চর্বি হিসেবে অবস্থান করে।
-
খাদ্যের প্রাণিজ চর্বি অথবা কার্বোহাইড্রেট থেকে তৈরি হয়।
-
রক্তে এই কোলেস্টেরলের আদর্শ মান হলো < 1.7 mmol/L।
উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার:
-
মাখন, চিংড়ি, ঝিনুক, গবাদিপশুর যকৃৎ, ডিম (বিশেষ করে ডিমের কুসুম)।

0
Updated: 23 hours ago