উদ্ভিদের কোন হরমোন ফুল ফোটানোর প্রক্রিয়ায় সরাসরি ভূমিকা রাখে?
A
অক্সিন
B
অ্যাবসিসিক এসিড
C
ফ্লোরিজেন
D
ইথিলিন
উত্তরের বিবরণ
ফাইটোহরমোন হলো উদ্ভিদদেহে উৎপন্ন একধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং বিভিন্ন অঙ্গের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। এগুলো ক্ষুদ্র মাত্রায় উপস্থিত থাকলেও উদ্ভিদের জীববৈজ্ঞানিক কাজের জন্য অপরিহার্য।
-
যে রাসায়নিক পদার্থ উদ্ভিদে উৎপন্ন হয়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশ, অঙ্গ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে তাকে ফাইটোহরমোন (Phytohormones) বলা হয়।
-
কিছু গবেষক ফাইটোহরমোনকে উদ্ভিদ বৃদ্ধিকারক পদার্থ (Plant growth substances) হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।
-
যে রাসায়নিক কোষে উৎপন্ন হয় এবং উৎপত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী কোষ বা কোষপুঞ্জের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে হরমোন (Hormone) বলা হয়।
-
উদ্ভিদের প্রতিটি কোষই হরমোন উৎপন্ন করতে সক্ষম।
-
এরা পুষ্টিদ্রব্য নয়, কিন্তু ক্ষুদ্রমাত্রায় উদ্ভিদের বিভিন্ন জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
ফাইটোহরমোনের উদাহরণ:
-
অক্সিন (Auxin)
-
জিবেরেলিন (Gibberellin)
-
সাইটোকাইনিন (Cytokinin)
-
অ্যাবসিসিক এসিড (Abscisic acid)
-
ইথিলিন (Ethylene)
পসটুলেটেড হরমোন (Postulated hormones):
-
কিছু হরমোন রয়েছে যাদের শনাক্ত করা যায়নি, যেমন ফুল ও জনন সংশ্লিষ্ট অঙ্গের বিকাশে সহায়ক।
-
প্রধান হরমোন: ফ্লোরিজেন (Florigen) ও ভার্নালিন (Vernalin)।
-
ফ্লোরিজেন: পাতায় উৎপন্ন হয়ে পত্রমূলে স্থানান্তরিত হয় এবং পত্রমুকুলকে পুষ্পমুকুলে রূপান্তরিত করে।
-
ফ্লোরিজেন উদ্ভিদে ফুল ফোটাতে সহায়তা করে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন ধরনের কোলেস্টেরল মানবদেহে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে?
Created: 1 month ago
A
HDL (High-Density Lipoprotein)
B
LDL (Low-Density Lipoprotein)
C
VLDL (Very Low Density Lipoprotein)
D
Triglyceride
HDL (High Density Lipoprotein) হলো রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ লিপোপ্রোটিন, যা সাধারণত “ভালো কোলেস্টেরল” (Good Cholesterol) নামে পরিচিত। এটি অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সংগ্রহ করে লিভারে নিয়ে যায়, যেখানে তা ভেঙে যায় বা দেহ থেকে অপসারণ হয়। ফলে রক্তনালিতে ফ্যাটি প্লাক জমে না এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
কোলেস্টেরল (Cholesterol):
-
কোলেস্টেরল হলো হাইড্রোকার্বন কোলেস্টেইন (Cholestane) থেকে উৎপন্ন একটি যৌগ।
-
এটি উচ্চশ্রেণির প্রাণিজ কোষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
-
কোলেস্টেরল রক্তে প্রবাহিত হয় লিপোপ্রোটিন নামক যৌগের মাধ্যমে।
-
রক্তে তিন ধরনের লিপোপ্রোটিন দেখা যায়:
১। LDL (Low Density Lipoprotein):
-
একে সাধারণত খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়।
-
এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
-
মানুষের রক্তে সাধারণত ৭০% LDL থাকে, তবে ব্যক্তি বিশেষে ভিন্নতা থাকতে পারে।
-
রক্তে এই কোলেস্টেরলের আদর্শ মান হলো < 1.8 mmol/L।
২। HDL (High Density Lipoprotein):
-
একে সাধারণত ভালো কোলেস্টেরল বলা হয়।
-
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
-
রক্তে এই কোলেস্টেরলের আদর্শ মান হলো > 1.5 mmol/L।
৩। ট্রাই-গ্লিসারাইড (Triglyceride):
-
এটি রক্তের প্লাজমায় চর্বি হিসেবে অবস্থান করে।
-
খাদ্যের প্রাণিজ চর্বি অথবা কার্বোহাইড্রেট থেকে তৈরি হয়।
-
রক্তে এই কোলেস্টেরলের আদর্শ মান হলো < 1.7 mmol/L।
উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার:
-
মাখন, চিংড়ি, ঝিনুক, গবাদিপশুর যকৃৎ, ডিম (বিশেষ করে ডিমের কুসুম)।
0
Updated: 1 month ago
কোন হরমনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয়?
Created: 4 days ago
A
থাইরয়েড
B
ইনসুলিন
C
গ্রোথ হরমোন
D
গ্লোকাকন
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ মূলত ঘটে ইনসুলিন হরমোনের অভাব বা কার্যকারিতা হ্রাসের কারণে। ইনসুলিন হলো অগ্ন্যাশয়ের (Pancreas) বিটা কোষ থেকে নিঃসৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন, যা শরীরে গ্লুকোজ বা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনের সঠিক নিঃসরণ বা কার্যক্ষমতা ব্যাহত হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়।
-
ইনসুলিন শরীরে রক্তের গ্লুকোজকে কোষে প্রবেশ করিয়ে তা শক্তি হিসেবে ব্যবহারে সাহায্য করে। ইনসুলিনের অভাবে গ্লুকোজ রক্তে জমে থেকে রক্তের শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়।
-
ডায়াবেটিসের দুইটি প্রধান ধরন রয়েছে — টাইপ–১ এবং টাইপ–২।
-
টাইপ–১ ডায়াবেটিসে শরীরের ইমিউন সিস্টেম অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ ধ্বংস করে দেয়, ফলে ইনসুলিন তৈরি হয় না।
-
টাইপ–২ ডায়াবেটিসে ইনসুলিন তৈরি হলেও শরীর তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না, যাকে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বলা হয়।
-
-
ইনসুলিনের ঘাটতির কারণে শরীর কোষে পর্যাপ্ত শক্তি উৎপাদন করতে পারে না, ফলে রোগীরা সাধারণত অতিরিক্ত পিপাসা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ওজন হ্রাস, ক্লান্তি ও দৃষ্টিবিভ্রম অনুভব করেন।
-
ইনসুলিন না থাকলে রক্তে গ্লুকোজ বাড়তে থাকে এবং তা ধীরে ধীরে কিডনি, চোখ, স্নায়ু ও হৃদপিণ্ডে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে।
-
অগ্ন্যাশয়ের এই হরমোন শরীরের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে রাখে; অর্থাৎ এটি শুধু গ্লুকোজ নয়, বরং চর্বি ও প্রোটিন বিপাকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
চিকিৎসায় টাইপ–১ ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণত ইনসুলিন ইনজেকশন দিতে হয়, কারণ তাদের শরীর প্রাকৃতিকভাবে ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না।
-
টাইপ–২ ডায়াবেটিসে প্রথমে খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও ওষুধের মাধ্যমে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
-
ইনসুলিনের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে চিনি ও পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি।
-
কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণ, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ওজন, ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
-
গবেষণায় দেখা গেছে, ইনসুলিন উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ না হলেও শরীরের কোষ যদি ইনসুলিনের প্রতি সাড়া না দেয়, তবুও ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে।
সব দিক বিবেচনায়, ডায়াবেটিস রোগের মূল কারণ হলো ইনসুলিন হরমোনের অভাব বা কার্যকারিতা হ্রাস, যা শরীরের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। তাই সঠিক উত্তর — খ) ইনসুলিন।
0
Updated: 4 days ago
ইনসুলিন দেহের কোন অঙ্গ থেকে নিঃসৃত হয়?
Created: 4 weeks ago
A
লিভার
B
পিটুইটারি
C
থাইরয়েড
D
অগ্ন্যাশয়
ইনসুলিন একটি হরমোন যা অগ্ন্যাশয়ের Islets of Langerhans-এর বিটা কোষ থেকে নিঃসৃত হয়। এটি রক্তে বিদ্যমান গ্লুকোজকে দেহ কোষে প্রবেশে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তের গ্লুকোজের উচ্চমাত্রা হ্রাস পেয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে। যদি অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত না হয়, কম নিঃসৃত হয় বা নিঃসৃত ইনসুলিন কার্যকর না হয়, তখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় এবং ডায়াবেটিস রোগ সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় রোগীকে প্রয়োজন হয় ইনসুলিন ইনজেকশন।
ইনসুলিন একটি ক্ষুদ্রাকার সরল প্রোটিন, যা ৫১টি অ্যামাইনো অ্যাসিড নিয়ে গঠিত। এটি দুটি পলিপেপটাইড চেইন নিয়ে গঠিত—চেইন A-তে ২১টি এবং চেইন B-তে ৩০টি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। এই দুটি চেইন দুটি ডাইসালফাইড বন্ডের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ ইনসুলিন অণু তৈরি করে।
0
Updated: 4 weeks ago