A
হৃদপিণ্ড
B
যকৃত
C
বৃক্ক
D
ফুসফুস
উত্তরের বিবরণ
যকৃত মানবদেহের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ অঙ্গ এবং এটি পরিপাকতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অঙ্গ হলো প্রাণিদেহের একটি নির্দিষ্ট অংশ, যা এক বা একাধিক টিস্যু দিয়ে গঠিত এবং নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে। দেহের অঙ্গসমূহ নিয়ে জীববিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে বলা হয় অঙ্গসংস্থানবিদ্যা (Morphology)। মানুষের দেহে একাধিক তন্ত্র রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন অঙ্গ ও অঙ্গতন্ত্রের মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করে।
-
অঙ্গ (Organ): প্রাণিদেহের অংশবিশেষ, যা একই অথবা ভিন্ন ধরনের টিস্যু দিয়ে তৈরি হয় এবং একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে।
-
অঙ্গসংস্থানবিদ্যা: দেহের অঙ্গসমূহ ও তাদের গঠন নিয়ে আলোচনা করা জীববিজ্ঞানের শাখা।
মানবদেহের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য তন্ত্র হলো:
১। পরিপাকতন্ত্র (Digestive system):
-
খাদ্যগ্রহণ, পরিপাক, শোষণ এবং অপাচ্য খাদ্যাংশ নিষ্কাশনের সাথে জড়িত।
-
এর দুটি প্রধান অংশ হলো পৌষ্টিক নালি (digestive canal) এবং পৌষ্টিক গ্রন্থি (digestive glands)।
-
পৌষ্টিক নালি গঠিত মুখছিদ্র, মুখগহ্বর, গলবিল, অন্ননালি, পাকস্থলী, ডিওডেনাম, ইলিয়াম, রেকটাম বা মলাশয় এবং পায়ুছিদ্র দ্বারা।
-
পৌষ্টিক গ্রন্থির মধ্যে লালাগ্রন্থি, যকৃত এবং অগ্ন্যাশয় অন্তর্ভুক্ত। এদের নিঃসৃত রস খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে।
২। শ্বসনতন্ত্র (Respiratory system):
-
নাসারন্ধ্র, গলবিল, ল্যারিংস, ট্রাকিয়া, ব্রঙ্কাস, ব্রঙ্কিওল, অ্যালভিওলাই এবং একজোড়া ফুসফুস নিয়ে গঠিত।
-
পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে খাদ্যের জারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে, যা দেহের দৈনন্দিন কাজ সম্পাদনে সহায়তা করে।
৩। স্নায়ুতন্ত্র (Nervous system):
-
দেহের বাইরের ও ভেতরের উদ্দীপনা গ্রহণ এবং তার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
মস্তিষ্ক, সুষুম্নাকাণ্ড এবং করোটিক স্নায়ু নিয়ে গঠিত।
-
স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র (Autonomic Nervous System) অনৈচ্ছিক পেশির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
৪। রেচনতন্ত্র (Excretory system):
-
বিপাক প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট নাইট্রোজেনযুক্ত বর্জ্য পদার্থ দেহ থেকে অপসারণ করে।
-
একজোড়া বৃক্ক, একজোড়া ইউরেটার, একটি মূত্রথলি এবং একটি মূত্রনালি (ইউরেথ্রা) নিয়ে গঠিত।

0
Updated: 23 hours ago
মানবদেহে আকারে সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘতম হাড়ের নাম কী?
Created: 4 days ago
A
Humerus
B
Femur
C
Tibia
D
Radius
ফিমার বা উরুর হাড় মানবদেহের সবচেয়ে দীর্ঘ হাড়।
ফিমার (Femur):
- এটি মানবদেহের দীর্ঘতম এবং বৃহত্তম হাড়।
- পায়ের গঠন ও কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ফিমার শরীরের ওজনকে সমর্থন করার জন্য এবং হাঁটা, দৌড়ানো এবং লাফানো সহ বিভিন্ন পায়ের নড়াচড়ার সুবিধার জন্য দায়ী। - এর উর্ধ্বপ্রান্তে একটি গোল মস্তক, গ্রীবা ও ছোট-বড় ট্রোকেল্টার অবস্থিত।
- নিম্নপ্রান্ত দুটি কন্ডাইল বিশিষ্ট।
- ফিমারের মস্তক শ্রোণিচক্রে অ্যাসিটাবুলামের সাথে যুক্ত থাকে।
- এর প্রান্তে প্যাটেল (Patella) নামক চ্যাপ্টা সিগময়েড অস্থি থাকে। উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
ফিমার (Femur):
- এটি মানবদেহের দীর্ঘতম এবং বৃহত্তম হাড়।
- পায়ের গঠন ও কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ফিমার শরীরের ওজনকে সমর্থন করার জন্য এবং হাঁটা, দৌড়ানো এবং লাফানো সহ বিভিন্ন পায়ের নড়াচড়ার সুবিধার জন্য দায়ী।
- নিম্নপ্রান্ত দুটি কন্ডাইল বিশিষ্ট।
- ফিমারের মস্তক শ্রোণিচক্রে অ্যাসিটাবুলামের সাথে যুক্ত থাকে।
- এর প্রান্তে প্যাটেল (Patella) নামক চ্যাপ্টা সিগময়েড অস্থি থাকে।

0
Updated: 4 days ago
মানবদেহে লােহিত কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন?
Created: 4 days ago
A
৭ দিন
B
৩০ দিন
C
১৮০ দিন
D
উপরের কোনটিই নয়
লোহিত রক্তকণিকার আয়ু ও বৈশিষ্ট্য
মানবদেহের লোহিত রক্তকণিকা বা Red Blood Cell (RBC) বিশেষভাবে দ্বি-অবতল চাকতি আকৃতির হয়। এগুলোতে কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না। এর ভেতরে থাকে হিমোগ্লোবিন, যার কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।
লোহিত কণিকাগুলোকে আসলে হিমোগ্লোবিনে পূর্ণ একেকটি ভাসমান থলের মতো মনে করা যায়। এদের চ্যাপ্টা আকৃতির কারণে স্বাভাবিক আকারের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পরিবহন করা সম্ভব হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, লোহিত কণিকা বিভাজিত হতে পারে না। এগুলো সার্বক্ষণিকভাবে অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং সেখান থেকে রক্তে প্রবেশ করে।
প্রতিটি লোহিত রক্তকণিকার গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ৪ মাস বা ১২০ দিন।
উৎস: বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 4 days ago
মানবদেহ কোন ধরনের শর্করা শোষণ করতে পারে?
Created: 6 days ago
A
সরল শর্করা
B
দ্বি-শর্করা
C
বহু শর্করা
D
সবগুলোই
শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate):
- শর্করা জাতীয় খাদ্য শরীরে কাজ করার শক্তি যোগায়।
- শর্করার মৌলিক উপাদান কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন।
- উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড, পাতা, ফুল, ফল ও বীজে শর্করা বিভিন্নরূপে জমা থাকে।
- ফলের রসের গ্লুকোজ, দুধের ল্যাকটোজ, গম, আলু, চাল ইত্যাদি শর্করাজাতীয়
খাদ্যের বিভিন্ন রূপ।
- গঠনপদ্ধতি অনুসারে শর্করাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
- নিচের সারণিতে এই তিন ধরনের শর্করার গঠন এবং উৎস দেখানো হলো-

0
Updated: 6 days ago