বাংলাদেশে প্রধান বীজ উৎপাদনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান -
A
BARI
B
BINA
C
BADC
D
BRRI
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে প্রধান সরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (BADC), যা দেশের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং কৃষকদের মানসম্মত কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করে।
-
BADC বাংলাদেশের প্রধান সরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
-
এটি কৃষি উপকরণ সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত এবং দেশের কৃষি উন্নয়নের কাজ তদারকি করে।
-
BADC বিভিন্ন ফসলের উফশী বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও সরবরাহ করে।
-
এছাড়াও এটি সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কৃষক পর্যায়ে মানসম্মত সার সরবরাহ নিশ্চিত করে।
-
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর BADC নাম ধারণ করে।
-
এর প্রধান কার্যালয় ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন তারিখে বুদ্ধিজীবীদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়?
Created: 2 months ago
A
২৫ মার্চ ১৯৭১
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১
D
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
মুক্তিযুদ্ধকালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ঘটনা হলো বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয় এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ড মূলত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়েছিল। হত্যার লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বহীন ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দুর্বল করে ফেলা। এই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক, লেখক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদেরকেও হত্যার শিকার হতে হয়।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
সার্বিক নির্দেশনা: জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী (পাক সেনা, ইস্টার্ন কমান্ড)
-
সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন: মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
-
বাস্তবায়নে: ব্রিগেডিয়ার বশির, লেঃ কর্নেল হেজাজী, মেজর আসলাম, মেজর জহুর, ক্যাপ্টেন নাসের, ক্যাপ্টেন কাইউম
-
স্থানীয় সহযোগী: আলবদর ও আলশামস বাহিনী
-
আলবদর: জামাত ইসলামের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যরা
-
আলশামস: মুসলিম লীগ, জামায়েত ইসলামি ও উর্দুভাষী বিহারীদের সমন্বয়ে গঠিত
-
-
হত্যা সংঘটিত স্থান: ঢাকার মিরপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা
১৯৭১ সালের এই হত্যাকাণ্ডের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়, যেখানে দেশ এই মহান বীর সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
উৎস: উচ্চমাধ্যমিক পৌরনীতি ও সুশাসন (২য় পত্র), বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
কোনটি বিচার বিভাগের কাজ নয়?
Created: 3 weeks ago
A
আইনের প্রয়োগ
B
আইনের ব্যাখ্যা
C
সংবিধানের ব্যাখ্যা
D
সংবিধান প্রণয়ন
বিচার বিভাগ দেশের শাসন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শুধু মামলার নিষ্পত্তি নয় বরং আইন, শাসন ও সংবিধানের রক্ষা নিশ্চিত করে।
এটি দেশের সমস্ত বিচারকের দ্বারা গঠিত এবং দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বিচার বিভাগের কার্যাবলি নিম্নরূপ:
বিচার সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনকে বাস্তবায়ন করে এবং দেশের আইনের প্রতি আনুগত্য নিশ্চিত করে।
-
এটি ব্যক্তির, রাষ্ট্রের এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উদ্ভূত বিরোধ সমাধান করে।
আইন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা প্রদান করে এবং প্রয়োজনে নিজের মতামতও প্রতিফলিত করে।
-
এই ব্যাখ্যাগুলো পরবর্তীতে উদাহরণ (precedent) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শাসন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ শুধু মামলার নিষ্পত্তি করে না, শাসন সংক্রান্ত কাজও করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, নাবালকের সম্পত্তি তদারকি করা বা বিদেশী নাগরিককে নাগরিকত্ব প্রদান করা।
পরামর্শ প্রদান
-
শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগ প্রায়ই বিচার বিভাগের পরামর্শের উপর নির্ভর করে।
-
বিচার বিভাগ এখানে জ্ঞানসমৃদ্ধ পরামর্শ বা উপদেশ (advice) প্রদান করে।
জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা
-
বিচার বিভাগ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করে।
-
শাসন বিভাগের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে এটি একমাত্র প্রতিরক্ষা হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে এবং প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা (injunction) জারি করে।
তদন্ত সংক্রান্ত কাজ
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার জনগণের সম্পত্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে বাধ্য।
-
অন্যায়, জোর-জবরদস্তি, অপরাধ বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ তদন্ত পরিচালনা করে এবং আইন শাসন নিশ্চিত করে।
সংবিধান সংরক্ষণ
-
বিচার বিভাগ সংবিধানের রক্ষক (guardian of the constitution)।
-
সংবিধান ব্যাখ্যা করে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে বিবাদ সমাধান করে এবং সংবিধানের প্রাধান্য নিশ্চিত করে।
ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা
-
ন্যায় প্রতিষ্ঠা বিচার বিভাগের একটি মূল কাজ।
-
এটি মামলা পরিচালনা করে নথি পর্যালোচনা, সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ এবং অপরাধীর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে।
0
Updated: 3 weeks ago
লর্ড ক্যানিং ভারত উপমহাদেশে প্রথম কোন ব্যবস্থা চালু করেন?
Created: 2 months ago
A
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা
B
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা
C
সতীদাহ নিবারণ ব্যবস্থা
D
পুলিশ ব্যবস্থা
লর্ড ক্যানিং এবং ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার
লর্ড জন ক্যানিং ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল (১৮৫৬–১৮৬২) এবং ১৮৫৮ সালের ১ নভেম্বর থেকে ভারতের প্রথম ভাইসরয়। তাঁর প্রশাসনের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ। তিনি এই বিদ্রোহ দমন করেন, এবং এর পর ১৮৫৮ সালে পার্লামেন্টারি আইন প্রণীত হয়।
লর্ড ক্যানিংয়ের উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহ:
-
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম কাগজের মুদ্রা প্রচলন। এর আগে মূলত স্বর্ণ ও রূপি ব্যবহার হতো।
-
প্রথম বার্ষিক বাজেট ঘোষণা।
-
১৮৬১ সালে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা, যা আধুনিক পুলিশ ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে।
অন্য প্রশাসনিক সংস্কারের কিছু উদাহরণ:
-
লর্ড কর্নওয়ালিশ (১৭৯৩): ভূমি ব্যবস্থাপনায় ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন।
-
রবার্ট ক্লাইভ (১৭৬৫): বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন।
-
উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৯): সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তি সংক্রান্ত আইন অনুমোদন।
উৎস: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago