A
ভারত
B
রাশিয়া
C
ভুটান
D
নেপাল
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে ভুটান ছিল প্রথম দেশ, যা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। একই দিনে, অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ, ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পরিচিত হয়।
সরকার ও পররাষ্ট্র সচিবের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশের মধ্যে ভুটান প্রথম এবং ভারত দ্বিতীয়।
আরব দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রাপ্তি
আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ইরাক, যা ৮ জুলাই ১৯৭২ সালে প্রদান করা হয়। এর পর লেবানন ২৮ মার্চ ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ইরান তারপরে ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
উৎসসমূহ
-
বাংলাপিডিয়া
-
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য কতজন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
Created: 1 week ago
A
৫ জন
B
৭ জন
C
২ জন
D
৬ জন
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক ঘোষণায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানসূচক খেতাবে ভূষিত করা হয়।
এই খেতাবগুলো নিম্নরূপ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – ৭ জন
-
বীর উত্তম – ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম – ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক – ৪২৬ জন
এই সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজন নারী মুক্তিযোদ্ধা 'বীর প্রতীক' খেতাব অর্জন করেন, যারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহস ও আত্মত্যাগের নজির স্থাপন করেছিলেন।
তারা হলেন:
-
ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম
-
তারামন বিবি
মুক্তিযুদ্ধে নারীর সাহসী অংশগ্রহণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত—নারীদের অংশগ্রহণ ছিল স্পষ্ট ও বলিষ্ঠ।
মুক্তিযুদ্ধ ছিল এক সর্বজনীন গণযুদ্ধ, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই অস্ত্র, শারীরিক শ্রম, সেবা ও গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে ভূমিকা রেখেছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী:
-
গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: ২০৩ জন
-
বর্তমানে সরকার স্বীকৃত বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: ৪৪৮ জন
-
খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা: ২ জন (উভয়ই ‘বীর প্রতীক’)
এই দুই নারী শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ডয়েচ ভেলে।

0
Updated: 1 week ago
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য 'বীরপ্রতীক' উপাধি লাভ করে কতজন?
Created: 1 week ago
A
৭ জন
B
৬৮ জন
C
১৭৫ জন
D
৪২৬ জন
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চারটি শ্রেণির বীরত্বসূচক খেতাবে ভূষিত করে। এই বীরত্বসূচক উপাধিগুলো হলো:
-
বীরশ্রেষ্ঠ (সর্বোচ্চ সম্মাননা) – ৭ জন
-
বীর উত্তম (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা) – ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম (তৃতীয় স্তরের সম্মাননা) – ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক (চতুর্থ স্তরের সম্মাননা) – ৪২৬ জন
খেতাব বাতিলের ঘটনা:
পরবর্তীতে, ২০২১ সালের ৬ জুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চার আসামির মুক্তিযুদ্ধে প্রদত্ত খেতাব বাতিল করে দেয়। খেতাব বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন:
-
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম)
-
লেফটেন্যান্ট কর্নেল নূর চৌধুরী (বীর বিক্রম)
-
লে. এ এম রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক)
-
নায়েক সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খান (বীর প্রতীক)
বর্তমান খেতাবপ্রাপ্তদের সংখ্যা:
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে বীরত্বসূচক উপাধিপ্রাপ্ত বীরদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৭২ জনে। এদের মধ্যে রয়েছেন:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীর উত্তম: ৬৭ জন
-
বীর বিক্রম: ১৭৪ জন
-
বীর প্রতীক: ৪২৪ জন
(তথ্যসূত্র: বাংলা পিডিয়া ও প্রথম আলো)

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কতজনকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
২৫৭ জন
B
১৬৩ জন
C
৪৪ জন
D
৬৮ জন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বীকৃতির তথ্য:
• স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নিম্নোক্ত খেতাব প্রদান করা হয়:
- বীরশ্রেষ্ঠ - ৭ জন,
- বীর উত্তম - ৬৮ জন,
- বীর বিক্রম - ১৭৫ জন,
- বীর প্রতীক - ৪২৬ জন।
• তাদের মধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত চারজন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় গত ৬ জুন ২০২১ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের খেতাব বাতিল করে।
এরা হলেন:
- লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম) [সেনাবাহিনী],
- লে. কর্নেল নূর চৌধুরী (বীর বিক্রম),
- লে. এ এম রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক),
- নায়েক সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খান (বীর প্রতীক)।
∴ বর্তমানে (২০২১) মুক্তিযুদ্ধের খেতাবধারীর সংখ্যা - মোট ৬৭২ জন।
- বীরশ্রেষ্ঠ - ৭ জন,
- বীর উত্তম - ৬৭ জন,
- বীর বিক্রম - ১৭৪ জন,
- বীর প্রতীক - ৪২৪ জন।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং প্রথম আলো রিপোর্ট।

0
Updated: 2 weeks ago