A
নদীয়া
B
ত্রিপুরা
C
পুরুলিয়া
D
বরিশাল
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার আঞ্চলিক কথ্য রীতিতে অঞ্চলভেদে ভিন্নতা দেখা যায়, আর এই ভিন্নতাকেই উপভাষা বলা হয়। প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের উচ্চারণ ও ব্যবহারে পার্থক্য থাকলেও তা সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব।
তথ্যগুলো হলোঃ
-
বাঙ্গালি উপভাষা: বাংলাদেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
-
পূর্বি উপভাষা: বাংলাদেশের পূর্ব অঞ্চল, ত্রিপুরা ও আসামের বরাক উপত্যকায় প্রচলিত।
-
বরেন্দ্রি উপভাষা: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
-
কামরূপি উপভাষা: বিহারের পূর্বাংশ, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ এবং বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলে প্রচলিত।
-
রাঢ়ি উপভাষা: পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
-
ঝাড়খণ্ডি উপভাষা: পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল ও ঝাড়খণ্ডের পূর্বাঞ্চলে প্রচলিত।
উপরের তথ্যের আলোচনায় দেখা যায়, প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে বরিশাল সবচেয়ে যথার্থ উত্তর।

0
Updated: 23 hours ago
লর্ড ক্যানিং ভারত উপমহাদেশে প্রথম কোন ব্যবস্থা চালু করেন?
Created: 3 weeks ago
A
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা
B
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা
C
সতীদাহ নিবারণ ব্যবস্থা
D
পুলিশ ব্যবস্থা
লর্ড ক্যানিং এবং ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার
লর্ড জন ক্যানিং ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল (১৮৫৬–১৮৬২) এবং ১৮৫৮ সালের ১ নভেম্বর থেকে ভারতের প্রথম ভাইসরয়। তাঁর প্রশাসনের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ। তিনি এই বিদ্রোহ দমন করেন, এবং এর পর ১৮৫৮ সালে পার্লামেন্টারি আইন প্রণীত হয়।
লর্ড ক্যানিংয়ের উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহ:
-
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম কাগজের মুদ্রা প্রচলন। এর আগে মূলত স্বর্ণ ও রূপি ব্যবহার হতো।
-
প্রথম বার্ষিক বাজেট ঘোষণা।
-
১৮৬১ সালে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা, যা আধুনিক পুলিশ ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে।
অন্য প্রশাসনিক সংস্কারের কিছু উদাহরণ:
-
লর্ড কর্নওয়ালিশ (১৭৯৩): ভূমি ব্যবস্থাপনায় ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন।
-
রবার্ট ক্লাইভ (১৭৬৫): বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন।
-
উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৯): সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তি সংক্রান্ত আইন অনুমোদন।
উৎস: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago
পাকিস্তান কবে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?
Created: 3 days ago
A
ফেব্রুয়ারি ২০, ১৯৭৪
B
ফেব্রুয়ারি ২১, ১৯৭৪
C
ফেব্রুয়ারি ২২, ১৯৭৪
D
ফেব্রুয়ারি ২৩, ১৯৭৪
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে অনেক দেশ স্বীকৃতি দিলেও পাকিস্তান ও কয়েকটি ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ তখনও স্বীকৃতি দেয়নি।
অবশেষে ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওআইসির ইসলামিক সম্মেলনের আগে বিষয়টি নতুন রূপ নিল। মুসলিম দেশগুলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে চাপ প্রয়োগ করে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাতে বলেছিল। এর ফলে, ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ পাকিস্তান অবশেষে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল। এর পরদিন, ২৩ ফেব্রুয়ারি, বঙ্গবন্ধু ইসলামিক সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তান সফর করেন।
এরপর, ৫–৯ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার পর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে উপমহাদেশে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পাশাপাশি ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী দেশে ফিরে যায়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তানের পাশাপাশি ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও ইরানও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
উৎস: বিভিন্ন পত্রিকা রিপোর্ট ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 days ago
'অলিভ টারটল' বাংলাদেশের কোন দ্বীপে পাওয়া যায়?
Created: 3 weeks ago
A
সেন্টমার্টিন
B
রাঙ্গাবালি
C
চর আলেকজান্ডার
D
ছেড়াদ্বীপ
অলিভ টারটল (Olive Turtle) – বাংলাদেশে অবস্থান ও সংরক্ষণ
-
রঙ ও বৈশিষ্ট্য: অলিভ টারটল হলো জলপাই রঙের কচ্ছপ।
-
আবাসস্থল: এটি প্রধানত প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উষ্ণ পানিতে দেখা যায়।
-
বাংলাদেশে অবস্থান: দেশের প্রধান আবাসস্থল হলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, সুন্দরবন এবং বঙ্গোপসাগরের অন্যান্য ছোট দ্বীপপুঞ্জ। বিশেষভাবে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এটি প্রজনন করে।
-
সংরক্ষণ: ২০১২ সালের বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী অলিভ টারটল সংরক্ষিত প্রজাতি। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিপন্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে।
উৎস: Britannica, ইত্তেফাক, ৫ জানুয়ারি ২০১৯.

0
Updated: 3 weeks ago