বাঙ্গালি উপভাষা অঞ্চল কোনটি?
A
নদীয়া
B
ত্রিপুরা
C
পুরুলিয়া
D
বরিশাল
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার আঞ্চলিক কথ্য রীতিতে অঞ্চলভেদে ভিন্নতা দেখা যায়, আর এই ভিন্নতাকেই উপভাষা বলা হয়। প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের উচ্চারণ ও ব্যবহারে পার্থক্য থাকলেও তা সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব।
তথ্যগুলো হলোঃ
-
বাঙ্গালি উপভাষা: বাংলাদেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
-
পূর্বি উপভাষা: বাংলাদেশের পূর্ব অঞ্চল, ত্রিপুরা ও আসামের বরাক উপত্যকায় প্রচলিত।
-
বরেন্দ্রি উপভাষা: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
-
কামরূপি উপভাষা: বিহারের পূর্বাংশ, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ এবং বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলে প্রচলিত।
-
রাঢ়ি উপভাষা: পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
-
ঝাড়খণ্ডি উপভাষা: পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল ও ঝাড়খণ্ডের পূর্বাঞ্চলে প্রচলিত।
উপরের তথ্যের আলোচনায় দেখা যায়, প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে বরিশাল সবচেয়ে যথার্থ উত্তর।
0
Updated: 1 month ago
বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'তিন কন্যা' এর চিত্রকর কে?
Created: 2 months ago
A
জয়নুল আবেদিন
B
কামরুল হাসান
C
এস এম সুলতান
D
রফিকুন নবী
কামরুল হাসান – প্রখ্যাত বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী
-
কামরুল হাসান ছিলেন একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী, যিনি ‘পটুয়া’ নামেও পরিচিত।
-
১৯৪৮ সালে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে মিলিত হয়ে ঢাকায় একটি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
-
১৯৬০ সালে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রের প্রধান নকশাবিদ হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
তাঁর চিত্রকর্মের মূল উপাদান হলো: নর-নারী, পশুপাখি (প্রধানত গরু ও শৃগাল), সাপ এবং প্রকৃতি।
-
শিল্পকর্মে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হন, যেমন: প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), চারুশিল্পী সংসদ সম্মান (১৯৮৪) ও বাংলা একাডেমির ফেলো (১৯৮৫)।
কামরুল হাসানের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্ম ও অবদান:
-
বিখ্যাত চিত্রকর্ম: ‘তিনকন্যা’ ও ‘নাইওর’। এগুলোর উপর ভিত্তি করে যথাক্রমে যুগোস্লাভিয়া সরকার (১৯৮৫) ও বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।
-
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীকের ডিজাইনার এবং জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশাকারী।
-
স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ পোস্টারটি খুবই জনপ্রিয়।
-
বাংলাদেশের বিমান সংস্থার বিখ্যাত ‘বলাকা’ লোগো ডিজাইন করেছিলেন তিনি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, জাতীয় তথ্য বাতায়ন
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র?
Created: 1 month ago
A
ধীরে বহে মেঘনা
B
কলমিলতা
C
আবার তােরা মানুষ হ
D
হুলিয়া
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো বাংলা সিনেমায় যুদ্ধ ও তার প্রভাবকে জীবন্তভাবে তুলে ধরে। এই চলচ্চিত্রগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতা, সামাজিক অবক্ষয়, এবং মানুষের মানসিক যন্ত্রণার চিত্র ফুটে উঠেছে।
মুক্তিযুদ্ধের ভেতরের নানামাত্রিক ঘটনা ও চরিত্রের আবেগকে বিভিন্ন পরিচালক তাদের নিজস্ব ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন।
-
হুলিয়া: এটি নির্মাণ করেছেন তানভীর মোকাম্মেল। চলচ্চিত্রটি ষাটের দশকে প্রগতিশীল সংগঠনের কর্মীদের ওপর পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে লেখা নির্মলেন্দু গুণের কবিতা অনুযায়ী নির্মিত। গল্পে হুলিয়া বুকে নিয়ে ঘরছাড়া এক তরুণের জীবনকে ক্যামেরার ফ্রেমে তুলে ধরা হয়েছে।
-
ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩): মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রের পরিচালক আলমগীর কবির। গল্পে ভারতীয় মেয়ে অনিতার প্রেমিক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয় এবং অনিতা ঢাকায় এসে যুদ্ধের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করে গভীরভাবে মর্মাহত হয়। এতে অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদ, ববিতা, গোলাম মোস্তফা, আনোয়ার হোসেন, খলিল উল্লাহ প্রমুখ। চলচ্চিত্রটিতে গান রয়েছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এর কণ্ঠে।
-
তোরা মানুষ হ (১৯৭৩): পরিচালক খান আতাউর রহমান। এই চলচ্চিত্রে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অবক্ষয়ের চিত্র ফুটে উঠেছে। চরিত্র হিসেবে অভিনয় করেছেন ফারুক, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ববিতা, রোজী আফসারী, রওশন জামিল প্রমুখ। গল্পে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও তরুণদের কার্যকলাপ এবং একজন আদর্শবাদী অধ্যক্ষের দৃঢ়তা তুলে ধরা হয়েছে।
-
কলমীলতা: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পরিচালক শহীদুল হক খান।
0
Updated: 1 month ago
ওরাওঁ জনগােষ্ঠী কোন অঞ্চলে বসবাস করে?
Created: 1 month ago
A
রাজশাহী-দিনাজপুর
B
বরগুনা-পটুয়াখালী
C
রাঙামাটি-বান্দরবান
D
সিলেট-হবিগঞ্জ
ওরাওঁ জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। এ জনগোষ্ঠীর মানুষ প্রধানত রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে বসবাস করে এবং তাদের নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
-
অবস্থান: ওরাওঁ জনগোষ্ঠী মূলত রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুরে বসবাস করে।
-
ভাষা: তারা কুঁড়ুখ ভাষায় কথা বলে, যা দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত একটি আদি ও কথ্য ভাষা।
-
লিপি: কুঁড়ুখ ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই।
-
অতিরিক্ত ভাষা: কুঁড়ুখ ভাষার পাশাপাশি ওরাওঁ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাদরি ভাষাও প্রচলিত রয়েছে।
-
সাংস্কৃতিক উৎসব: ওরাওঁ সমাজের পার্বণিক উৎসবের মধ্যে প্রধান হল ফাগুয়া।
0
Updated: 1 month ago