নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত “সোমপুর বিহার” এর প্রতিষ্ঠাতা কে?
A
গোপাল
B
ধর্মপাল
C
মহীপাল
D
বিগ্রহপাল
উত্তরের বিবরণ
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন, যা প্রাচীনকালে শিক্ষা ও ধর্মচর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছিল। বর্তমানে এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও এর স্থাপত্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব আজও বিশ্ববাসীর কাছে সমানভাবে আকর্ষণীয়।
-
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারকে সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার নামেও ডাকা হয়।
-
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল অষ্টম শতকের শেষ ভাগে বা নবম শতকের শুরুতে এ বিহার নির্মাণ শুরু করেছিলেন।
-
১৮৭৯ সালে প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার কানিংহাম এই বিখ্যাত প্রত্ননিদর্শন আবিষ্কার করেন।
-
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
একে পৃথিবীর অন্যতম সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা হয়।
-
আয়তনে এর সাথে ভারতের বিখ্যাত নালন্দা মহাবিহারের তুলনা করা হয়।
-
প্রায় ৩০০ বছর ধরে এটি বৌদ্ধদের ধর্মচর্চার কেন্দ্র ছিল।
-
শুধু ভারতীয় উপমহাদেশ থেকেই নয়, বরং চীন, তিব্বত, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এখানে জ্ঞান ও শিক্ষা অর্জনের জন্য আসতেন।
-
খ্রিষ্টীয় দশম শতকে এই বিহারের আচার্য ছিলেন মহান বৌদ্ধ পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।
-
এটি প্রাচীনকালের পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী পুন্ড্রনগর (বর্তমান মহাস্থান) এবং কোটিবর্ষ (বর্তমান বানগড়) শহরের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত ছিল।
-
বর্তমানে এর ধ্বংসাবশেষ বাংলাদেশে নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত।
0
Updated: 1 month ago
'অলিভ টারটল' বাংলাদেশের কোন দ্বীপে পাওয়া যায়?
Created: 2 months ago
A
সেন্টমার্টিন
B
রাঙ্গাবালি
C
চর আলেকজান্ডার
D
ছেড়াদ্বীপ
অলিভ টারটল (Olive Turtle) – বাংলাদেশে অবস্থান ও সংরক্ষণ
-
রঙ ও বৈশিষ্ট্য: অলিভ টারটল হলো জলপাই রঙের কচ্ছপ।
-
আবাসস্থল: এটি প্রধানত প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উষ্ণ পানিতে দেখা যায়।
-
বাংলাদেশে অবস্থান: দেশের প্রধান আবাসস্থল হলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, সুন্দরবন এবং বঙ্গোপসাগরের অন্যান্য ছোট দ্বীপপুঞ্জ। বিশেষভাবে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এটি প্রজনন করে।
-
সংরক্ষণ: ২০১২ সালের বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী অলিভ টারটল সংরক্ষিত প্রজাতি। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিপন্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে।
উৎস: Britannica, ইত্তেফাক, ৫ জানুয়ারি ২০১৯.
0
Updated: 2 months ago
ওরাওঁ জনগােষ্ঠী কোন অঞ্চলে বসবাস করে?
Created: 1 month ago
A
রাজশাহী-দিনাজপুর
B
বরগুনা-পটুয়াখালী
C
রাঙামাটি-বান্দরবান
D
সিলেট-হবিগঞ্জ
ওরাওঁ জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। এ জনগোষ্ঠীর মানুষ প্রধানত রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে বসবাস করে এবং তাদের নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
-
অবস্থান: ওরাওঁ জনগোষ্ঠী মূলত রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুরে বসবাস করে।
-
ভাষা: তারা কুঁড়ুখ ভাষায় কথা বলে, যা দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত একটি আদি ও কথ্য ভাষা।
-
লিপি: কুঁড়ুখ ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই।
-
অতিরিক্ত ভাষা: কুঁড়ুখ ভাষার পাশাপাশি ওরাওঁ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাদরি ভাষাও প্রচলিত রয়েছে।
-
সাংস্কৃতিক উৎসব: ওরাওঁ সমাজের পার্বণিক উৎসবের মধ্যে প্রধান হল ফাগুয়া।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে?
Created: 3 weeks ago
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
C
তাজউদ্দীন আহমেদ
D
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ “প্রথম” এবং মুজিব নগর সরকারের তথ্যগুলো নিম্নরূপ তুলে ধরা যায়। এই তথ্যগুলো বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংক্রান্ত, সামরিক ও সামাজিক দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
• বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
• বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ।
• বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করা প্রথম বাংলাদেশি ছিলেন মুসা ইব্রাহিম (২৩ মে ২০১০)।
• প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্টে আরোহণ করেছেন নিশাত মজুমদার।
• দেশের প্রথম সমুদ্রবন্দর হলো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর।
• প্রথম ইন্টারনেট ভিত্তিক নিউজ এজেন্সি ছিল বিডিনিউজ।
• প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।
• প্রথম এটিএম কার্ড চালু করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
• দেশের প্রথম আদম শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে।
মুজিব নগর সরকার সম্পর্কিত তথ্য:
• গঠিত হয়: ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
• শপথ গ্রহণ: ১৭ এপ্রিল ১৯৭১।
• সদর দপ্তর: ৮ নং থিয়েটার রোড, কলকাতা।
• সরকারকে পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য গঠন করা হয় ৮ সদস্যের উপদেষ্টা কাউন্সিল।
• মোট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ: ১২টি মন্ত্রণালয় এবং ৩টি বিভাগ।
• শপথ পাঠ করান: অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
মুজিব নগর সরকারের প্রধান ব্যক্তিবর্গ:
• প্রথম রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
• উপ-রাষ্ট্রপতি ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
• প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমদ।
• পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়: খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
• অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়: এম. মনসুর আলী।
• স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়: এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
• মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি: এম.এ.জি ওসমানী।
• চিফ অব স্টাফ: কর্নেল আবদুর রব।
0
Updated: 3 weeks ago