গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া সর্বপ্রথম গণপরিষদে ১৯৭২ সালের কোন তারিখে উত্থাপিত হয়?
A
১১ নভেম্বর
B
১২ অক্টোবর
C
১৬ ডিসেম্বর
D
৩ মার্চ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল কাঠামো গঠনের জন্য গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান রচিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিন ও ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।
-
১১ এপ্রিল ১৯৭২ সালে গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন পরিষদের সামনে সব প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
-
শুধুমাত্র ‘খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি’ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন যোগাযোগমন্ত্রী এম মনসুর আলী।
-
একই দিনে ড. কামাল হোসেনকে আহবায়ক করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
-
১৭ এপ্রিল ১৯৭২ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
-
১২ অক্টোবর ১৯৭২ খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উপস্থাপন করা হয়।
-
৪ নভেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
-
সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র বিরোধীদলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এতে স্বাক্ষর করেননি।
-
সবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংসদীয় ব্যবস্থা সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃপ্রবর্তিত হয়?
Created: 3 months ago
A
অষ্টম
B
নবম
C
একাদশ
D
দ্বাদশ
১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট বাংলাদেশের সংবিধানে গৃহীত দ্বাদশ সংশোধনী ছিল দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা থেকে সরে এসে পুনরায় সংসদীয় শাসনব্যস্থা চালু করা হয়, যা জাতির ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবেই বিবেচিত হয়।
এই সংশোধনীর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি কেবলমাত্র রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে থাকবেন, তবে কার্যকর নির্বাহী ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয় মন্ত্রিসভার হাতে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠেন সরকারের প্রধান নির্বাহী, যিনি মন্ত্রিপরিষদের নেতৃত্ব দেবেন এবং জাতীয় সংসদের কাছে সমগ্র মন্ত্রিসভা দায়বদ্ধ থাকবেন।
সংশোধনীর মাধ্যমে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হবেন এবং তিনি একটানা দুই মেয়াদের বেশি পদে থাকতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া অন্য সব বিষয়ে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এই সংশোধনী কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো আরও সুসংগঠিত হয় এবং জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘটে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান – আরিফ খান
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত হয়?
Created: 1 month ago
A
দ্বাদশ
B
ত্রয়োদশ
C
চতুর্দশ
D
পঞ্চদশ
২৭ মার্চ, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান রাখা হয়।
-
১৯৯৬ সালের ২১ মার্চ জাতীয় সংসদে সংশোধনী বিলটি উপস্থাপিত হয়।
-
২৪ মার্চ আইন মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী বিলটি ১০ সদস্য বিশিষ্ট বাছাই কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
-
২৬ মার্চ বিলটি সংশোধনী আকারে সর্বসম্মতিক্রমে ২৬৯-০ ভোটে গৃহীত হয়।
-
সংশোধনীর মূল বিষয়সমূহ হলো:
১. জাতীয় সংসদ বিলোপের ১৫ দিনের মধ্যে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন।
২. প্রধান উপদেষ্টাকে প্রধানমন্ত্রীর এবং অন্যান্য উপদেষ্টাগণকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রদান।
৩. তত্ত্বাবধায়ক সরকার নীতি নির্ধারণী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না।
৪. যোগ্য প্রধান উপদেষ্টা না থাকলে প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।
৫. প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ।
৬. সরকারের মেয়াদ হবে তিন মাস, এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পর তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। -
উচ্চ আদালতের আদেশে ২০১১ সালে এই সংশোধনীটি বাতিল করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত?
Created: 3 months ago
A
১৫
B
২৭
C
৩৭
D
৩৯
বাংলাদেশের সংবিধান:
- বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত।
⇒ ৩৯ নং অনুচ্ছেদ:
- (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হলো।
- (২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংগঠনের প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং
(খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হলো।
অন্যদিকে,
- বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগে ১৫ নং অনুচ্ছেদে 'মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা' সম্পর্কে বলা হয়েছে।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে সমাবেশের স্বাধীনতা। ৩৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান।
0
Updated: 3 months ago