GPS সিস্টেম কোন তরঙ্গ ব্যবহার করে?
A
রেডিও ওয়েভ
B
আল্ট্রাভায়োলেট
C
এক্স-রে
D
ইনফ্রারেড
উত্তরের বিবরণ
GPS হলো আধুনিক যুগের একটি অত্যন্ত কার্যকর নেভিগেশন ব্যবস্থা, যা স্যাটেলাইট ও রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের অবস্থান নির্ধারণে সাহায্য করে। এটি যোগাযোগ, পরিবহন, সামরিক ও দৈনন্দিন জীবনের নানা ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
-
GPS এর পূর্ণরূপ Global Positioning System।
-
এটি একটি স্যাটেলাইটভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম, যা পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কাজ করে।
-
GPS স্যাটেলাইটগুলো L-band microwave frequencies (১–২ GHz)-এ রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে সিগন্যাল পাঠায়।
-
এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অবস্থান (Location), নেভিগেশন (Navigation) এবং সময় (Time) সম্পর্কিত তথ্য পান।
-
পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে নিজস্ব অবস্থান নির্ণয় করা যায় এবং যেকোনো বস্তুর অবস্থানও সঠিকভাবে জানা সম্ভব।
অন্যান্য তরঙ্গ ও ব্যবহার:
-
আল্ট্রাভায়োলেট (UV): জীবাণুনাশক, পানি বিশুদ্ধকরণ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্তকরণে ব্যবহৃত হয়।
-
এক্স-রে (X-ray): চিকিৎসায় হাড় ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গের ছবি তুলতে ব্যবহৃত হয়।
-
ইনফ্রারেড (Infrared): রিমোট কন্ট্রোল, নাইট ভিশন ক্যামেরা এবং তাপ সনাক্তকরণে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
Created: 1 month ago
A
কমলা
B
হলুদ
C
লাল
D
বেগুনি
তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির এক ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়, যাকে দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ বা দৃশ্যমান বিকিরণ বলা হয়। এই আলোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রঙের অনুভূতি প্রদান করে।
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10⁻⁷ মিটার থেকে 7×10⁻⁷ মিটার।
-
ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
-
দৃশ্যমান আলোকে সাধারণত বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল—এই সাতটি ভাগে বিভক্ত করা হয়।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি হবে, প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম হবে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
তরঙ্গের বেলায় কোন্টি সত্য?
Created: 1 month ago
A
তড়িৎ চৌম্বকতরঙ্গ আলোর বেগে গমন করে
B
শব্দতরঙ্গ একধরনের তড়িৎ চৌম্বকতরঙ্গ
C
সকল তরঙ্গেই প্রতিফলন-প্রতিসরণ হয় না
D
তরঙ্গবেগ হলো এর কম্পাঙ্ক ও তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অনুপাত
তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ এমন এক প্রকার তরঙ্গ যেখানে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র (Electric Field) ও চৌম্বক ক্ষেত্রের (Magnetic Field) periodic oscillation একে অপরের লম্বভাবে অবস্থান করে এবং তা স্থান দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
এর জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না, অর্থাৎ এটি medium free propagation করতে সক্ষম।
-
তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ তখন সৃষ্টি হয় যখন বৈদ্যুতিক ও চৌম্বক ক্ষেত্র পর্যায়ক্রমে দোলায়িত হয় এবং এদের গতি স্থানান্তরিত হয়ে একধরনের তরঙ্গ সৃষ্টি করে।
-
এই তরঙ্গ ছড়ানোর জন্য কোনো medium দরকার হয় না, তাই একে যান্ত্রিক তরঙ্গের মতো ধরা যায় না।
-
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়: আলোর তরঙ্গ, গামা রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।
-
এরা সর্বদা আলোর বেগে (3 × 10⁸ m/s) চলাচল করে।
-
যদি তরঙ্গ t = 0 সময়ে উৎপন্ন হয় এবং কোনো বাঁধা ছাড়া মুক্ত স্থানে (Free Space) ছড়াতে থাকে, তবে এটি একই বেগ অর্থাৎ speed of light-এ চলতে থাকে।
-
বিভিন্ন প্রকার তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্য (wavelength), কিন্তু মুক্ত স্থানে তাদের speed সর্বদা সমান থাকে।
অন্য অপশনগুলোর বিশ্লেষণ:
-
খ) শব্দ একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ (Mechanical Wave)। এটি সৃষ্টি হয় বস্তুকণার কম্পনের কারণে এবং ছড়াতে হলে একটি স্থিতিস্থাপক মাধ্যম (Elastic Medium) প্রয়োজন হয়। শব্দ তরঙ্গের গতি মাধ্যমের ওপর নির্ভর করে:
-
বায়ুতে (gas) এর গতি তুলনামূলক কম।
-
তরলে (liquid) এর গতি বেশি।
-
কঠিন পদার্থে (solid) এর গতি সর্বাধিক।
শব্দ তরঙ্গেরও অন্যান্য তরঙ্গের মতো reflection, refraction এবং diffraction হতে পারে।
-
-
গ) প্রায় সব তরঙ্গেরই প্রতিফলন (reflection) ও প্রতিসরণ (refraction) হওয়ার ক্ষমতা থাকে।
-
ঘ) তরঙ্গ বেগ বলতে বোঝায় একক সময়ে তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে। তরঙ্গ বেগ হলো কম্পাঙ্ক (frequency, f) ও তরঙ্গদৈর্ঘ্যের (wavelength, λ) গুণফল, অনুপাত নয়।
অর্থাৎ: v = f × λ
0
Updated: 1 month ago
সূর্যাস্তের সময় আমরা সূর্যকে লাল দেখি, কারণ লাল আলোর-
Created: 4 days ago
A
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম
B
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি
C
প্রতিসরণ বেশি
D
কম্পাঙ্ক বেশি
সূর্যাস্তের সময় আমরা সূর্যকে লাল দেখার কারণ হলো আকাশে আলোর বিচ্ছুরণ (scattering)। সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে, ফলে বিভিন্ন রঙের আলো ভিন্নভাবে ছড়ায়। এই প্রক্রিয়ায় লাল রঙের আলোর দৃশ্যমানতা বেশি থাকে, কারণ এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি।
-
সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের আলো দীর্ঘ দূরত্ব পেরিয়ে বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে আসে, ফলে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের নীল ও বেগুনি আলো অনেকটা ছড়িয়ে যায়।
-
লাল ও কমলা রঙের আলো, যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য বড়, কম বিচ্ছুরিত হয়, তাই তা সরাসরি চোখে পৌঁছায়।
-
ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো যেমন নীল বা বেগুনি, Rayleigh scattering এর কারণে বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে যায় এবং আকাশকে নীল বা বেগুনী দেখায়।
-
ফলে সূর্যাস্তে সূর্য লাল বা কমলা প্রদর্শিত হয়।
সংক্ষেপে, সূর্যাস্তে লাল সূর্য দেখার মূল কারণ হলো:
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি, তাই এটি দীর্ঘ পথ অতিক্রমের সময় কম ছড়ায়।
-
নীল ও বেগুনি আলো বেশি ছড়িয়ে যায়, তাই আকাশের অন্যান্য অংশকে নীল দেখায়।
-
আলোর বিচ্ছুরণ বা scattering এর কারণে লাল রঙের আলো প্রধানত চোখে পৌঁছায়।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি → কম বিচ্ছুরণ → সূর্য লাল দেখা যায়।
-
নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট → বেশি বিচ্ছুরণ → আকাশ নীল দেখা যায়।
-
সূর্যাস্তের সময় দীর্ঘ পথ অতিক্রমের কারণে এই প্রভাব দৃশ্যমান হয়।
এই ব্যাখ্যা উত্তরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ, তথ্য সঠিক এবং সহজভাবে বোঝার মতো।
0
Updated: 4 days ago