কোন মাধ্যমে আলোর গতি সর্বাধিক থাকে?
A
পানি
B
কাচ
C
বায়ু
D
শূন্যস্থান
উত্তরের বিবরণ
আলো হলো এমন একধরনের শক্তি যা আমাদের চারপাশকে দৃশ্যমান করে তোলে এবং জীবনের জন্য অপরিহার্য। এটি তড়িতচৌম্বকীয় তরঙ্গ আকারে বিস্তার লাভ করে এবং বিভিন্ন ভৌত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়।
-
আলো একপ্রকার শক্তি।
-
এটি একধরনের তড়িতচৌম্বকীয় তরঙ্গ, যা আমাদের চোখে দর্শনের অনুভূতি সৃষ্টি করে।
-
আলোর কণাকে ফোটন বলা হয়।
-
শূন্যস্থানে আলোর গতি প্রায় 3×10⁸ মিটার/সেকেন্ড বা প্রায় ২৯৯,৭৯২ কিমি/সেকেন্ড।
-
অর্থাৎ, আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার অতিক্রম করে।
-
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড।
-
দৃশ্যমান আলো সাতটি বর্ণের সমষ্টি: বেগুনী, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল।
0
Updated: 1 month ago
আলোক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার একটি উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সালোকসংশ্লেষণ
B
বৈদ্যুতিক পাখা ঘোরা
C
চিমনির কাচ গরম হওয়া
D
ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎ রূপান্তর
আলোক শক্তির রূপান্তর:
১. আলোক শক্তি → রাসায়নিক শক্তি:
-
ফটোগ্রাফিক ফিল্মে আলো পড়লে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্র তৈরি হয়।
-
ফিল্মে থাকা সিলভার ব্রোমাইড (AgBr) বা সিলভার ক্লোরাইড (AgCl) আলোর সংস্পর্শে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়।
-
ফলে আলোক শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
২. আলোক শক্তি → তাপ শক্তি:
-
উদাহরণ: হারিকেনের চিমনির কাঁচে আলো পড়লে তা গরম লাগে।
-
কারণ আলোক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
৩. আলোক শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি:
-
উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপন্ন করে।
-
পরে সেই খাদ্য গ্রহণকারী প্রাণীর দেহে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটানিকা।
0
Updated: 1 month ago
আলোক রশ্মি গমন পথে বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে পূর্বের মাধ্যমে ফিরে আসার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
অপবর্তন
B
ব্যতিচার
C
প্রতিফলন
D
অপসরণ
প্রতিফলন হলো আলোর সেই প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো আলোক রশ্মি কোনো স্বচ্ছ বা অস্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোনো মাধ্যমের দ্বারা বাধা পেয়ে প্রথম মাধ্যমের দিকে ফিরে আসে। আলোক প্রতিফলনের সময় যে পৃষ্ঠ থেকে আলো ফিরে আসে তাকে প্রতিফলক তল বা প্রতিফলক পৃষ্ঠ বলা হয় এবং যা ফিরে আসে তাকে প্রতিফলিত আলো বা রশ্মি বলা হয়।
-
যে পরিমাণ আলো প্রতিফলিত হবে তা নির্ভর করে:
-
মাধ্যম দুটির প্রকৃতির উপর
-
আলো প্রতিফলক তলে কত কোণে আপতিত হচ্ছে তার উপর
-
-
প্রতিফলক তল যত বেশি মসৃণ, প্রতিফলন তত বেশি হয়।
-
স্বচ্ছ প্রতিফলকে সাধারণত প্রতিফলন কম হয়, আর অস্বচ্ছ বা সাদা তলে প্রতিফলন বেশি হয়। কালো বা গা dark ় তলে আলো প্রায় প্রতিফলিত হয় না।
-
কাঁচের মতো স্বচ্ছ মাধ্যমের উপর আলো আংশিকভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
আলোর আপতন কোণ যত বড় হয়, প্রতিফলনের পরিমাণও তত বেশি হয়।
-
প্রতিফলনের ধরন মসৃণতার উপর নির্ভর করে দু’ভাগে বিভক্ত:
-
নিয়মিত প্রতিফলন
-
ব্যাপ্ত প্রতিফলন
-
আলোর প্রতিফলনের সূত্র:
-
আপতিত রশ্মি, প্রতিফলক তলে অঙ্কিত অভিলম্ব এবং প্রতিফলিত রশ্মি একই সমতলে থাকে।
-
আপতন কোণ এবং প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হয়, অর্থাৎ ।
0
Updated: 1 month ago
কোন রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি?
Created: 2 weeks ago
A
বেগুনি
B
লাল
C
সবুজ
D
আসমানী
আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য হলো পরপর দুটি তরঙ্গের শীর্ষ বা গহ্বরের মধ্যবর্তী দূরত্ব, যা আলোর রঙ ও শক্তি নির্ধারণ করে। দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ ন্যানোমিটার (বেগুনি) থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার (লাল) পর্যন্ত বিস্তৃত। তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তারতম্যের কারণেই আমরা বিভিন্ন বর্ণ দেখতে পাই।
-
দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ক্রম হলো: বেগুনি < নীল < আসমানী < সবুজ < হলুদ < কমলা < লাল।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, আলোর বিক্ষেপণ (dispersion) তত বেশি হয়; অর্থাৎ, কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো সহজেই ভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, আলোর বিক্ষেপণ তত কম হয়।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, তাই এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি (deviation) সবচেয়ে কম।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি।
-
যে বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ ও বিক্ষেপণ তত কম, কারণ আলো মাধ্যমের মধ্য দিয়ে কম বেঁকে যায়।
-
সূর্যের সাদা আলো যখন প্রিজমের মধ্য দিয়ে যায়, তখন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে এটি সাতটি বর্ণে বিভক্ত হয়, যা বিক্ষেপণের উদাহরণ।
-
দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সীমা সাধারণত:
বেগুনি (≈ ৪০০ nm) থেকে লাল (≈ ৭০০ nm) পর্যন্ত।
0
Updated: 2 weeks ago