১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত পত্রিকার নাম ছিল-
A
জয় বাংলা
B
বাংলাদেশ
C
স্বাধীনতা
D
মুক্তির ডাক
উত্তরের বিবরণ
সাপ্তাহিক জয়বাংলা ছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বাংলা সাপ্তাহিক মুখপত্র। এটি মূলত প্রবাসী বাংলাদেশের সরকারের একটি প্রচার মাধ্যম হিসেবে কাজ করত। পত্রিকার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতিত্ব সাধারণ জনগণের কাছে তুলে ধরা এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও বিশ্বজনমত সৃষ্টি করা।
-
প্রকাশের সময়: ১৯৭১ সালের ১১ মে (২৭ বৈশাখ ১৩৭৮)
-
প্রকাশস্থল: মুজিবনগর
-
প্রধান উদ্দেশ্য: মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি জানানো, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতিত্ব প্রকাশ করা, আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জন
-
অফিস ঠিকানা: কলকাতার পার্ক সার্কাস, ২১/১ বালু হাক্কাক লেন
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা কত?
Created: 2 months ago
A
৪৫০০
B
৪৫৫০
C
৫৬০০
D
৪৬০০
এটি পরিবর্তনশীল প্রশ্ন । বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) হলো গ্রামীণ প্রশাসনের সবচেয়ে ছোট ইউনিট। বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪৫৫০।
-
বাংলাদেশে মোট ৮টি বিভাগ, যেগুলোর অধীনে ৬৪ জেলা আছে।
-
প্রতিটি জেলার অধীনে উপজেলা বা থানা থাকে।
-
প্রতিটি উপজেলার অধীনে মোটামুটি ৫-১০ টি ইউনিয়ন থাকে, এবং সবগুলো যোগ করলে মোট ৪৫৫০ ইউনিয়ন হয়।
সুতরাং সঠিক উত্তর: ৪৫৫০।
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার মেয়াদ কবে শেষ হবে?
Created: 3 weeks ago
A
২০৩১
B
২০৩৫
C
২০৪১
D
২০৪৫
বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে। এটি রূপকল্প ২০২১-এর ধারাবাহিকতায় ঘোষণা করা হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৈরি।
এই পরিকল্পনা চারটি প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যথা সুশাসন, গণতন্ত্র, বিকেন্দ্রীকরণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি।
-
বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সময়কাল: ২০২১-২০৪১।
-
রূপকল্প ২০৪১ প্রধান লক্ষ্য: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন।
-
রূপকল্প-২০৪১ চারটি প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভ: সুশাসন, গণতন্ত্র, বিকেন্দ্রীকরণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি।
উদ্দেশ্যসমূহ:
-
জনসংখ্যা: ২০৪১ সালে সম্ভাব্য জনসংখ্যা ২১ কোটি ৩ লাখ।
-
মাথাপিছু আয়: ১২,৫০০ ডলার (২০৪১ সালের মূল্যমানে ১৬,০০০ ডলারের বেশি)।
-
বিদ্যুতের চাহিদা: ২০৪১ সালে ৫১ হাজার মেগাওয়াট।
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধি: ২০৪১ অবধি বার্ষিক ৯.৯০% প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা।
-
বিনিয়োগ/জিডিপি অনুপাত: ৪৬.৮৮ শতাংশে বৃদ্ধি করা।
-
রাজস্বনীতি চ্যালেঞ্জ: কর-জিডিপি অনুপাত জিডিপির ২০% এ উন্নীত করা।
-
দারিদ্র্য নিরসন: ২০৩১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য নির্মূল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৩% বা এর নিচে আনা।
-
গড় আয়ু বৃদ্ধি: ৮০ বছর।
-
স্বাস্থ্যসেবা: মোট জনসংখ্যার ৭৫% কে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।
-
শিক্ষা: ২০৪১ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ১০০% এ বৃদ্ধি।
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ: ১% এরও নিচে নামানো।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সময়কাল ছিল ২০১০-২০২১।
0
Updated: 3 weeks ago
বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কোন সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯১১ সালে
B
১৯১২ সালে
C
১৯০৮ সালে
D
১৯০৯ সালে
বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)
-
১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তা কার্যকর হয় ১৫ অক্টোবর থেকে।
-
এটি ভারতীয় উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদ ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
-
পূর্ববঙ্গের মুসলমান সমাজ একে আশীর্বাদ মনে করে স্বাগত জানায়।
-
কিন্তু হিন্দু সমাজ, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা, একে কোনোভাবেই মেনে নেয়নি।
-
তারা নানা প্রতিবাদ, আন্দোলন ও ষড়যন্ত্র শুরু করে, যা ধীরে ধীরে সহিংস রূপ নেয়।
-
তাদের চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় এবং আবার পূর্ববঙ্গকে পশ্চিমবঙ্গের সাথে একত্রিত করে।
বঙ্গভঙ্গ রদ (১৯১১)
-
১২ ডিসেম্বর ১৯১১ সালে, সম্রাট পঞ্চম জর্জ দিল্লির অভিষেক অনুষ্ঠানে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।
-
ফলে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গকে আবার একত্রিত করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদের ফলাফল
-
এর ফলে হিন্দু–মুসলমান সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং সাম্প্রদায়িকতার প্রসার ঘটে।
-
ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ জোরদার হতে শুরু করে।
-
মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ বৃদ্ধি পায়।
-
তারা উপলব্ধি করে যে শুধু আপস নয়, বরং সংগ্রামের মাধ্যমেই উন্নতি ও স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।
-
তাই মুসলমান সমাজ তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago