মানুষের দেহের যে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধ্বনি তৈরিতে সহায়তা করে তাকে বলে?
A
বাক প্রত্যঙ্গ
B
অঙ্গধ্বনি
C
স্বরতন্ত্রী
D
নাসিকাতন্ত্র
উত্তরের বিবরণ
মানবদেহে যেসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধ্বনি সৃষ্টি করতে সহায়তা করে, তাদেরকে বাক-প্রত্যঙ্গ বলা হয়। এই বাক-প্রত্যঙ্গগুলোকে একত্রে বাগ্যন্ত্র নামে পরিচিত। বাগ্যন্ত্র হল সেই সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমষ্টি, যা ধ্বনি উচ্চারণে সরাসরি ভূমিকা রাখে। মানবদেহের উপরের অংশে ফুসফুস থেকে শুরু করে ঠোঁট পর্যন্ত যে কোনো অঙ্গ ধ্বনি উৎপাদনে কাজে লাগে, তা বাগ্যন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত।
বাগ্যন্ত্রের অংশগুলো:
-
ফুসফুস
-
শ্বাসনালী
-
স্বরযন্ত্র
-
জিভ
-
আলজিভ
-
তালু
-
মূর্ধা
-
দন্তমূল ও দন্ত
-
ওষ্ঠ
-
নাসিকা
0
Updated: 1 month ago
শুদ্ধ বাক্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বিদ্বান হলেও তার কোনাে অহংকার নেই।
B
ইশ! যদি পাখির মত পাখা পেতাম।
C
অকারণে ঋণ করিও না।
D
হয়তাে সােহমা আসতে পারে।
অশুদ্ধ বাক্য হলো: অকারণে ঋণ করিও না। এই বাক্যটি গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হওয়ার কারণে শব্দের যথাযথতা হারিয়েছে। এর শুদ্ধ রূপ হবে: অকারণে ঋণ করো না।
গুরুচণ্ডালী দোষ সম্পর্কিত তথ্যগুলো:
-
গুরুচণ্ডালী দোষ হলো তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের ব্যবহার থেকে যে ধরনের ভুল বা অশুদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
-
কখনও কখনও তৎসম এবং দেশীয় শব্দের সংমিশ্রণ শব্দের যোগ্যতা নষ্ট করে এবং তা অশুদ্ধ বা অনুচিত হয়ে যায়।
-
উদাহরণ হিসেবে তৎসম শব্দগুলো হলো: গরুর গাড়ি, শবদাহ, মড়াপোড়া। এগুলোর গঠন এবং অর্থ সঠিক এবং কোনো সমস্যা নেই।
-
কিন্তু যদি তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দ মিশ্রিত করা হয়, যেমন: গরুর শকট, শবপোড়া, মড়াদাহ, তখন শব্দগুলো গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হয় এবং তাদের ব্যবহার অনুচিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
"প্রাণের বান্ধব রে বুড়ি হইলাম তোর কারণে।" - গানটির গীতিকার কে?
Created: 2 months ago
A
শাহ আবদুল করিম
B
রাধারমন
C
শেখ ওয়াহিদ
D
কুদ্দুস বয়াতি
“পরানের বান্ধবরে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে”—এই জনপ্রিয় গানটির গীতিকার হলেন লোককবি শেখ ওয়াহিদুর রহমান। গানটি গেয়েছেন সুফিয়া কাঙালিনী।
শেখ ওয়াহিদুর রহমান (জন্ম: ১৯৩৯) মূলত সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার এক নির্জন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। ফলে তাঁর গানে গ্রামীণ মাটি, প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক স্বাদ সবসময়ই পাওয়া যায়।
তিনি যদিও খুব পরিচিত নাম নন, তবে তাঁর অনেক গান আমরা শুনি—কিন্তু গীতিকারের নাম উল্লেখ না থাকায় সাধারণ মানুষ তাঁকে চিনতে পারে না। এজন্য অনেক ক্ষেত্রে গানগুলোকে “অজ্ঞাত গীতিকার” হিসেবে ধরা হয়। অথচ শেখ ওয়াহিদ এই লোকগানের জগতে যথেষ্ট পরিচিত ও সম্মানিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে মজার ছলে “দুষ্ট ছেলে” নামে ডাকতেন।
তিনি সহজ-সরল ভাষায় গান লিখে ‘বাউল কবি’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁর গানে বৈচিত্র্য অনন্য—পল্লিগীতি, ভাটিয়ালি, গণসঙ্গীত, মরমি ও আধ্যাত্মিক ধারা ছাড়াও শাক্ত পদাবলি লিখেছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো:
-
আমার মাটির গাছে লাউ ধইরাছে
-
অপূর্ব তটিনী ওগো
-
অমৃত কূপের সুধা খেলে
-
অলি দরবেশ কারে বলে
-
আল-আরাবি নাবীজি আমার
-
আদমকে বানাইয়া খোদা
এছাড়াও তিনি বহু বিয়ের গানও রচনা করেছেন। যেমন—
-
মেনদি বাটো তোমরা সখি
-
মিতু আসবে নওশা সেজে
-
আজ ঝিলমিল ঝিলমিল
-
পালকি চড়ে যাইগো ভাবি
-
বিয়াই মজলিসে দেখবে
-
সখীরা সব সাজাও কন্যা
তাঁর গান শুনলেই বোঝা যায়—শেখ ওয়াহিদ লোকবাংলার সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি।
উৎস: ‘শেখ ওয়াহিদ গীতি সমগ্র’ – শেখ ওয়াহিদুর রহমান
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোন শব্দটি সাধু ভাষায় ব্যবহারের উপযোগী?
Created: 1 month ago
A
শুকনো
B
সাথে
C
জুতা
D
বুনো
জুতা - জুতা, সহিত - সাথে, বন্য - বুনো, শুষ্ক - শুকনো।
0
Updated: 1 month ago