A
প্রবাদ-প্রবচন
B
এককথায় প্রকাশ
C
ভাবসম্প্রসারণ
D
বাক্য সংকোচন
উত্তরের বিবরণ
প্রবাদ-প্রবচন হলো এমন সংক্ষিপ্ত উক্তি যা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত গভীর জীবনসত্যকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজভাবে পৌঁছে দেয়। এই ধরনের উক্তি সাধারণত সামাজিক বা নৈতিক শিক্ষার প্রতিফলন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রধান উদাহরণগুলো হলো:
-
অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ – বেশি অনুগত্য দেখানো সন্দেহজনক।
-
উলুবনে মুক্তা ছড়ানো – অযোগ্য পাত্রে মূল্যবান বস্তু দান করা।
-
ধর্মের কল বাতাসে নাড়ে – গোপন অন্যায়ের আকস্মিক প্রকাশ।
-
লঘু পাপে গুরু দণ্ড – অপরাধের তুলনায় অধিক সাজা।
-
গরিবের ঘোড়া রোগ – অক্ষমের অতিরিক্ত প্রত্যাশা।

0
Updated: 16 hours ago
বাংলা গদ্যে প্রথম বিরাম চিহ্নের সুষ্ঠু ব্যবহার করেন–
Created: 2 weeks ago
A
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
অক্ষয়কুমার দত্ত
C
রাজা রামমোহন রায়
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
বাংলা গদ্যে প্রথমবার বিরাম চিহ্নের সুষ্ঠু ও নিয়মিত ব্যবহার করেন অক্ষয়কুমার দত্ত।
তিনি “সম্বাদ প্রভাকর” ও অন্যান্য লেখায় গদ্যের যুক্তি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কমা, দাঁড়ি, সেমিকোলন ইত্যাদি বিরামচিহ্ন ব্যবহার শুরু করেন।
যদিও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে দৃঢ় ভিত্তি দেন, তবুও বিরামচিহ্ন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব প্রধানত অক্ষয়কুমার দত্তের।

0
Updated: 2 weeks ago
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলে?
Created: 3 weeks ago
A
ফলা
B
কার
C
ধ্বনি
D
অক্ষর
স্বরবর্ণের এবং কতগুলো ব্যঞ্জনবর্ণের দুটি রুপ রয়েছে। স্বরবর্ণ যখন নিরপেক্ষ বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়,অর্থাৎ কোন বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় না, তখন এর পূর্ণরূপ লেখা হয়। একে বলা হয় প্রাথমিক বা পূর্নরূপ। আর স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কার বলে। এর অপর নাম সংক্ষিপ্ত স্বর। কার ১০ টি।

0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোনটি ধ্বনি-পরিবর্তনের উদাহরণ নয়?
Created: 3 weeks ago
A
প্রাতিপদিক
B
অভিশ্রুতি
C
অপিনিহিতি
D
ধ্বনি-বিপর্যয়
• 'প্রাতিপদিক' ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ নয়।
প্রাতিপদিক:
বিভক্তিহীন নাম শব্দকে প্রাতিপদিক বলে। যেমন: মুখ, পা, বই ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
উচ্চারণের সুবিধার জন্য ধ্বনি পরিবর্তন করা হয়। স্বরসঙ্গতি, অপনিহিতি এবং ব্যঞ্জন বিকৃতি ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ।
• স্বরসঙ্গতি:
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।
যেমন:
- দেশি > দিশি,
- বিলাতি > বিলিতি,
- শিকা > শিকে,
- মুলা > মুলো ইত্যাদি।
• অপিনিহিতি:
পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
যেমন:
- আজি > আইজ,
- সাধু > সাউধ,
- মারি > মাইর ইত্যাদি।
• ব্যঞ্জন বিকৃতি:
শব্দ-মধ্যে কোনাে কোনাে সময় কোনাে ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। একে বলে ব্যঞ্জন বিকৃতি।
যেমন:
- কবাট > কপাট,
- ধােবা > ধােপা,
- ধাইমা > দাইমা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 3 weeks ago