আমার জ্বর জ্বর লাগছে- ‘জ্বর জ্বর’ শব্দ দুটি অবিকৃতভাবে উচ্চারিত হওয়াকে বলে-
A
দ্বিরুক্ত শব্দ
B
সার্থক শব্দ
C
যুগ্মশব্দ
D
শব্দদ্বিত্ব
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মাণ অনুযায়ী, নবম-দশম শ্রেণির নতুন সংস্করণে দ্বিরুক্ত শব্দকে শব্দদ্বিত্ব বলা হয়েছে। তবে ৪২তম বিসিএসের প্রশ্নটি পুরাতন সংস্করণ অনুসারে তৈরি হওয়ায়, পুরাতন নিয়ম অনুযায়ী অপশন ‘ক’ (দ্বিরুক্ত শব্দ) সঠিক উত্তর হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
• উদাহরণ: 'আমার জ্বর জ্বর লাগছে' – এখানে 'জ্বর-জ্বর' দ্বিরুক্ত শব্দের উদাহরণ।
• শব্দ বা পদের দ্বিরুক্তি: বাক্যে একই পদ বারবার ব্যবহার করাকে পদের দ্বিরুক্তি বলা হয়। বাংলা ভাষায় পদের দ্বিরুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অর্থ বোঝানো হয়।
• বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি এবং এর অর্থ:
-
আধিক্য বোঝাতে: রাশি রাশি ধান, থোকা থোকা জাম
-
সামান্য বোঝাতে: আমি আজ জ্বর জ্বর অনুভব করছি
-
পরম্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে: তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ। সে বাড়ি বাড়ি থেকে চাঁদা তুলছে
-
ক্রিয়া বা ক্রিয়া বিশেষণ বোঝাতে: সে ধীরে ধীরে যায়, ফিরে ফিরে তাকায়
-
অনুরূপ বোঝাতে: তার সঙ্গী-সাথী কেউ নেই
-
আগ্রহ বোঝাতে: সে মা মা বলে কাঁদছে
0
Updated: 1 month ago
বাংলা আদি অধিবাসীগণ কোন ভাষাভাষী ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
বাংলা
B
সংস্কৃত
C
হিন্দি
D
অস্ট্রিক
বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-গোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং নব্য-ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে উদ্ভূত। এটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর শতম শাখা থেকে এসেছে। বাংলার আদি জনগোষ্ঠী মূলত অস্ট্রিক ভাষাভাষী ছিল।
ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর প্রাথমিক উৎস অ-আর্য ভাষা। আর্যদের ভাষাকে বৈদিক ভাষা বলা হতো এবং বেদের ভাষাকেও বৈদিক ভাষা বলা হয়। বৈদিক ভাষার সংস্কারজাত নতুন ভাষা হল সংস্কৃত, যার শব্দ হিসেবে উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায় মহাকাব্য রামায়ণে।
বাংলার নিকটতম আত্মীয় ভাষা হলো অহমিয়া ও ওড়িয়া। ধ্রুপদী ভাষা ও পালির সঙ্গে বাংলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। ভাষা উৎপত্তি বিষয়ে গবেষকদের মধ্যে দুইটি প্রধান মতামত বিদ্যমান:
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: বাংলা এসেছে গৌড়ি প্রাকৃত থেকে, যা গৌড়ি অপভ্রংশ হয়ে বঙ্গ-কামরুপির মাধ্যমে বাংলা ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়: বাংলা এসেছে মাগধী প্রাকৃত থেকে, যা মাগধী অপভ্রংশ হয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে।
ভাষা গবেষকরা সাধারণত ড. শহীদুল্লাহর মতামতকে অধিক গ্রহণযোগ্য মনে করেন এবং অন্যান্য পণ্ডিতগণও এই মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। বাংলার ইতিহাসকে তিনটি ঐতিহাসিক পর্যায়ে ভাগ করা হয়:
-
প্রাচীন বাংলা: ৯০০/১০০০–১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ, যার প্রধান লিখিত নিদর্শন চর্যাগীতি।
-
মধ্য বাংলা: ১৩৫০–১৮০০ খ্রিস্টাব্দ।
-
আধুনিক বাংলা: ১৮০০-এর পরবর্তী সময়।
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলামের মােট ৫টি গ্রন্থ বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার বাজেয়াপ্ত করে। কোন বইটি প্রথম বাজেয়াপ্ত হয়?
Created: 1 month ago
A
বিষের বাঁশি
B
যুগবাণী
C
ভাঙার গান
D
প্রলয় শিখা
কাজী নজরুল ইসলামের ‘যুগবাণী’ প্রবন্ধগ্রন্থ
-
প্রকাশকাল: কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধসংকলন ‘যুগবাণী’ ১৯২২ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ: এটি ছিল নজরুলের প্রথম প্রবন্ধভিত্তিক বই।
-
নিষিদ্ধ ঘোষণা: বইটি প্রকাশের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই, ২৩ নভেম্বর ১৯২২ সালে ব্রিটিশ সরকার ফৌজদারি বিধির ৯৯এ ধারা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
-
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: অনেক পরে, ১৯৪৭ সালে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
-
গ্রন্থের বিষয়বস্তু: প্রবন্ধগুলোতে মূলত স্বদেশি চেতনা, জাতীয় জাগরণ, ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব ও শিক্ষার নতুন দিকনির্দেশনা ফুটে ওঠে।
-
অন্তর্ভুক্ত প্রবন্ধ: নবযুগ, ধর্মঘট, সত্য-শিক্ষা, ভাব ও কাজ, জাতীয় শিক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাগরণী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম যে গ্রন্থটি সরকার নিষিদ্ধ করে, সেটি হলো ‘যুগবাণী’।
নজরুলের ৫টি নিষিদ্ধ গ্রন্থ
-
যুগবাণী (প্রবন্ধগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ২৩ নভেম্বর ১৯২২, নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় ১৯৪৭।
-
বিষের বাঁশী (কবিতাগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ২২ অক্টোবর ১৯২৪, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: ২৭ এপ্রিল ১৯৪৫।
-
ভাঙার গান (কবিতাগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ১১ অক্টোবর ১৯২৪।
-
প্রলয় শিখা (কবিতাগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩০।
-
চন্দ্রবিন্দু (গানের সংকলন) – নিষিদ্ধ: ১৪ অক্টোবর ১৯৩১।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
এ কথা প্রমাণ হয়েছে।
B
‘গীতাঞ্জলি’ পড়েছ কি?
C
অল্প দিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য হলেন।
D
আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্য করা অনুচিত।
১/এ কথা প্রমানিত হয়েছে। (সঠিক) ২/ অল্প দিনের মধ্যে তিনি আরোগ্যলাভ করবেন। (সঠিক) ৩/আবশ্যক ব্যয়ে কৃপণতা করা অনুচিত। (সঠিক) তাই সঠিক বাক্য - "গীতাঞ্জলী " পড়েছো কি?
0
Updated: 1 month ago