বাক্যের দুটি অংশ থাকে
A
প্রসাদগুণ, মাধুৰ্যগুণ
B
উপমা, অলংকার
C
উদ্দেশ্য, বিধেয়
D
সাধু, চলিত
উত্তরের বিবরণ
বাক্যের গঠন দুটি প্রধান অংশ নিয়ে তৈরি, যা হলো উদ্দেশ্য এবং বিধেয়। বাক্যের উদ্দেশ্য হলো সেই অংশ যেখানে কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয়,
আর বিধেয় হলো সেই অংশ যা কর্তা বা উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বাক্যে তথ্য বা কার্য প্রকাশ করে। এই দুটি অংশের মাধ্যমে একটি বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ হয়।
- 
উদ্দেশ্য: বাক্যের সেই অংশ যেখানে কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ: - 
মামুন বল খেলে। 
 এখানে 'মামুন' হলো বাক্যের উদ্দেশ্য, কারণ বাক্যটি তাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে।
 
- 
- 
বিধেয়: কর্তা বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাক্যে যা কিছু বলা হয়, সেই অংশকে বিধেয় বলে। সাধারণত বিধেয় অংশে ক্রিয়া থাকে। উদাহরণস্বরূপ: - 
মামুন বল খেলে। 
 এখানে 'বল খেলে' অংশটি বাক্যের বিধেয়, কারণ এটি কর্তা 'মামুন' সম্বন্ধে কার্য প্রকাশ করছে।
 
- 
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন ব্যক্তি 'বুদ্ধির মুক্তি' আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না?
Created: 1 month ago
A
কাজী আবদুল ওদুদ
B
এস ওয়াজেদ আলি
C
আবুল ফজল
D
আবদুল কাদি
ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত এর কার্যক্রম চলে। এটি মুসলিম সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
সমাজের মূলমন্ত্র ছিল 'বুদ্ধির মুক্তি' এবং এর স্লোগান ছিল, "জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।"
- 
প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন আবুল হুসেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী, কাজী আবদুল ওদুদ, আবদুল কাদির, আবুল ফজল, আনোয়ারুল কাদির প্রমুখ। 
- 
বুদ্ধির মুক্তি বলতে তারা বোঝাতেন অন্ধ সংস্কার ও শাস্ত্রানুগত্য থেকে মানুষের বিচারবুদ্ধিকে মুক্ত করা। 
- 
সংগঠনটি নবজাগরণের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমাজকর্ম ও সাহিত্যচর্চায় ব্রতী হয়েছিল, যার পেছনে প্রভাবিত ছিল মুস্তফা কামাল পাশার তুর্কি জাতি প্রতিষ্ঠার উদ্যম, ভারতের নবজাগরণে বিভিন্ন মণিষীর প্রয়াস, এবং মানবতার উদ্বোধনে সর্বকালের চিন্তাচেতনার সংযোগ। 
- 
১৯২৭ সালে সংগঠনটি 'শিখা' নামে একটি বার্ষিক মুখপত্র প্রকাশ শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন ছিলেন প্রথম সংখ্যার সম্পাদক। 
- 
উল্লেখ্য, এস ওয়াজেদ আলী 'বুদ্ধির মুক্তি' আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
শুদ্ধ বাক্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বিদ্বান হলেও তার কোনাে অহংকার নেই।
B
ইশ! যদি পাখির মত পাখা পেতাম।
C
অকারণে ঋণ করিও না।
D
হয়তাে সােহমা আসতে পারে।
অশুদ্ধ বাক্য হলো: অকারণে ঋণ করিও না। এই বাক্যটি গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হওয়ার কারণে শব্দের যথাযথতা হারিয়েছে। এর শুদ্ধ রূপ হবে: অকারণে ঋণ করো না।
গুরুচণ্ডালী দোষ সম্পর্কিত তথ্যগুলো:
- 
গুরুচণ্ডালী দোষ হলো তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের ব্যবহার থেকে যে ধরনের ভুল বা অশুদ্ধতা সৃষ্টি হয়। 
- 
কখনও কখনও তৎসম এবং দেশীয় শব্দের সংমিশ্রণ শব্দের যোগ্যতা নষ্ট করে এবং তা অশুদ্ধ বা অনুচিত হয়ে যায়। 
- 
উদাহরণ হিসেবে তৎসম শব্দগুলো হলো: গরুর গাড়ি, শবদাহ, মড়াপোড়া। এগুলোর গঠন এবং অর্থ সঠিক এবং কোনো সমস্যা নেই। 
- 
কিন্তু যদি তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দ মিশ্রিত করা হয়, যেমন: গরুর শকট, শবপোড়া, মড়াদাহ, তখন শব্দগুলো গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হয় এবং তাদের ব্যবহার অনুচিত হয়। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
“ঐ ক্ষেপেছে পাগলি মায়ের দামাল ছেলে”-কে এই দামাল ছেলে?
Created: 1 month ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
কামাল পাশা
C
চিত্তরঞ্জন দাস
D
সুভাষ বসু
কবিতায় "দামাল ছেলে" বলতে কামাল পাশাকে বোঝানো হয়েছে। এটি কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি কবিতা।
- 
কামাল পাশা - 
লেখক: কাজী নজরুল ইসলাম 
- 
উদ্ধৃত অংশ: 
 "ঐ খেপেছে পাগ্লি মায়ের দামাল ছেলে কামাল ভাই,
 অসুর-পুরে শোর উঠেছে জোর্সে সামাল সামাল তাই।
 কামাল! তু নে কামাল কিয়া ভাই!
 হো হো কামাল! তু নে কামাল কিয়া ভাই!"
 
- 
- 
'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থ - 
এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। 
- 
জনপ্রিয় কবিতা: 'বিদ্রোহী', যার জন্য তিনি 'বিদ্রোহী কবি' হিসেবে পরিচিত। 
- 
কাব্যের প্রথম কবিতা: প্রলয়োল্লাস। 
- 
কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে। 
 
- 
- 
অগ্নিবীণা কাব্যের মোট ১২টি কবিতা: - 
প্রলয়োল্লাস 
- 
বিদ্রোহী 
- 
রক্তাম্বর-ধারিণী মা 
- 
আগমণী 
- 
ধূমকেতু 
- 
কামাল পাশা 
- 
আনোয়ার 
- 
রণভেরী 
- 
শাত-ইল-আরব 
- 
খেয়াপারের তরণী 
- 
কোরবানী 
- 
মহররম 
 
- 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago