‘কিত্তনখােলা’ নাটকটির বিষয়-
A
যন্ত্রণাদগ্ধ শহরজীবন
B
স্নিগ্ধ-শ্যামল প্রকৃতির রূপ
C
লোকায়ত জীবন-সংস্কৃতি
D
দেশবিভাগজনিত জীবন যন্ত্রণা
উত্তরের বিবরণ
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটি সেলিম আল দীন রচিত একটি জীবনঘনিষ্ঠ নাট্যকর্ম, যা বাংলা নাট্যশিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। নাটকটির মাধ্যমে সেলিম আল দীন পাশ্চাত্য নাট্যরীতি পরিহার করে প্রাচ্যীয় রীতি ও বাঙালির প্রান্তিক জনগণের জীবন-সংস্কৃতিকে নাট্যরূপে উপস্থাপন করেন।
তিনি নিজেও বলেছেন যে, কিত্তনখোলা রচনার সময় তিনি মানিকগঞ্জের লোকায়ত জীবন, সংস্কৃতি এবং অপূর্ব নিসর্গের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন, যা নাটকে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে।
মূল তথ্যগুলো:
-
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটির রচয়িতা সেলিম আল দীন।
-
নাটকটি বাঙালির প্রান্তিক জনমানুষের প্রথাগত জীবন এবং সাংস্কৃতিক আচার-আচরণের ইতিবৃত্তকে তুলে ধরেছে।
-
নাট্যরচনার মাধ্যমে প্রাচ্যীয় নাট্যরীতি বাংলা নাট্যশিল্পে প্রবর্তন হয়।
সেলিম আল দীন:
-
জন্ম: ১৮ নভেম্বর ১৯৪৮, সোনাগাজি, নোয়াখালি জেলার সেনেরখিল গ্রামে।
-
তিনি মূলত কবিতা লিখতেন, তবে ১৯৭২ সালে তার নাটক ‘নীল শয়তান: তাহিতি ইত্যাদি’ টেলিভিশন ও বেতারে প্রচার হওয়ার পর নাট্যকার হিসেবে পরিচিতি পান।
-
একই বছর ডাকসু মঞ্চে ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ মঞ্চস্থ হয় এবং নাট্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পায়।
-
১৯৭৩ সালে ডাকসু নাট্যচক্র ‘এক্সপ্লোসিভ ও মূল সমস্যা’ মঞ্চস্থ করলে তিনি নাট্যকার হিসেবে সর্বজন পরিচিত হন।
সেলিম আল দীনের অন্যান্য নাট্যগ্রন্থ:
-
সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য
-
বাসন
-
কেরামতমঙ্গল
-
কিত্তনখোলা
-
হাতহদাই
-
শকুন্তলা
-
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
-
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
-
চাকা
-
যৈবতী কন্যার মন
-
হরগজ
-
নিমজ্জন
0
Updated: 1 month ago
১৪) প্রহসন বাংলা সাহিত্যের কোন যুগের নাট্যধারা?
Created: 2 months ago
A
আদি যুগ
B
মধ্যযুগ
C
আধুনিক যুগ
D
পাল যুগ
প্রহসন — বাংলা সাহিত্যের আধুনিক নাট্যধারা
আধুনিক যুগের সাহিত্য
-
১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ।
-
এই কলেজের পাঠ্যপুস্তক রচনার মধ্য দিয়েই বাংলা সাহিত্য প্রবেশ করে আধুনিক যুগে।
-
আখ্যানকাব্য, মহাকাব্য, নাটক-প্রহসন, গীতিকাব্য এবং সংবাদপত্র/সাময়িকপত্রের মাধ্যমে উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা সাহিত্য বিশ্ব সাহিত্যের দরবারে প্রবেশ করে।
-
আধুনিক যুগের সাহিত্যকীর্তির বিস্তারের কারণে এ যুগের সামগ্রিক সাহিত্যসৃষ্টির পরিচয় দেওয়া প্রায় অসম্ভব।
প্রধান রূপ ও সম্ভার
-
উপন্যাস: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ।
-
কবিতা: কাজী নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্টাচার্য, জীবনানন্দ দাশ, শামসুর রাহমান, জয় গোস্বামী।
-
নাটক: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, বিজন ভট্টাচার্য, সেলিম আলদীন।
-
মহাকাব্য: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
-
সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও আধুনিক যুগেরই ফসল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
কোনটি রবীন্দ্ররচনার অন্তর্গত নয়?
Created: 2 months ago
A
"কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?"
B
"অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।"
C
"প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে?"
D
"কি আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে নদীর কূলে।"
"অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।"- পঙ্ক্তিটি রবীন্দ্ররচনার অন্তর্গত নয়।
অন্যদিকে,
• 'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও'- পঙ্ক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'শেষের কবিতা' উপন্যাসের একটি বিখ্যাত লাইন।
• "প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে?"- পঙ্ক্তি' রবীন্দ্রনাথের 'রাজা' নাটকের অন্তর্গত আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে কবিতার অন্তর্ভুক্ত।
• 'কি আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে নদীর কূলে - এ পঙক্তিটি রবীন্দ্রনাথ রচিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা' কবিতার অন্তর্গত।
---------------------------
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
- তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
- তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
- মাত্র পনের বছর বয়সে তাঁর 'বনফুল' কাব্য প্রকাশিত হয় এবং এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম 'গীতাঞ্জলি' কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
- ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
• তাঁর রচিত উপন্যাস:
- ঘরে-বাইরে,
- চোখের বালি,
- শেষের কবিতা,
- যোগাযোগ,
- নৌকাডুবি,
- বউ ঠাকুরানীর হাট,
- দুই বোন,
- মালঞ্চ,
- চতুরঙ্গ,
- গোরা,
- রাজর্ষি,
- চার অধ্যায়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া; বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি যৌগিক কালের উদাহরণ নয়?
Created: 1 month ago
A
করছিলাম
B
করেছি
C
করছি
D
করব
যৌগিক কালের উদাহরণ নয়: করব
যৌগিক কাল হল সেই ধরণের ক্রিয়ার কাল, যা একাধিক ধাতুর সমন্বয়ে গঠিত।
-
যৌগিক কালের ক্রিয়া গঠনের জন্য মূল ধাতুর সাথে ‘ইয়া’ বা ‘ইতে’ প্রত্যয় যোগ করা হয় এবং সহায়ক ধাতু যেমন ‘√আছ্’, ‘√থাক্’ প্রয়োগ করা হয়।
-
বাংলায় ঘটমান এবং পুরাঘটিত কালগুলো যৌগিক কালের উদাহরণ। অর্থাৎ,
-
পুরাঘটিত বর্তমান
-
ঘটমান বর্তমান
-
পুরাঘটিত অতীত
-
ঘটমান অতীত
-
পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ
-
ঘটমান ভবিষ্যৎ
-
উদাহরণ
-
করছিলাম → ঘটমান অতীত (যৌগিক)
-
করছি → ঘটমান বর্তমান (যৌগিক)
-
করেছি → পুরাঘটিত অতীত (যৌগিক)
-
করব → সাধারণ ভবিষ্যৎ (সরল কাল, যৌগিক নয়)
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 1 month ago