মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নভেল কোনটি?
A
ক্রীতদাসের হাসি
B
জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
C
কান্নাপর্ব
D
প্রদোষে প্রাকৃতজন
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাসের মধ্যে ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’, ‘ক্রীতদাসের হাসি’, ‘কান্নাপর্ব’ এবং ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ উল্লেখযোগ্য।
এই উপন্যাসগুলো রাজনৈতিক, সামাজিক এবং প্রান্তিক জীবনের বাস্তবতা প্রতিফলিত করেছে এবং বাংলা আখ্যানগদ্যে অনন্য ভঙ্গি ও শিল্পচর্চা উপস্থাপন করেছে।
জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা উপন্যাস সম্পর্কে:
-
রচয়িতা: শহীদুল জহির।
-
এটি একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
-
শহীদুল জহিরের ভাষা ও শৈলী বাংলা কথাসাহিত্যে এক অভিনব সংযোজন, যা আগে বিরল।
-
কাহিনির সংক্ষেপ: ১৯৮৫ সালে লক্ষ্মীবাজারের শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী লেনের যুবক আব্দুল মজিদ রায়সাহেব বাজারে যাওয়ার পথে তার স্যান্ডেলের ফিতে ছিঁড়ে যায়। ৬২ পৃষ্ঠা পরে সে তার বাড়িটি বিক্রি করে এবং লক্ষ্মীবাজার থেকে চলে যায়।
-
উপন্যাসটি ঢাকার এক মহল্লার ১৯৭১ সালের নয় মাসের জীবন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলে।
ক্রীতদাসের হাসি উপন্যাস সম্পর্কে:
-
রচয়িতা: শওকত ওসমান।
-
এটি প্রতীকাশ্রয়ী উপন্যাস, প্রকাশিত ১৯৬২ সালে।
-
উপন্যাসে তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানের সমালোচনা রূপক ও প্রতীকের মাধ্যমে করা হয়েছে।
-
কাহিনিতে বাগদাদের বাদশা হারুন অর রশিদ অত্যাচারী হিসেবে চিত্রিত, এবং ক্রীতদাস তাতারি তার নির্যাতনের প্রতিবাদী।
-
তাতারি বাঙালি জনগণের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
এটি শওকত ওসমানের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস, এবং এর জন্য তাঁকে ১৯৬৬ সালে আদমজি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
কান্নাপর্ব উপন্যাস সম্পর্কে:
-
রচয়িতা: আহমাদ মোস্তফা কামাল।
-
এটি তাঁর তৃতীয় উপন্যাস, ২০১২ সালে ‘জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ২০১৩’ লাভ করে।
-
উপন্যাসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিল্পচর্চা ও শিল্পীজীবন ফুটে উঠেছে।
-
শহুরে তরুণ লেখক নিজের সীমিত জ্ঞান নিয়ে স্থানীয় যুবকের সাহায্যে প্রান্তিক জীবনের বর্ণনা উপস্থাপন করেন।
-
কাহিনি পদ্মা-ইছামতি-কালীগঙা নদীর তীরবর্তী দারিদ্র্যক্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর জীবন ও তাদের শিল্পচর্চার সঙ্গে পাঠককে পরিচয় করায়।
প্রদোষে প্রাকৃতজন উপন্যাস সম্পর্কে:
-
রচয়িতা: শওকত আলী।
-
প্রকাশিত ১৯৮৪ সালে।
-
কাহিনীটি সেন রাজাদের রাজত্বকাল ও তুর্কি আক্রমণের অব্যবহিত পূর্ব সময়ের পটভূমিতে রচিত।
0
Updated: 1 month ago
সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র সম্পাদিত পত্রিকার নাম কী?
Created: 2 months ago
A
গ্রামবার্তা
B
বঙ্গদর্শন
C
মাসিক পত্রিকা
D
সংবাদ প্রভাকর
১৮৭২ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) কর্তৃক ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। উনিশ শতকের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বিশেষত বাংলা গদ্যের গঠনে এর অবদান অবিস্মরণীয়। পত্রিকাটি ১৮৭৬ পর্যন্ত মাত্র চার বছর প্রকাশিত হয়। বঙ্গদর্শনের ভাষা ছিল খুব উন্নত মানের সাধু বাংলা।
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি বিশ শতকের পত্রিকা?
Created: 1 month ago
A
শনিবারের চিঠি
B
বঙ্গদর্শন
C
তত্ত্ববােধিনী
D
সংবাদ প্রভাকর
শনিবারের চিঠি, বঙ্গদর্শন, তত্ত্ববোধিনী এবং সংবাদ প্রভাকর পত্রিকাগুলি বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। এই পত্রিকাগুলোর প্রকাশনার সময়কাল, উদ্দেশ্য ও প্রভাব ভিন্ন হলেও প্রত্যেকটি তার সময়ের সাহিত্য-চর্চা ও সামাজিক জ্ঞানের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছে।
-
শনিবারের চিঠি পত্রিকা: এটি একটি স্যাটায়ারধর্মী সাহিত্যিক পত্রিকা, যা প্রথমে সাপ্তাহিক পরে মাসিক প্রকাশিত হয়। প্রধান উদ্দেশ্য ছিল হাস্য কৌতুকের মাধ্যমে সমসাময়িক সাহিত্য-চর্চাকে সমালোচনা করা। প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে, এবং ১৯৩০-৪০-এর দশকে কলকাতা কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যের জগতে বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করে। পত্রিকার সঙ্গে কল্লোল গোষ্ঠীর দ্বন্দ থাকলেও এটি তৎকালীন সাহিত্যকে অনুপ্রাণিত করেছিল। পত্রিকার প্রাণপুরুষ ছিলেন সজনীকান্ত দাস, যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পত্রিকার প্রকাশনা ও সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন।
-
বঙ্গদর্শন পত্রিকা: এটি প্রথম প্রকাশ করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) ১৮৭২ সালে। উনিশ শতকের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের, বিশেষত বাংলা গদ্যের গঠনে, এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। পত্রিকাটি মাত্র চার বছর, ১৮৭৬ পর্যন্ত, প্রকাশিত হয়।
-
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা: ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র হিসেবে এটি ১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। পত্রিকার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
সংবাদ প্রভাকর পত্রিকা: প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, যিনি ১৮৩১ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৩৯ সাল থেকে এটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হতে থাকে।
সারসংক্ষেপে দেখা যায়, শনিবারের চিঠি পত্রিকা বিশ শতকে প্রকাশিত হয়, যেখানে বঙ্গদর্শন, তত্ত্ববোধিনী এবং সংবাদ প্রভাকর উনিশ শতকের পত্রিকা।
0
Updated: 1 month ago
কোন উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত?
Created: 1 month ago
A
উপনেতা
B
উপভোগ
C
উপগ্রহ
D
উপসাগর
উপসর্গ এবং বাংলায় এর ব্যবহার
উপসর্গ হলো এমন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
উপসাগর, উপগ্রহ, উপনেতা – এখানে “উপ” ক্ষুদ্র অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
উপভোগ – এখানে “উপ” বিশেষ বা অতিরিক্ত অর্থ প্রকাশ করছে।
বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন ধরনের হয়:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। এর সংখ্যা ২১।
উদাহরণ: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
দ্রষ্টব্য: আ, সু, বি, নি এই চারটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়। -
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত থেকে আগত উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ বলা হয়।
প্রধান ২০টি তৎসম উপসর্গ:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ। -
বিদেশি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় দীর্ঘ সময় ধরে প্রচলিত বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ।-
আরবি: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু: হর
-
ইংরেজি: হেড, সাব, ফুল, হাফ
-
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 1 month ago