A
যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করতে
B
শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করতে
C
গর্ভের শিশুর নড়াচড়া ধরতে
D
শব্দ তরঙ্গ প্রতিফলন গ্রহণ করতে
উত্তরের বিবরণ
শব্দের ব্যবহার (Usages of Sound)
শব্দের প্রচলিত ব্যবহার আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত দেখি।
-
কথা বলা, গান বা সঙ্গীত শোনা, হৃৎস্পন্দনের শব্দ শোনা, যন্ত্রপাতির শব্দ শোনা ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহারের উদাহরণ।
-
তবে শব্দের আরও অনেক বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত ব্যবহার রয়েছে। যেমন- গর্ভে থাকা নবজাতক দেখা, মাটির নিচে তেল বা গ্যাসের উপস্থিতি নির্ণয় ইত্যাদি।
১. ত্রিমাত্রিক সিসমিক সার্ভে (3D Seismic Survey):
-
মাটির নিচে তেল বা গ্যাস আছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য সিসমিক সার্ভে করা হয়।
-
প্রক্রিয়া: মাটির কিছু অংশে ছোট বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের শব্দ মাটির নিচের বিভিন্ন স্তরে প্রতিফলিত হয়ে উপরে ফিরে আসে।
-
প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো ধরা হয় জিওফোন (Geophone) নামের বিশেষ রিসিভারের মাধ্যমে।
-
প্রতিটি প্রতিফলন এবং সময় ব্যবধান বিশ্লেষণ করে মাটির নিচের নিখুঁত ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরি করা হয়।
-
যেহেতু শব্দের উৎস এবং জিওফোনের অবস্থান জানা থাকে, তাই উৎস থেকে রিসিভারে শব্দ পৌঁছতে কত সময় লেগেছে তা দিয়ে বিভিন্ন স্তরের দূরত্ব নির্ণয় করা যায়।
২. আলট্রাসাউন্ড ক্লিনার (Ultrasound Cleaner):
-
ল্যাবরেটরিতে ছোট যন্ত্রপাতি নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করতে আলট্রাসাউন্ড ক্লিনার ব্যবহার করা হয়।
-
প্রক্রিয়া: যন্ত্রপাতি একটি তরলে ডুবানো হয় এবং সেখানে আলট্রাসাউন্ড তরঙ্গ প্রবাহিত করা হয়।
-
আলট্রাসাউন্ডের কম্পনের ফলে যন্ত্রপাতির ভেতরের সব ধুলো ও ময়লা বের হয়ে আসে।

0
Updated: 18 hours ago
মানুষের শ্রাব্যতার সীমা কোন কম্পাঙ্কের মধ্যে?
Created: 1 week ago
A
10 Hz – 10,000 Hz
B
100 Hz – 30,000 Hz
C
50 Hz – 15,000 Hz
D
20 Hz – 20,000 Hz
শ্রাব্যতার সীমা, শব্দেতর ও শব্দোত্তর তরঙ্গ
শব্দের উৎস:
শব্দের উৎস হলো যেকোনো বস্তুর কম্পন।
শ্রাব্যতার সীমা:
কম্পন হলেই শব্দ শোনা যাবে তা নয়। মানুষের শ্রবণযন্ত্রের সীমাবদ্ধতা থাকে।
মানুষ সাধারণত ২০ Hz থেকে ২০,০০০ Hz কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পারে।
এই সীমার মধ্যে থাকা শব্দকে বলা হয় শ্রাব্য শব্দ।
শব্দেতর ও শব্দোত্তর তরঙ্গ:
শব্দেতর তরঙ্গ (Infrasonic Wave): ২০ Hz-এর নিচের কম্পাঙ্কের তরঙ্গ।
শব্দোত্তর তরঙ্গ (Ultrasonic Wave): ২০,০০০ Hz-এর উপরের কম্পাঙ্কের তরঙ্গ।
লক্ষণীয় বিষয়:
সব মানুষের শ্রাব্যতার ক্ষমতা সমান নয়।
ব্যক্তি ভেদে শ্রাব্যতার সীমা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
তাপ তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয় কোন প্রক্রিয়ায়?
Created: 19 hours ago
A
বিকিরণ
B
পরিচলন
C
রাসায়নিক
D
পরিবহন
তাপ বিকিরণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সূর্যসহ যেকোনো উত্তপ্ত বস্তু মাধ্যম ছাড়াই তাপ ছড়িয়ে দেয়। এ প্রক্রিয়ায় তাপ তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয় এবং গরম স্থান থেকে ঠাণ্ডা স্থানে পৌঁছে যায়।
-
সূর্য হলো তাপের প্রধান উৎস।
-
সূর্য থেকে তাপ পৃথিবীতে আসে বিকিরণের মাধ্যমে।
-
যেখানে কোনো জড় মাধ্যম নেই, সেখানে তাপ সঞ্চালনের একমাত্র উপায় হলো বিকিরণ।
-
তাপ মূলত এক ধরনের তরঙ্গ, যা মাধ্যম ছাড়াই উত্তপ্ত স্থান থেকে শীতল স্থানে যেতে সক্ষম।
-
বিকিরণ প্রক্রিয়ার সময় তাপ তরঙ্গ আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
-
যেকোনো উত্তপ্ত বস্তু বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ নির্গত করে।
-
কিছু পদার্থ সহজে তাপ বিকিরণ করতে পারে, এদেরকে বলা হয় বিকিরক। বিকিরক পদার্থ তাপ বিকিরণ করে ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং একই সঙ্গে তাপ শোষণও করতে পারে।
-
আবার কিছু পদার্থ তাপ সহজে শোষণ করে নেয়, এদেরকে বলা হয় শোষক। শোষক পদার্থ তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়।
-
পানি, জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, কাঁচ, প্লাস্টিক ইত্যাদি পদার্থ তাপ শোষণকারী হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 19 hours ago
'শব্দ তরঙ্গ' কোন ধরনের তরঙ্গ?
Created: 1 week ago
A
গামা রশ্মির তরঙ্গ
B
যান্ত্রিক তরঙ্গ
C
বেতার তরঙ্গ
D
তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ
তরঙ্গ
তরঙ্গ সৃষ্টির জন্য জড় মাধ্যম প্রয়োজন।
মাধ্যমের কণাগুলো স্থানান্তরিত না হলেও, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি সঞ্চারিত হওয়া পর্যাবৃত্ত আন্দোলনকে তরঙ্গ বলে।
যান্ত্রিক তরঙ্গ (Mechanical Wave)
জড় মাধ্যমের কণার কম্পনের মাধ্যমে সৃষ্ট তরঙ্গকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলা হয়।
উদাহরণ: পানির তরঙ্গ, শব্দ তরঙ্গ, ভূ-তরঙ্গ ইত্যাদি।
জড় মাধ্যমের ছাড়া এই তরঙ্গ সৃষ্টি হয় না।
তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ (Electromagnetic Wave)
মাধ্যম ছাড়া মহাশূন্যে সঞ্চারিত হয়।
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো ও তাপ আসার মাধ্যম।
উদাহরণ: বেতার তরঙ্গ, এক্স-রশ্মি, গামা রশ্মি ইত্যাদি।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago