বায়ুমণ্ডলে শতকরা কত ভাগ জলীয়বাষ্প থাকে?
A
০.০৮ ভাগ
B
০.৪১ ভাগ
C
০.০৩ ভাগ
D
০.০১ ভাগ
উত্তরের বিবরণ
বায়ুমণ্ডল
-
পৃথিবীর পৃষ্ঠের চারপাশে যে অদৃশ্য বায়বীয় আবরণ রয়েছে, তাকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়।
-
ইংরেজিতে বায়ুমণ্ডলকে Atmosphere বলা হয়।
-
বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর অপরিহার্য অংশ।
-
মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর গায়ের সাথে লেগে থাকে এবং পৃথিবীর সঙ্গে আবর্তিত হয়। তবে বায়ু কঠিন ভূমির সাথে সমানভাবে চলতে না পারায় সামান্য পশ্চাতে পড়ে।
-
বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী, বায়ুমণ্ডলের বয়স প্রায় ৩৫০ কোটি বছর।
-
বায়ুমণ্ডল মূলত ভূ-অভ্যন্তর থেকে নিঃসৃত গ্যাস থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
-
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে মাত্র ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে বায়ুমণ্ডলের ৯০% অবস্থান করছে।
-
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত।
বায়ুমণ্ডলের উপাদানের শতকরা অংশ:
উপাদানের নাম শতকরা অংশ (%) নাইট্রোজেন (N₂) ৭৮.০২ অক্সিজেন (O₂) ২০.৭১ আর্গন (Ar) ০.৮০ কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) ০.০৩ ওজোন (O₃) ০.০০০১ অন্যান্য গ্যাস ০.০১৯৯ জলীয় বাষ্প ০.৪১ ধূলিকণা ও কণিকা ০.০১
0
Updated: 1 month ago
উচ্চতা বাড়লে বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা কী হয়?
Created: 1 month ago
A
হ্রাস পায়
B
বৃদ্ধি পায়
C
অপরিবর্তিত থাকে
D
কোনোটিই নয়
জলবায়ু ও উচ্চতা:
জলবায়ু:
-
জলবায়ু হলো কোনো স্থানের ৩০–৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান: বায়ুর তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ।
-
প্রধান নিয়ামক:
-
অক্ষাংশ
-
উচ্চতা
-
সমুদ্র থেকে দূরত্ব
-
বায়ুপ্রবাহ
-
বনভূমি
-
সমুদ্রস্রোত
-
পর্বতের অবস্থান
-
ভূমির ঢাল ও মৃত্তিকা
-
উচ্চতা এবং জলবায়ু:
-
উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
-
সাধারণত প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতায় ৬° সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে।
-
একই অক্ষাংশের মধ্যে দুই স্থানের উচ্চতার পার্থক্যের কারণে জলবায়ু ভিন্ন হয়।
-
উদাহরণ: দিনাজপুর ও শিলং – একই অক্ষাংশে হলেও শিলং-এর উচ্চতা বেশি হওয়ায় তাপমাত্রা অনেক কম।
-
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
বায়ুমণ্ডলে শতকরা কতভাগ আর্গন বিদ্যমান?
Created: 2 months ago
A
৭৮.০
B
০.৮
C
০.৪১
D
০.৩
পৃথিবীর চারপাশে যে অদৃশ্য বায়বীয় আবরণ রয়েছে, তাকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়। ইংরেজিতে এটিকে Atmosphere বলা হয়।
বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর অপরিহার্য অংশ, যা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে পৃথিবীর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং পৃথিবীর সঙ্গে আবর্তন করে। তবে বায়ু কঠিন ভূমির সঙ্গে পুরোপুরি একইভাবে চলতে না পারায় কিছুটা পশ্চাতে থাকে।
বয়স ও উৎপত্তি:
বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, বায়ুমণ্ডলের বয়স প্রায় ৩৫০ কোটি বছর। এটি মূলত ভূ-অভ্যন্তর থেকে নির্গত গ্যাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসারণ:
-
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৯০% অংশ অবস্থান করে।
-
সর্বোচ্চ প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত।
বায়ুমণ্ডলের উপাদান
বায়ুমণ্ডল মূলত বিভিন্ন গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের সংমিশ্রণে গঠিত। প্রধান দুটি গ্যাস হলো:
-
নাইট্রোজেন: ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন: ২০.৭১%
এই দুটি গ্যাস মিলে মোট বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৯৯% গঠন করে। অবশিষ্ট ১% গ্যাস ও অন্যান্য উপাদান।
গ্যাসের বিতরণ অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলের স্তর:
-
সমমণ্ডল (Homosphere): ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত, যেখানে গ্যাসের অনুপাত প্রায় একই রকম থাকে।
-
বিষমমণ্ডল (Heterosphere): ৯০ কিলোমিটারের উপরে, যেখানে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত সমান নয়।
বায়ুমণ্ডলের উপাদান এবং তাদের শতাংশ
| উপাদান | শতকরা (%) |
|---|---|
| নাইট্রোজেন | ৭৮.০২ |
| অক্সিজেন | ২০.৭১ |
| আর্গন | ০.৮০ |
| কার্বন ডাই-অক্সাইড | ০.০৩ |
| ওজোন | ০.০০০১ |
| অন্যান্য গ্যাস | ০.০১৯৯ |
| জলীয় বাষ্প | ০.৪১ |
| ধূলিকণা ও কনিক্স | ০.০১ |
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে?
Created: 2 months ago
A
ওজোন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
কার্বন মনো-অক্সাইড
পরিবেশ দূষণ (Environmental Pollution)
-
পরিবেশ দূষণ হলো সেই অবস্থা যখন প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট পদার্থ পরিবেশকে বিষময় করে, ফলে জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
-
মাটি, পানি, বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তন পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ।
-
দূষিত পদার্থের বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়।
-
মানব কর্মকাণ্ডের কারণে ধরিত্রী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যেমন:
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ন
-
অপরিকল্পিত শিল্পায়ন
-
বনজ সম্পদ ধ্বংস
-
বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল
-
নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট
-
ইটভাটা, ভূমিক্ষয়
-
যানবাহন ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক অতিরিক্ত ব্যবহার
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (Effects of Climate Change)
-
অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
-
গ্রিনহাউস প্রভাবের কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাপমাত্রা বাড়ে, হিমালয়ের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
-
ফলে উপকূলবর্তী দেশসমূহ (বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ইত্যাদি) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
-
ভবিষ্যৎ প্রভাব:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের উঁচু হওয়ার ফলে ভূমি বিলীন হওয়া
-
জীবন ও সম্পদের ক্ষতি
-
খরা, নদীর প্রবাহ হ্রাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস
-
পানযোগ্য পানির অভাব
-
মৎস্য সম্পদ ক্ষয়
-
ফসল উৎপাদন হ্রাস
-
অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মক ক্ষতি
-
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago