পরিবাহী, অপরিবাহী ও অর্ধপরিবাহী পদার্থ
১. পরিবাহী পদার্থ (Conductors):
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান (charge) সহজে প্রবাহিত হতে পারে, তাদেরকে পরিবাহী পদার্থ বলা হয়।
-
উদাহরণ: রূপা, তামা, লোহা ইত্যাদি।
-
মূলত: সকল ধাতব পদার্থই পরিবাহী।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
আধান প্রদান করলে তা কোনো জায়গায় আবদ্ধ না থেকে সমগ্র পদার্থে ছড়িয়ে পড়ে।
-
দুটি আহিত বস্তুকে পরিবাহী দ্বারা যুক্ত করলে তড়িৎ প্রবাহ সহজে সৃষ্টি হয়।
-
পরিবাহী পদার্থ তাপপ্রয়োগে তড়িৎ প্রবাহে বাঁধা কমায় বা ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
-
২. অপরিবাহী পদার্থ (Insulators):
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান প্রবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে অপরিবাহী বলা হয়।
-
উদাহরণ: কাচ, কাঠ, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
মূলত: প্রায় সকল অধাতব পদার্থই অপরিবাহী।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
আধান প্রদান করলে তা স্থানীয়ভাবে আবদ্ধ থাকে।
-
দুটি আহিত বস্তুকে অপরিবাহী দ্বারা যুক্ত করলে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয় না।
-
অপরিবাহী তড়িৎ প্রবাহে বাঁধা দেয়।
-
৩. অর্ধপরিবাহী পদার্থ (Semiconductors):
-
যে পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ সম্ভব কিন্তু পরিবাহীর চেয়ে অনেক কম, অপরিবাহী চেয়ে বেশি।
-
উদাহরণ: জার্মেনিয়াম, সিলিকন।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা পরিবাহী এবং অপরিবাহী পদার্থের মধ্যবর্তী।
-
পরিবাহী এবং অর্ধপরিবাহীর মধ্যে পার্থক্য:
-
পরিবাহী: তাপমাত্রা বৃদ্ধি → তড়িৎ প্রবাহের ক্ষমতা ↓
-
অর্ধপরিবাহী: তাপমাত্রা বৃদ্ধি → তড়িৎ প্রবাহের ক্ষমতা ↑
-
-
অর্থাৎ, পরিবাহী পদার্থের রোধ বৃদ্ধি পায়, অর্ধপরিবাহী পদার্থের রোধ হ্রাস পায়।
-