মিথান্যালের জলীয় দ্রবণকে কী বলে?
A
ভিনেগার
B
মেথিলেটেড স্পিরিট
C
রেকটিফাইড স্পিরিট
D
ফরমালিন
উত্তরের বিবরণ
ফরমালিন হলো মিথান্যালের জলীয় দ্রবণ। এতে সাধারণত 40% মিথান্যাল, 52% পানি এবং 8% মিথাইল অ্যালকোহল থাকে।
ভিনেগার হলো 6–10% ইথানোয়িক এসিডের জলীয় দ্রবণ।
রেকটিফাইড স্পিরিট হলো 95.6% ইথানল এবং 4.4% পানির মিশ্রণ।
মেথিলেটেড স্পিরিট হলো রেকটিফাইড স্পিরিটের সাথে মিথানল মিশ্রিত করে ইথানলকে অযোগ্য বা অসেবনীয় করার উদ্দেশ্যে তৈরি মিশ্রণ।
পাওয়ার অ্যালকোহল হলো পেট্রোলিয়াম জাতীয় উপাদানের সাথে 30% ইথানল মিশ্রিত করে বিকল্প জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত মিশ্রণ।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন উপাদানের অভাবে উদ্ভিদের ক্লোরোসিস হতে পারে?
Created: 1 month ago
A
লৌহ
B
ম্যাঙ্গানিজ
C
দস্তা
D
উপরোক্ত সবগুলোই
নাইট্রোজেন (N)
-
উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ক্লোরোফিল উৎপাদনে সরাসরি ভূমিকা রাখে।
-
নাইট্রোজেনের অভাবে ক্লোরোফিল তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে পাতার সবুজ রং ফিকে হয়ে ধীরে ধীরে হলুদে পরিণত হয়।
-
ক্লোরোফিলের অনুপস্থিতিতে অন্যান্য বর্ণকণার সম্মিলিত রঙ পাতায় দেখা দেয়, যা মূলত হলুদ।
-
পাতার এই হলুদ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্লোরোসিস (Chlorosis) বলা হয়।
-
শুধু নাইট্রোজেনের অভাব নয়, লৌহ (Fe), ম্যাঙ্গানিজ (Mn), দস্তা (Zn) এর ঘাটতিতেও ক্লোরোসিস হতে পারে, কারণ এ উপাদানগুলোও ক্লোরোফিল তৈরির সাথে সম্পর্কিত।
-
ক্লোরোসিস হলে কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন হ্রাস পায়, ফলে উদ্ভিদের সামগ্রিক বৃদ্ধি কমে যায়।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি রক্তরসের জৈব পদার্থ?
Created: 1 month ago
A
ক্যালসিয়াম
B
লেসিথিন
C
আয়োডিন
D
সোডিয়াম
রক্তরস বা প্লাজমা
-
রক্তের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে।
-
রক্তরসের প্রায় ৯০% পানি, আর বাকি ১০% জৈব ও অজৈব পদার্থ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।
অজৈব পদার্থ
-
বিভিন্ন খনিজ পদার্থের আয়ন যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, আয়োডিন।
-
গ্যাসীয় পদার্থ যেমন: O₂, CO₂, N₂।
জৈব পদার্থ
১. খাদ্যসার → গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন।
২. রেচন পদার্থ → ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন।
৩. প্রোটিন → ফাইব্রিনোজেন, গ্লোবিউলিন, অ্যালবুমিন, প্রোথ্রম্বিন।
৪. প্রতিরক্ষামূলক পদার্থ → অ্যান্টিটক্সিন, অ্যাগ্লুটিনিন।
৫. হরমোন → অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোন।
৬. অন্যান্য যৌগ → কোলেস্টেরল, লেসিথিন, বিলিরুবিন ইত্যাদি।
রক্তরসের কাজ
-
খাদ্যসারকে রক্তকোষসহ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহণ করা।
-
টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে বৃক্কে পৌঁছে দেওয়া।
-
শ্বসনকালে কোষ থেকে উৎপন্ন CO₂ কে বাইকার্বনেট আকারে ফুসফুসে বহন করা।
-
রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পরিবহণ করা।
-
হরমোন, এনজাইম, লিপিড ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া।
-
রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখা।
উৎস: বিজ্ঞান (নবম–দশম শ্রেণি)
0
Updated: 1 month ago
সাবান তৈরির প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে-
Created: 1 month ago
A
এসিড
B
লবণ
C
চর্বি
D
ডিটারজেন্ট
সাবান (Soap)
-
সাবান হলো উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ।
-
রাসায়নিক নাম: সোডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COONa)।
-
সাবানের আয়নিক গ্রুপ: COO⁻ Na⁺।
-
এটি প্রচলিত পরিষ্কারক হিসেবে দেহ ও কাপড়-চোপড় পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
আধুনিক জীবনে সাবানের পাশাপাশি ডিটারজেন্ট, ইমালশন, পলিশ ইত্যাদিও পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
সাবান তৈরির প্রধান কাঁচামাল: তেল বা চর্বি।
-
তেল বা চর্বিকে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) বা পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH) দ্রবণের সাহায্যে হাইড্রোলাইজ করলে সোডিয়াম বা পটাশিয়াম সাবান উৎপন্ন হয়।
-
সাবান তৈরির সময় উপজাত হিসেবে গ্লিসারিন (Glycerin) পাওয়া যায়।
-
সাবানকে কঠিন করতে প্রায়শই সোডিয়াম সিলিকেট ব্যবহার করা হয়।
0
Updated: 1 month ago