জোয়ার-ভাটা হলো সমুদ্রের পানির নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফুলে ওঠা এবং নেমে যাওয়ার প্রক্রিয়া, যা মূলত মহাকর্ষ শক্তি এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তি দ্বারা সংঘটিত হয়। সমুদ্রের একই স্থানে প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা ঘটে।
-
চন্দ্র বনাম সূর্যের প্রভাব:
-
সূর্য পৃথিবী থেকে গড়ে ১৫ কোটি কিমি দূরে এবং চন্দ্র গড়ে ৩৮.৪ লক্ষ কিমি দূরে অবস্থিত।
-
যদিও সূর্য চন্দ্রের চেয়ে অনেক বড়, দূরত্বের কারণে পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ ক্ষমতা সূর্যের তুলনায় বেশি, তাই জোয়ার-ভাটায় চাঁদের প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়।
-
জোয়ার-ভাটাকে চারভাগে ভাগ করা যায়:
-
মুখ্য জোয়ার:
-
চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে আবর্তনকালে যে অংশের কাছে থাকে, সেখানে চন্দ্রের আকর্ষণ সর্বোচ্চ হয়।
-
চারদিক থেকে পানি ঐ স্থানে এসে জোয়ার সৃষ্টি করে। এ ধরনের জোয়ারকে মুখ্য বা প্রত্যক্ষ জোয়ার বলা হয়।
-
-
গৌণ জোয়ার:
-
চন্দ্রের বিপরীত পার্শ্বে মহাকর্ষ কমে যায় এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তি কাজ করে।
-
চারদিক থেকে পানি ঐ স্থানে এসে জোয়ার সৃষ্টি করে। এ ধরনের জোয়ারকে গৌণ বা পরোক্ষ জোয়ার বলা হয়।
-
-
ভরা কটাল বা তেজ কটাল:
-
অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময়, পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে তীব্র জোয়ার সৃষ্টি হয়।
-
এ ধরনের জোয়ারকে ভরা কটাল বা তেজ কটাল বলা হয়।
-
-
মরা কটাল:
-
চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সঙ্গে এক সমকোণে অবস্থান করলে চন্দ্রের আকর্ষণে জোয়ার হয় এবং সূর্যের আকর্ষণে ভাটা হয়।
-
এ ধরনের জোয়ারকে মরা কটাল বা মরা জোয়ার বলা হয়।
-