জন্ডিসের প্রধান কারণ কী?
A
প্লীহার ক্ষয়
B
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা কমে যাওয়া
C
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
D
রক্তে লাল কণিকার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া
উত্তরের বিবরণ
বিলিরুবিন হলো একটি হলুদ রঙের পদার্থ যা মূলত যকৃত ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং প্লীহাতে সংরক্ষিত থাকে। এটি রক্তে থাকা লাল রক্ত কণিকার ১২০ দিনের চক্র শেষ হওয়ার পর ভেঙে তৈরি হয় এবং লিভারে মিলিত হয়ে পাচক তরল পদার্থ হিসেবে গলব্লাডারে জমে থাকে। বিলিরুবিন খাদ্য হজমে সহায়ক এবং মল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
উৎপাদন ও সংরক্ষণ: যকৃত ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়, প্লীহাতে জমা থাকে।
-
রঙ ও উৎস: হলুদ রঙের, লাল রক্ত কণিকা ভেঙে তৈরি।
-
লিভারের ভূমিকা: বিলি নামে পরিচিত পাচক তরল পদার্থে পরিণত হয় এবং গলব্লাডারে সংরক্ষিত থাকে।
-
হজম ও মল প্রস্তুতি: খাবার হজমে সাহায্য করে এবং মল তৈরি করতে সহায়তা করে।
-
জন্ডিসের কারণ: রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে জন্ডিস হয়।
-
রক্তে স্তরের বৃদ্ধি: যদি বিলিরুবিন বিলির সাথে মিশতে না পারে অথবা লাল রক্ত কণিকা কম পরিমাণে ভাঙতে শুরু করে, রক্তে বিলিরুবিনের স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা অন্য অঙ্গে পৌঁছে হলুদ ভাবের সৃষ্টি করে।
0
Updated: 1 month ago
কোন রোগ প্রতিরোধের জন্য টক্সয়েড টিকা দেয়া হয়?
Created: 1 month ago
A
কলেরা
B
ডিপথেরিয়া
C
টাইফয়েড
D
যক্ষ্মা
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট নয়?
Created: 1 month ago
A
নিউমোনিয়া
B
ইনফ্লুয়েঞ্জা
C
টাইফয়েড
D
ডিপথেরিয়া
ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) হলো একটি তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (প্রধানত টাইপ A, B, এবং C) দ্বারা ঘটে।
-
সাধারণত এটিকে ফ্লু (Flu) নামে বলা হয়।
-
ভাইরাসটি হাঁচি-কাশি বা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে দ্রুত ছড়ায়।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
-
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ বলে।
-
উল্লেখযোগ্য ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ: যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, কলেরা, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, আমাশয়, প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি।
ভাইরাসজনিত রোগ:
-
ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ভাইরাস জনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য ভাইরাস জনিত রোগ: জন্ডিস, পোলিও, জলাতঙ্ক, কোভিড-১৯, হার্পিস, দাদ, গুটি বসন্ত, জল বসন্ত, হাম, মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিস কোন অংশের অসুখ?
Created: 4 days ago
A
হার্ট
B
কিডনী
C
লিভার
D
ব্রেইন
গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিস একটি কিডনির রোগ, যা কিডনির গ্লোমেরুলি নামক ছোট রক্তনালীগ্রন্থির প্রদাহজনিত অসুখ। গ্লোমেরুলি হলো কিডনির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত পানি ছেঁকে বের করে মূত্র তৈরি হয়। যখন এই গ্লোমেরুলির মধ্যে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তখন কিডনির কাজ স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না, যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত বর্জ্য ও পানি জমে যায়।
-
গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিসের কারণে রক্তে বাড়তি প্রোটিন ও রক্তের উপস্থিতি, ফুলে যাওয়া (এডিমা) এবং উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।
-
এই রোগ মূলত অটোইমিউন সমস্যার কারণে হতে পারে, যেমন সিস্টেমিক লুপাস এরিথেম্যাটোসাস (SLE), অথবা এটি কোন সংক্রমণ বা স্ট্রেপ্টোকক্কাল ইনফেকশনের পরে হতে পারে।
-
প্রথমে গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিস সাধারণত তীব্র রূপে শুরু হয়, কিন্তু এটি যতদিন না চিকিৎসা করা হয়, ততদিন এটি ক্রনিক অবস্থায় রূপ নিতে পারে এবং কিডনির দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি ঘটাতে পারে।
-
এর লক্ষণগুলির মধ্যে মূত্রে রক্ত, গা dark ় মূত্র, উচ্চ রক্তচাপ, ও পায়ে ফোলাভাব দেখা যায়।
-
গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিসের চিকিৎসা সাধারণত স্টেরয়েড ও অন্যান্য ইমিউন সিস্টেমের চিকিৎসা, নিয়ন্ত্রণমূলক ডায়েট, এবং কখনও কখনও ডায়ালিসিস হয়ে থাকে, যদি কিডনি সম্পূর্ণ কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
-
কিছু ক্ষেত্রে, এটি শুধুমাত্র একজন বিশেষজ্ঞ কিডনি চিকিৎসক দ্বারা নির্ণয় ও চিকিৎসা করা সম্ভব, কারণ রোগের ধরন নির্ভর করে কিডনির ক্ষতির পরিমাণের ওপর।
এভাবে বলা যায়, গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিস কিডনির গ্লোমেরুলির প্রদাহজনিত রোগ, যা কিডনির কার্যক্ষমতা ব্যাহত করে। সঠিক উত্তর হলো — খ) কিডনী।
0
Updated: 4 days ago