তরঙ্গের বিস্তার বেশি হলে শব্দের তীব্রতা কেমন হবে?
A
বেশি হবে
B
কম হবে
C
অপরিবর্তনশীল থাকবে
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
শব্দ হলো একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ, যা বস্তুর কম্পনের ফলে সৃষ্টি হয় এবং এটি সঞ্চালনের জন্য একটি স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। শব্দ তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ হিসেবে কাজ করে, কারণ তরঙ্গের প্রবাহের দিক এবং কম্পনের দিক একই হয়।
-
মাধ্যম অনুযায়ী শব্দের গতি:
-
কঠিন পদার্থ: শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি, যেমন ইস্পাত, লোহা।
-
তরল পদার্থ: শব্দের গতি কম, যেমন পানি।
-
বায়বীয় পদার্থ: শব্দের গতি সর্বনিম্ন।
-
শূন্য মাধ্যম: শব্দের বেগ শূন্য।
-
-
শব্দের বেগ: মাধ্যমের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার উপর নির্ভরশীল।
-
শব্দের তীব্রতা: অন্যান্য তরঙ্গের মতো শব্দের তীব্রতা তার বিস্তারের বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ, তরঙ্গের বিস্তার বেশি হলে তীব্রতা বেশি হয় এবং বিস্তার কম হলে তীব্রতা কম হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোন শব্দ শোনার পরে কত সেকেন্ড পর্যন্ত এর রেশ আমাদের মাস্তিস্কে থাকে?
Created: 1 week ago
A
১ সেকেন্ড
B
০.১ সেকেন্ড
C
০.০১ সেকেন্ড
D
০.০০১ সেকেন্ড
যখন আমরা কোনো শব্দ শুনি, তা কানে প্রবেশ করে শ্রবণ স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায় এবং সেখানে এক ক্ষণস্থায়ী প্রভাব বা রেশ রেখে যায়। এই ক্ষণস্থায়ী শব্দরেশকে বলা হয় শ্রুতিস্মৃতি (Auditory memory) বা Echoic memory। এটি মানুষের সংবেদী স্মৃতির (sensory memory) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এটি বোঝার জন্য নিচের দিকগুলো লক্ষ্য করা যায়—
শব্দের রেশ বা শ্রুতিস্মৃতি অত্যন্ত অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। সাধারণভাবে, আমরা কোনো শব্দ শোনার পর তার প্রতিধ্বনি বা অনুভূতি প্রায় ০.১ সেকেন্ড পর্যন্ত মস্তিষ্কে টিকে থাকে। এরপর সেই শব্দের ধ্বনি বিলীন হয়ে যায়, যদিও তাৎক্ষণিকভাবে পরবর্তী শব্দের সঙ্গে মিলিয়ে আমরা অর্থ উপলব্ধি করতে পারি।
এই সময়কালকে বলা হয় Echoic storage duration। গবেষণায় দেখা যায়, এই সময় এতটাই সংক্ষিপ্ত যে এটি আমাদের শ্রবণ প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যাতে আমরা একেকটি শব্দকে আলাদা না করে একটি বাক্য বা সুর হিসেবে গ্রহণ করতে পারি।
যদি শব্দরেশ ১ সেকেন্ড স্থায়ী হতো, তাহলে একাধিক শব্দ একত্রে মিশে যেত এবং আমরা স্পষ্টভাবে ভাষা বুঝতে পারতাম না। আবার ০.০১ বা ০.০০১ সেকেন্ডের মতো খুবই স্বল্প সময় হলে ধারাবাহিক শব্দ শুনে অর্থ গঠন সম্ভব হতো না। তাই প্রকৃত সময়কাল প্রায় ০.১ সেকেন্ড হিসেবেই গ্রহণযোগ্য।
এই প্রক্রিয়া শ্রবণেন্দ্রিয় কর্টেক্সে (auditory cortex) ঘটে, যা মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোব-এ অবস্থিত। এখানেই শব্দের তরঙ্গ প্রক্রিয়াজাত হয়ে তাৎক্ষণিক স্মৃতিতে রূপ নেয় এবং পরবর্তী বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়।
অতএব, শব্দ শোনার পর তার রেশ বা প্রতিধ্বনি মানুষের মস্তিষ্কে আনুমানিক ০.১ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী থাকে, এরপর তা মুছে যায় বা অন্য শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো খ) ০.১ সেকেন্ড।
0
Updated: 1 week ago
শব্দের তীব্রতা কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
তাপমাত্রার সঙ্গে সমানুপাতিক
B
তরঙ্গের প্রস্থের সঙ্গে সমানুপাতিক
C
তরঙ্গের বিস্তারের বর্গের সঙ্গে সমানুপাতিক
D
তরঙ্গের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে সমানুপাতিক
শব্দ হলো এক ধরনের শক্তি, যা আমাদের শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে শোনার অনুভূতি সৃষ্টি করে। এটি একটি তরঙ্গাকার প্রক্রিয়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চারিত হয়, যেখানে পদার্থের কণাগুলো সামনের ও পেছনের দিকে দোলন করে শক্তি পরিবহন করে।
শব্দ তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য:
-
শব্দ হলো যান্ত্রিক এবং অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ, যা মাধ্যমের কণার স্পন্দনের দিকের সমান্তরালে অগ্রসর হয়।
-
শব্দ উৎপন্ন হয় কোনো বস্তুর কম্পনের ফলে; অর্থাৎ, কম্পনই শব্দের উৎস।
-
শব্দ তরঙ্গের সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যম (বায়ু, জল বা কঠিন পদার্থ) প্রয়োজন; শূন্যস্থানে শব্দ চলতে পারে না।
-
শব্দ তরঙ্গের বেগ নির্ভর করে মাধ্যমের প্রকৃতির উপর, যেমন—ঘনত্ব, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা।
উদাহরণস্বরূপ, শব্দের বেগ কঠিনে সর্বাধিক, তরলে কম, এবং বায়ুতে সর্বনিম্ন। -
শব্দের তীব্রতা (Intensity) তরঙ্গের বিস্তার (Amplitude)-এর বর্গের সমানুপাতিক; অর্থাৎ, বিস্তার যত বেশি, শব্দ তত জোরে শোনা যায়।
-
শব্দ তরঙ্গ প্রতিফলন (Reflection), প্রতিসরণ (Refraction) এবং উপরিপাতন (Diffraction) ঘটাতে সক্ষম।
-
শব্দ তরঙ্গের এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে আমরা প্রতিধ্বনি শুনতে পাই এবং বাদ্যযন্ত্রের সুর ভিন্নভাবে অনুভব করি।
0
Updated: 2 weeks ago
তরঙ্গের বেগ (v) নির্ণয় করার সূত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
v = λ × f × T
B
v = λ × T
C
v = λ / T
D
v = T / λ
-
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (λ): তরঙ্গ সৃষ্টিকারী কণার একটি পূর্ণ স্পন্দনের সময় তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে, সেটিকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলা হয়।
-
পর্যায়কাল (T): কণার একটি পূর্ণ স্পন্দনের সময়।
-
এক সেকেন্ডে তরঙ্গের অতিক্রান্ত দূরত্বকে বলা হয় তরঙ্গের বেগ (v)।
যেখানে,
-
= তরঙ্গ দৈর্ঘ্য
-
= পর্যায়কাল
-
= কম্পাঙ্ক
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago