A
মিথেন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
কার্বন মনোক্সাইড
D
সালফার ডাই-অক্সাইড
উত্তরের বিবরণ
জ্বালানি বিশুদ্ধ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য উভয়ের জন্য বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ সৃষ্টি হয়। জীবাশ্ম জ্বালানির দহন সাধারণত কার্বন ডাই-অক্সাইড, পানি ও তাপ উৎপন্ন করে, কিন্তু স্বল্প বায়ুতে দহন হলে কিছু পরিমাণ কার্বন মনোক্সাইড (CO) উৎপন্ন হয়, যা একটি বিষাক্ত নীরব ঘাতক গ্যাস।
-
কার্বন মনোক্সাইডের প্রভাব: স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
-
কয়লার বর্জ্য উপাদান: সালফার ও নাইট্রোজেন যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। দহনের সময় সালফার সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂) এবং নাইট্রোজেন বিভিন্ন নাইট্রোজেন অক্সাইড যৌগ হিসেবে বায়ুতে মিশে থাকে।
-
এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি: SO₂ জলীয় বাষ্পের সাথে যুক্ত হয়ে সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন করে, আর নাইট্রোজেন অক্সাইড জলীয় বাষ্পের সাথে যুক্ত হয়ে নাইট্রিক এসিড ও নাইট্রাস এসিড উৎপন্ন করে, যা এসিড বৃষ্টি ঘটায়।
-
জ্বালানিতে টেট্রাইথাইল লেড (TEL): ইঞ্জিনের নকিং কমানোর জন্য মিশ্রিত করা হয়। এর দহনের ফলে লেড অক্সাইড (PbO) এবং লেড ডাই অক্সাইড (PbO₂) তৈরি হয়, যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
-
যানবাহনের বর্জ্য ধোঁয়া: কালো ধোঁয়ার মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড (CO), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) এবং অদগ্ধ জ্বালানি যেমন মিথেন বায়ুতে মিশে থাকে।
-
ফটোকেমিক্যাল ধোঁয়া: সূর্যালোকের উপস্থিতিতে বর্জ্য উপাদান পরিবর্তিত হয়ে তৈরি হয় বিষাক্ত ধোঁয়া, যা ওজোন স্তর ক্ষয় করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখে।
এই সব বিষয় বিবেচনা করে পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত বিশুদ্ধ জ্বালানি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

0
Updated: 18 hours ago
ইথানল জীবাশ্ম জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কী ধরনের ইঞ্জিনে প্রয়োগ করা হয়?
Created: 5 days ago
A
বাষ্প ইঞ্জিন
B
বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিন
C
তাপ ইঞ্জিন
D
হাইড্রোলিক ইঞ্জিন
জ্বালানি হিসেবে ইথানলের ব্যবহার:
-
ইথানলের অপর নাম ইথাইল অ্যালকোহল।
-
রাসায়নিক সংকেত: CH3-CH2-OH।
-
জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন: কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রল প্রভৃতির মতো ইথানলও পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়।
-
তাই জীবাশ্ম জ্বালানির মতো ইথানলকেও তাপ ইঞ্জিনে ব্যবহার করে কলকারখানা, গাড়ি, বিমান, জাহাজ প্রভৃতি চালানো যায়।
-
উত্তর আমেরিকাসহ অনেক দেশে জীবাশ্ম জ্বালানির সাথে ইথানল মিশিয়ে তাপ ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়।
-
যুক্তরাষ্ট্রে সব গাড়িতে পেট্রলের সাথে শতকরা ১০ ভাগ ইথানল মিশিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
-
তাই ইথানলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করলে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর চাপ কমে।
উৎস: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 5 days ago
নিচের কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়?
Created: 1 week ago
A
প্রাকৃতিক গ্যাস
B
বায়োগ্যাস
C
কয়লা
D
তরল পেট্রোলিয়াম
জ্বালানি ও জীবাশ্ম জ্বালানি
জ্বালানি:
যে সব পদার্থ থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচুর তাপশক্তি উৎপাদিত হয়, সেগুলোকে জ্বালানি বলা হয়।
জ্বালানিই তাপশক্তির প্রধান উৎস।
জীবাশ্ম জ্বালানি:
কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও তরল পেট্রোলিয়াম হলো জীবাশ্ম জ্বালানি।
এগুলো প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর উচ্চ চাপ ও তাপে পরিবর্তিত হয়ে তৈরি হয়।
অন্যদিকে:
বায়োগ্যাস জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, কারণ এটি পুনঃনবীকরণযোগ্য জ্বালানি উৎস।
এটি সাম্প্রতিক জৈব পদার্থের পচন থেকে উৎপন্ন হয়, যা স্বল্প সময়ে পুনরায় উৎপাদনযোগ্য।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
বর্তমানে পৃথিবীর মোট ব্যবহৃত শক্তির কত ভাগ নবায়নযোগ্য?
Created: 5 days ago
A
অর্ধেকের বেশি
B
দুই ভাগের এক ভাগ
C
পাঁচ ভাগের এক ভাগ
D
দশ ভাগের এক ভাগ
শক্তির উৎস:
- শক্তির উৎস প্রধানত দুই প্রকার।
যথা-
১। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
- বর্তমানে পৃথিবীর সব মানুষ যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করে তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তি।
- নবায়নযোগ্য শক্তি হলো এমন এক শক্তির উৎস যা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং এর ফলে শক্তির উৎসটি নিঃশেষ হয়ে যায় না।
- নবায়নযোগ্য শক্তি পরিবেশ বান্ধব এবং এই শক্তিকে গ্রীন শক্তিও বলা হয়।
যেমন- সমুদ্রস্রোত, বায়োগ্যাস, বায়ুপ্রবাহ, সৌর শক্তি, ভূ-তাপীয় শক্তি ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।
২। অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
- অন্যদিকে অনবায়নযোগ্য শক্তিকে পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।
- প্রকৃতিতে অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস সীমিত।
- আমাদের দেশে চাহিদার তুলনায় অনবায়নযোগ্য শক্তির মজুদের পরিমাণ খুব বেশি নয়।
- অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদনের খরচ বেশি এবং এটি অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব নয়।
যেমন- কয়লা, খনিজ তেল, নিউক্লিয় শক্তি, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।

0
Updated: 5 days ago