A
বিকিরণ
B
পরিচলন
C
রাসায়নিক
D
পরিবহন
উত্তরের বিবরণ
তাপ বিকিরণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সূর্যসহ যেকোনো উত্তপ্ত বস্তু মাধ্যম ছাড়াই তাপ ছড়িয়ে দেয়। এ প্রক্রিয়ায় তাপ তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয় এবং গরম স্থান থেকে ঠাণ্ডা স্থানে পৌঁছে যায়।
-
সূর্য হলো তাপের প্রধান উৎস।
-
সূর্য থেকে তাপ পৃথিবীতে আসে বিকিরণের মাধ্যমে।
-
যেখানে কোনো জড় মাধ্যম নেই, সেখানে তাপ সঞ্চালনের একমাত্র উপায় হলো বিকিরণ।
-
তাপ মূলত এক ধরনের তরঙ্গ, যা মাধ্যম ছাড়াই উত্তপ্ত স্থান থেকে শীতল স্থানে যেতে সক্ষম।
-
বিকিরণ প্রক্রিয়ার সময় তাপ তরঙ্গ আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
-
যেকোনো উত্তপ্ত বস্তু বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ নির্গত করে।
-
কিছু পদার্থ সহজে তাপ বিকিরণ করতে পারে, এদেরকে বলা হয় বিকিরক। বিকিরক পদার্থ তাপ বিকিরণ করে ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং একই সঙ্গে তাপ শোষণও করতে পারে।
-
আবার কিছু পদার্থ তাপ সহজে শোষণ করে নেয়, এদেরকে বলা হয় শোষক। শোষক পদার্থ তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়।
-
পানি, জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, কাঁচ, প্লাস্টিক ইত্যাদি পদার্থ তাপ শোষণকারী হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 19 hours ago
মানুষের শ্রাব্যতার সীমা কোন কম্পাঙ্কের মধ্যে?
Created: 1 week ago
A
10 Hz – 10,000 Hz
B
100 Hz – 30,000 Hz
C
50 Hz – 15,000 Hz
D
20 Hz – 20,000 Hz
শ্রাব্যতার সীমা, শব্দেতর ও শব্দোত্তর তরঙ্গ
শব্দের উৎস:
শব্দের উৎস হলো যেকোনো বস্তুর কম্পন।
শ্রাব্যতার সীমা:
কম্পন হলেই শব্দ শোনা যাবে তা নয়। মানুষের শ্রবণযন্ত্রের সীমাবদ্ধতা থাকে।
মানুষ সাধারণত ২০ Hz থেকে ২০,০০০ Hz কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পারে।
এই সীমার মধ্যে থাকা শব্দকে বলা হয় শ্রাব্য শব্দ।
শব্দেতর ও শব্দোত্তর তরঙ্গ:
শব্দেতর তরঙ্গ (Infrasonic Wave): ২০ Hz-এর নিচের কম্পাঙ্কের তরঙ্গ।
শব্দোত্তর তরঙ্গ (Ultrasonic Wave): ২০,০০০ Hz-এর উপরের কম্পাঙ্কের তরঙ্গ।
লক্ষণীয় বিষয়:
সব মানুষের শ্রাব্যতার ক্ষমতা সমান নয়।
ব্যক্তি ভেদে শ্রাব্যতার সীমা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
কোনটি থেকে শব্দ তরঙ্গ উৎপন্ন হয়?
Created: 1 week ago
A
বস্তুর কম্পন
B
মাধ্যমের অপসারণ
C
মাধ্যমের প্রসারণ
D
বস্তুর প্রসারণ
শব্দ তরঙ্গ (Sound Wave)
শব্দ তরঙ্গ হলো যান্ত্রিক তরঙ্গ, কারণ এটি বস্তু বা মাধ্যমের কম্পনের মাধ্যমে সৃষ্ট হয়।
মাধ্যম: শব্দের চলাচলের জন্য স্থিতিস্থাপক মাধ্যম প্রয়োজন।
ধরন: শব্দ তরঙ্গ হলো অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ (Longitudinal Wave), কারণ তরঙ্গের প্রবাহের দিক এবং কণার কম্পনের দিক একই।
শক্তি ও তথ্য: শব্দ তরঙ্গ শক্তি এবং তথ্য সঞ্চারণ করে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
তরঙ্গের বিস্তার বেশি হলে শব্দের তীব্রতা কেমন হবে?
Created: 19 hours ago
A
বেশি হবে
B
কম হবে
C
অপরিবর্তনশীল থাকবে
D
কোনোটিই নয়
শব্দ হলো একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ, যা বস্তুর কম্পনের ফলে সৃষ্টি হয় এবং এটি সঞ্চালনের জন্য একটি স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। শব্দ তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ হিসেবে কাজ করে, কারণ তরঙ্গের প্রবাহের দিক এবং কম্পনের দিক একই হয়।
-
মাধ্যম অনুযায়ী শব্দের গতি:
-
কঠিন পদার্থ: শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি, যেমন ইস্পাত, লোহা।
-
তরল পদার্থ: শব্দের গতি কম, যেমন পানি।
-
বায়বীয় পদার্থ: শব্দের গতি সর্বনিম্ন।
-
শূন্য মাধ্যম: শব্দের বেগ শূন্য।
-
-
শব্দের বেগ: মাধ্যমের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার উপর নির্ভরশীল।
-
শব্দের তীব্রতা: অন্যান্য তরঙ্গের মতো শব্দের তীব্রতা তার বিস্তারের বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ, তরঙ্গের বিস্তার বেশি হলে তীব্রতা বেশি হয় এবং বিস্তার কম হলে তীব্রতা কম হয়।

0
Updated: 19 hours ago