A
জাতিসংঘ
B
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি
C
বিশ্বব্যাংক
D
এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বব্যাংক এবং সুশাসনের ধারণা মূলত বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রবর্তিত। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহার করা হয়। একটি রাষ্ট্রে যদি সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে সেই রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক সংজ্ঞায় উল্লেখ করে, ‘সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো গভর্নেন্স।’ পরে, ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করে যে, সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি মূল স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।
-
দায়িত্বশীলতা
-
স্বচ্ছতা
-
আইনি কাঠামো
-
অংশগ্রহণ

0
Updated: 19 hours ago
নিচের কোনটি সুশাসনের উপাদান নয়?
Created: 1 week ago
A
অংশগ্রহণ
B
স্বচ্ছতা
C
নৈতিক শাসন
D
জবাবদিহিতা
সুশাসনের উপাদান
সাধারণভাবে সুশাসন বলতে এমন এক প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যা একটি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ে। একই সঙ্গে সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সমাজে ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। সুশাসনের ভিত্তি হলো নৈতিকতা ও মূল্যবোধ।
সুশাসনের প্রধান উপাদানগুলো হলো
-
গণতন্ত্র
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
স্বচ্ছতা
-
বৈধতা
-
দায়িত্বশীলতা
-
জবাবদিহিতা
-
জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
-
স্বাধীন গণমাধ্যম
-
অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া
-
আইনের শাসন
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
-
জনবান্ধব প্রশাসন
-
সততা
-
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা
-
সুশীল সমাজের ভূমিকা
-
দক্ষতা
-
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
-
বিকেন্দ্রীকরণ
-
লিঙ্গ বৈষম্যের অনুপস্থিতি
-
সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি – মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago
নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয় কী?
Created: 2 weeks ago
A
মানুষের আচরণের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা প্রদান
B
মানুষের জীবনের সফলতার দিকগুলো আলোচনা
C
সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ ব্যাখ্যা
D
সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণের আলোচনা ও মূল্যায়ন
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “ঐচ্ছিক আচরণ” বা স্বেচ্ছায় করা আচরণ। এটি মূলত মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্য ও আদর্শ নির্ধারণের বিজ্ঞান।
সহজভাবে বলতে গেলে, নীতিবিদ্যা হলো সেই বিজ্ঞান যা মানুষের আচরণের রীতিনীতি, ভালো-মন্দ, সঠিক-অসঠিক বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে।
আলোচ্য বিষয়:
নীতিবিদ্যার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করা। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেইসব কাজ বোঝায়, যা মানুষ স্বপ্রণোদিতভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে করে।
উদাহরণস্বরূপ:
উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যা সংজ্ঞায়িত করে বলেন:
"নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।"
নীতিবিদ্যার মূল চারটি ধারা:
১. পরানীতিবিদ্যা (Meta-ethics): নৈতিক ধারণা ও নীতির তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।
২. ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা (Applied ethics): বাস্তব জীবনের নৈতিক সমস্যা সমাধান।
৩. বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা (Descriptive ethics): সমাজে মানুষের আচরণ পর্যবেক্ষণ ও বর্ণনা।
৪. মানমূলক নীতিবিদ্যা (Normative ethics): কোন আচরণ সঠিক বা ভুল তা নির্ধারণ।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Encyclopaedia Britannica.

0
Updated: 2 weeks ago
কোন বছর ইউএনডিপি (UNDP) সুশাসনের সংজ্ঞা প্রবর্তন করে?
Created: 1 week ago
A
১৯৯৫
B
১৯৯৭
C
১৯৯৮
D
১৯৯৯
UNDP ও সুশাসন
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) ১৯৯৭ সালে প্রথমবার উন্নয়নশীল দেশগুলোর শাসনব্যবস্থা ও নীতি নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু করে। তখনই তারা সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
🔹 UNDP-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী:
“একটি দেশের সামগ্রিক কার্যাবলি পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তৃত্ব যে পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হয়, তাকেই সুশাসন বলা হয়।”
(Good Governance is the exercise of economic, political and administrative authority to manage a country’s affairs at all levels – UNDP, 1997)
UNDP-এর মতে সুশাসনের ৯টি মূল উপাদান
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
আইনের শাসন (Rule of Law)
-
সকলের অংশগ্রহণ (Participation)
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness)
-
সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের প্রাধান্য (Consensus Oriented)
-
সমতা (Equity)
-
ন্যায্যতা (Fairness/Effectiveness)
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
-
কৌশলগত লক্ষ্য/দূরদৃষ্টি (Strategic Vision)
উৎস: UNDP অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (1997, Governance Policy Paper)

0
Updated: 1 week ago