তাপ তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয় কোন প্রক্রিয়ায়?
A
বিকিরণ
B
পরিচলন
C
রাসায়নিক
D
পরিবহন
উত্তরের বিবরণ
তাপ বিকিরণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সূর্যসহ যেকোনো উত্তপ্ত বস্তু মাধ্যম ছাড়াই তাপ ছড়িয়ে দেয়। এ প্রক্রিয়ায় তাপ তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয় এবং গরম স্থান থেকে ঠাণ্ডা স্থানে পৌঁছে যায়।
-
সূর্য হলো তাপের প্রধান উৎস।
-
সূর্য থেকে তাপ পৃথিবীতে আসে বিকিরণের মাধ্যমে।
-
যেখানে কোনো জড় মাধ্যম নেই, সেখানে তাপ সঞ্চালনের একমাত্র উপায় হলো বিকিরণ।
-
তাপ মূলত এক ধরনের তরঙ্গ, যা মাধ্যম ছাড়াই উত্তপ্ত স্থান থেকে শীতল স্থানে যেতে সক্ষম।
-
বিকিরণ প্রক্রিয়ার সময় তাপ তরঙ্গ আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
-
যেকোনো উত্তপ্ত বস্তু বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ নির্গত করে।
-
কিছু পদার্থ সহজে তাপ বিকিরণ করতে পারে, এদেরকে বলা হয় বিকিরক। বিকিরক পদার্থ তাপ বিকিরণ করে ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং একই সঙ্গে তাপ শোষণও করতে পারে।
-
আবার কিছু পদার্থ তাপ সহজে শোষণ করে নেয়, এদেরকে বলা হয় শোষক। শোষক পদার্থ তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়।
-
পানি, জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, কাঁচ, প্লাস্টিক ইত্যাদি পদার্থ তাপ শোষণকারী হিসেবে কাজ করে।
0
Updated: 1 month ago
শব্দের তীব্রতা কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
তাপমাত্রার সঙ্গে সমানুপাতিক
B
তরঙ্গের প্রস্থের সঙ্গে সমানুপাতিক
C
তরঙ্গের বিস্তারের বর্গের সঙ্গে সমানুপাতিক
D
তরঙ্গের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে সমানুপাতিক
শব্দ হলো এক ধরনের শক্তি, যা আমাদের শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে শোনার অনুভূতি সৃষ্টি করে। এটি একটি তরঙ্গাকার প্রক্রিয়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চারিত হয়, যেখানে পদার্থের কণাগুলো সামনের ও পেছনের দিকে দোলন করে শক্তি পরিবহন করে।
শব্দ তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য:
-
শব্দ হলো যান্ত্রিক এবং অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ, যা মাধ্যমের কণার স্পন্দনের দিকের সমান্তরালে অগ্রসর হয়।
-
শব্দ উৎপন্ন হয় কোনো বস্তুর কম্পনের ফলে; অর্থাৎ, কম্পনই শব্দের উৎস।
-
শব্দ তরঙ্গের সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যম (বায়ু, জল বা কঠিন পদার্থ) প্রয়োজন; শূন্যস্থানে শব্দ চলতে পারে না।
-
শব্দ তরঙ্গের বেগ নির্ভর করে মাধ্যমের প্রকৃতির উপর, যেমন—ঘনত্ব, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা।
উদাহরণস্বরূপ, শব্দের বেগ কঠিনে সর্বাধিক, তরলে কম, এবং বায়ুতে সর্বনিম্ন। -
শব্দের তীব্রতা (Intensity) তরঙ্গের বিস্তার (Amplitude)-এর বর্গের সমানুপাতিক; অর্থাৎ, বিস্তার যত বেশি, শব্দ তত জোরে শোনা যায়।
-
শব্দ তরঙ্গ প্রতিফলন (Reflection), প্রতিসরণ (Refraction) এবং উপরিপাতন (Diffraction) ঘটাতে সক্ষম।
-
শব্দ তরঙ্গের এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে আমরা প্রতিধ্বনি শুনতে পাই এবং বাদ্যযন্ত্রের সুর ভিন্নভাবে অনুভব করি।
0
Updated: 2 weeks ago
জিওফোন (Geophone) ব্যবহৃত হয়-
Created: 1 month ago
A
যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করতে
B
শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করতে
C
গর্ভের শিশুর নড়াচড়া ধরতে
D
শব্দ তরঙ্গ প্রতিফলন গ্রহণ করতে
শব্দের ব্যবহার (Usages of Sound)
শব্দের প্রচলিত ব্যবহার আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত দেখি।
-
কথা বলা, গান বা সঙ্গীত শোনা, হৃৎস্পন্দনের শব্দ শোনা, যন্ত্রপাতির শব্দ শোনা ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহারের উদাহরণ।
-
তবে শব্দের আরও অনেক বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত ব্যবহার রয়েছে। যেমন- গর্ভে থাকা নবজাতক দেখা, মাটির নিচে তেল বা গ্যাসের উপস্থিতি নির্ণয় ইত্যাদি।
১. ত্রিমাত্রিক সিসমিক সার্ভে (3D Seismic Survey):
-
মাটির নিচে তেল বা গ্যাস আছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য সিসমিক সার্ভে করা হয়।
-
প্রক্রিয়া: মাটির কিছু অংশে ছোট বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের শব্দ মাটির নিচের বিভিন্ন স্তরে প্রতিফলিত হয়ে উপরে ফিরে আসে।
-
প্রতিফলিত তরঙ্গগুলো ধরা হয় জিওফোন (Geophone) নামের বিশেষ রিসিভারের মাধ্যমে।
-
প্রতিটি প্রতিফলন এবং সময় ব্যবধান বিশ্লেষণ করে মাটির নিচের নিখুঁত ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরি করা হয়।
-
যেহেতু শব্দের উৎস এবং জিওফোনের অবস্থান জানা থাকে, তাই উৎস থেকে রিসিভারে শব্দ পৌঁছতে কত সময় লেগেছে তা দিয়ে বিভিন্ন স্তরের দূরত্ব নির্ণয় করা যায়।
২. আলট্রাসাউন্ড ক্লিনার (Ultrasound Cleaner):
-
ল্যাবরেটরিতে ছোট যন্ত্রপাতি নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করতে আলট্রাসাউন্ড ক্লিনার ব্যবহার করা হয়।
-
প্রক্রিয়া: যন্ত্রপাতি একটি তরলে ডুবানো হয় এবং সেখানে আলট্রাসাউন্ড তরঙ্গ প্রবাহিত করা হয়।
-
আলট্রাসাউন্ডের কম্পনের ফলে যন্ত্রপাতির ভেতরের সব ধুলো ও ময়লা বের হয়ে আসে।
0
Updated: 1 month ago
তরঙ্গের বেগ (v) নির্ণয় করার সূত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
v = λ × f × T
B
v = λ × T
C
v = λ / T
D
v = T / λ
-
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (λ): তরঙ্গ সৃষ্টিকারী কণার একটি পূর্ণ স্পন্দনের সময় তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে, সেটিকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলা হয়।
-
পর্যায়কাল (T): কণার একটি পূর্ণ স্পন্দনের সময়।
-
এক সেকেন্ডে তরঙ্গের অতিক্রান্ত দূরত্বকে বলা হয় তরঙ্গের বেগ (v)।
যেখানে,
-
= তরঙ্গ দৈর্ঘ্য
-
= পর্যায়কাল
-
= কম্পাঙ্ক
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago