A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
ইতিবাচক মূল্যবোধ
C
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
D
নৈতিক মূল্যবোধ
উত্তরের বিবরণ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হলো সেই চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য ও সংকল্প যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানুষের দৈনন্দিন আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে।
এই মূল্যবোধ নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহনশীলতা এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থের উপরে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।
-
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিকদের অন্যের মতামত ও মনোভাবকে শ্রদ্ধা করতে হয়।
-
রাষ্ট্রের নাগরিকরা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠী স্বার্থ ও দলীয় স্বার্থকে বিসর্জন দিতে বাধ্য।
-
নাগরিকরা পারস্পরিক সুখ ও দুঃখে একত্রে সমর্থন ও সহায়তা প্রদর্শন করে।
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রাষ্ট্র, সরকার ও বিভিন্ন গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত।
-
এর ভিত্তি উদারতাবাদ।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রভাব:
-
রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধের বিকাশ।
-
রাজনৈতিক সহনশীলতা ও পরমতসহিষ্ণুতা।
-
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যালঘিষ্ঠের শ্রদ্ধা এবং সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ।
-
বিরোধী মত প্রকাশ ও প্রসারের সুযোগ প্রদান।
-
নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার মানসিকতা গঠন।
-
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রাষ্ট্র, সরকার ও গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত এবং এটি ইতিবাচক বা সামাজিক মূল্যবোধ থেকে পৃথক, কারণ সামাজিক মূল্যবোধ দেশ বা সমাজ অনুযায়ী ভিন্ন রূপে প্রকাশ পায়।

0
Updated: 19 hours ago
সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি কী?
Created: 2 weeks ago
A
আইনের শাসন
B
নৈতিকতা
C
সাম্য
D
উপরের সবগুলো
সামাজিক মূল্যবোধ ও এর ভিত্তি
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষের সেই চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য ও অভ্যাস, যা তাদের সামাজিক আচরণ ও কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। সহজভাবে বলতে গেলে, সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষকে সমাজের কল্যাণে কাজ করতে প্রেরণা দেয় এমন নীতিমালা ও আচরণবিধি।
ফ্রান্সিস ই. মেরিল অনুযায়ী,
“সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষের দলগত কল্যাণের জন্য এমন আচরণ বজায় রাখা, যা তারা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।”
উদাহরণস্বরূপ, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, শিষ্টাচার, বড়দের সম্মান, সহনশীলতা, দানশীলতা ও আতিথেয়তা সামাজিক মূল্যবোধের অংশ।
সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি বা উপাদান
সামাজিক মূল্যবোধ গঠনে যে মৌলিক ভিত্তিগুলো কাজ করে তা হলো:
-
আইনের শাসন: সমাজে আইন মেনে চলা।
-
নৈতিকতা: সঠিক ও ভুলের পার্থক্য বোঝা।
-
সাম্য: সকলের মধ্যে সমতা ও সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
-
ন্যায়বিচার: অন্যের প্রতি ন্যায়পরায়ণ আচরণ।
-
ঔচিত্যবোধ: সামাজিক ও নৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক আচরণ।
-
শৃঙ্খলাবোধ: নিয়ম এবং কর্তব্য মানা।
-
সহনশীলতা ও সহমর্মিতা: অন্যের অনুভূতি ও দুর্দশা বুঝতে পারা।
-
শ্রমের মর্যাদা: পরিশ্রমকে সম্মান করা।
-
নাগরিক চেতনা ও কর্তব্যবোধ: সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ।
মূল্যবোধের শ্রেণিবিভাগ
মূল্যবোধকে বিভিন্ন দিক থেকে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়:
-
সামাজিক মূল্যবোধ
-
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
-
ধর্মীয় মূল্যবোধ
-
সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
-
আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ
-
আধুনিক মূল্যবোধ
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 2 weeks ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য হলো -
Created: 4 days ago
A
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
B
নিজের অধিকার ভোগ করা
C
সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা
D
নিয়মিত কর প্রদান করা
সুশাসন
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিক শুধু অধিকার ভোগ করবে এমন নয়, বরং তার বিনিময়ে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যও পালন করতে হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠা কেবল সরকারের একার কাজ নয়, বরং জনগণেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কারণ, যদি জাতি কর্তব্যবিমুখ হয় তবে তারা কখনোই উন্নতি করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব হয় না।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি নাগরিকের কিছু মৌলিক কর্তব্য রয়েছে, যেমন:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন।
-
আইন মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেওয়া।
-
নিয়মিত কর পরিশোধ করা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা।
-
সন্তানদের সঠিক শিক্ষা প্রদান।
-
দেশের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা।
-
আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করা।
-
সর্বদা সচেতন ও সজাগ থাকা।
-
সংবিধান মেনে চলা।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তরিক হওয়া।
-
উদার ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করা।
➡️ সারসংক্ষেপে বলা যায়: সুশাসন কেবল সরকারের প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্ভব নয়, বরং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই এটি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 4 days ago
সভ্যতার অন্যতম প্রতিচ্ছবি হলাে -
Created: 19 hours ago
A
সুশাসন
B
রাষ্ট্র
C
নৈতিকতা
D
সমাজ
সভ্যতা হলো উন্নত জীবনধারা এবং সংস্কৃতির উচ্চতর রূপ, যা বিভিন্ন সমাজে বিভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। এটি কেবল সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ নয়, বরং প্রযুক্তি, বস্তুগত সংস্কৃতি এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সমষ্টিও বর্ণনা করে। সভ্যতার ধারণা বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীর মতে ভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে:
-
ম্যাকাইভার ও পেজের মতে, আমরা যা তা হলো সংস্কৃতি, এবং আমরা যা ব্যবহার করি তা হলো সভ্যতা।
-
স্কটের মতে, সভ্যতা একটি উচ্চতর জটিল বিষয়, যা সংস্কৃতির সাথে আপেক্ষিকভাবে তুলনা করা হয়।
-
বটোমোরের মতে, সভ্যতা হলো নির্দিষ্ট মানবগোষ্ঠীর অভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসমূহের সমন্বয়।
-
জেরি ও জেরি অনুযায়ী, সভ্যতা সংস্কৃতির উন্নত রূপ, যেমন: কেন্দ্রীয় সরকার, শিল্পকলা ও শিক্ষার উন্নয়ন, নীতি-নৈতিকতার সমন্বিত রূপ, যা নগর এবং বৃহত্তর সমাজের সাথে সম্পর্কিত।
সব মিলিয়ে, সভ্যতা হলো সংস্কৃতির উন্নত রূপ এবং সমাজের অগ্রগতি ও জটিলতার প্রতিফলন। সমাজের বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা সভ্যতার প্রকৃতি ও গুরুত্ব সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারি।

0
Updated: 19 hours ago