A
শিক্ষার মাধ্যমে
B
সুশাসনের মাধ্যমে
C
ধর্মের মাধ্যমে
D
গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনার জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতি, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। মূল্যবোধ মূলত মানুষের আচরণের মাধ্যমে বিকশিত হয় এবং শিক্ষার মাধ্যমে আরও সুদৃঢ় করা যায়। জন্মের পর থেকেই মানুষ মূল্যবোধের শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে, যা জীবনব্যাপী চলতে থাকে, যদিও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই শিক্ষার ধরণ ও প্রভাব পরিবর্তিত হতে পারে।
শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো মূল্যবোধ অর্জন, যা জ্ঞানার্জন ও শিক্ষার মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়। মানুষের শিক্ষাজীবনকে ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের সর্বোত্তম সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মূল্যবোধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় আচরণের মাধ্যমে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করা যায়।
-
পরিবার হলো মূল্যবোধ শিক্ষার প্রাথমিক উৎস।
-
বিদ্যালয় হলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মূল্যবোধ শিক্ষার প্রধান উৎস।
-
মানুষের জন্মকাল থেকে শুরু হওয়া মূল্যবোধ শিক্ষা আমৃত্যু চলতে থাকে।
-
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরন ও প্রভাব পরিবর্তিত হয়।
-
শিক্ষাজীবন ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময় হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 19 hours ago
সুশাসনের পথে অন্তরায় -
Created: 2 weeks ago
A
আইনের শাসন
B
জবাবদিহিতা
C
স্বজনপ্রীতি
D
ন্যায়পরায়ণতা
সুশাসনের পথে স্বজনপ্রীতির প্রভাব
সুশাসন হলো সমাজে শাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এর অর্থ হলো শাসনযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিকভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পরিচালনা করা।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। এগুলো ছাড়া দুর্নীতি রোধ করা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
সুশাসন নিশ্চিত করতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ এবং ই-গভর্ন্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা এবং স্বেচ্ছাচারিতা হলো সুশাসনের প্রধান বাধা। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, দুর্নীতি সুশাসনের বড় অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ কাকে বলা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
রাজনীতি
B
বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়
C
সংবাদ মাধ্যম
D
যুবশক্তি
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমকে “চতুর্থ স্তম্ভ” বলা হয়। কারণ, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজে সত্য ঘটনা তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করে তোলে।
তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না হয়, কিংবা যদি কোনো স্বার্থে অসত্য বা ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো হয়, তবে তা জাতি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতামত:
-
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা থমাস জেফারসন একবার বলেছিলেন—
“আমাকে যদি বিকল্প দেওয়া হয়— সংবাদপত্রবিহীন সরকার, নাকি সরকারবিহীন সংবাদপত্র— তবে আমি দ্বিতীয়টিই বেছে নেব।” -
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন—
“চারটি আক্রমণাত্মক সংবাদপত্র হাজার বেয়নেটের চেয়েও ভয়ংকর।” -
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, যেখানে স্বাধীন গণমাধ্যম থাকে, সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার সুযোগ থাকে না।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান স্তম্ভসমূহ:
সংবাদমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও, মূলত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। এগুলো হলো—
১. আইন বিভাগ
২. শাসন বিভাগ
৩. বিচার বিভাগ
এই তিনটি স্তম্ভ একে অপরকে ভারসাম্য বজায় রেখে শাসনকার্য পরিচালনায় সহায়তা করে।
উৎস: কালের কণ্ঠ, ১০ জানুয়ারি ২০১৮, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago
সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো -
Created: 4 days ago
A
গণতন্ত্র
B
বিচার ব্যবস্থা
C
সংবিধান
D
আইনের শাসন
আইনের শাসন
আইনের শাসন বলতে বোঝায় যে, সমাজের সকল নাগরিকের জন্য আইন সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। অন্য কথায়, আইন সকলের জন্য সমান ও ন্যায়সংগত হবে।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে সমাজে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য কমে যায়। এর ফলে সমাজে স্থিতিশীলতা আসে এবং শান্তি বিরাজ করে। নাগরিকরা তাদের অধিকার কেবল আইন অনুযায়ী সুরক্ষিত ও বাস্তবায়ন করতে পারে।
অন্যদিকে, আইনের শাসন না থাকলে সমাজে ধনী ও গরিব, শক্তিশালী ও দুর্বলের মধ্যে বৈষম্য বাড়ে। এছাড়াও, মায়া, সহমর্মিতা, ন্যায় ও নীতি-আদর্শের অবনতি ঘটে। সুতরাং, সভ্য ও সমৃদ্ধ সমাজের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 4 days ago