মূল্যবোধ দৃঢ় হয়-
A
শিক্ষার মাধ্যমে
B
সুশাসনের মাধ্যমে
C
ধর্মের মাধ্যমে
D
গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনার জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতি, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। মূল্যবোধ মূলত মানুষের আচরণের মাধ্যমে বিকশিত হয় এবং শিক্ষার মাধ্যমে আরও সুদৃঢ় করা যায়। জন্মের পর থেকেই মানুষ মূল্যবোধের শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে, যা জীবনব্যাপী চলতে থাকে, যদিও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই শিক্ষার ধরণ ও প্রভাব পরিবর্তিত হতে পারে।
শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো মূল্যবোধ অর্জন, যা জ্ঞানার্জন ও শিক্ষার মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়। মানুষের শিক্ষাজীবনকে ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের সর্বোত্তম সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মূল্যবোধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় আচরণের মাধ্যমে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করা যায়।
-
পরিবার হলো মূল্যবোধ শিক্ষার প্রাথমিক উৎস।
-
বিদ্যালয় হলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মূল্যবোধ শিক্ষার প্রধান উৎস।
-
মানুষের জন্মকাল থেকে শুরু হওয়া মূল্যবোধ শিক্ষা আমৃত্যু চলতে থাকে।
-
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরন ও প্রভাব পরিবর্তিত হয়।
-
শিক্ষাজীবন ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময় হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড। যার আদর্শে মানুষের ব্যবহার ও রীতিনীতি নিয়ন্ত্রিত হয় এবং সমাজে মানুষের কাজের ভালো-মন্দ বিচার করা হয়’-উক্তিটি কার ?
Created: 1 month ago
A
এম ডি স্টেইন
B
স্টুয়ার্ট সি ডড
C
এম আর উইলিয়াম
D
নিকোলাস রেসার
ল্যবোধের প্রামাণ্য সংজ্ঞা:
-
R. M. William (সমাজবিজ্ঞানী):
"মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড যার আদর্শে মানুষের আচার-ব্যবহার ও রীতি-নীতি পরিচালিত হয় এবং যার মানদণ্ডে সমাজস্থ মানুষের কার্যাবলীর ভাল-মন্দ বিচার করা হয়।" -
ফ্রাঙ্কেল:
"মূল্যবোধ হল আবেগিক ও আদর্শগত ঐক্যের বোধ।" -
মেরিল:
"সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে বিশ্বাসের এক প্রকৃতি বা ধরন, যা গোষ্ঠীগত কল্যাণ সংরক্ষণকে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।" -
শেফার:
"ভালো-মন্দ, ঠিক-বেঠিক এবং আকাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত সম্পর্কে সমাজে বিদ্যমান ধারণার নামই মূল্যবোধ।"
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে?
Created: 4 weeks ago
A
শাসন প্রক্রিয়া ও মানব উন্নয়ন
B
শাসন প্রক্রিয়া এবং সুশাসন
C
শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন
D
শাসন প্রক্রিয়া এবং নৈতিক শাসন প্রক্রিয়া
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
বিশ্বব্যাংক ১৯৯২ সালে প্রকাশিত "Governance and Development" শীর্ষক রিপোর্টে সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী,
“Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country's economic and social resources for development.” অর্থাৎ, সুশাসন হলো দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতি।
-
‘সুশাসন’ ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত একটি ধারণা।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
-
একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক সংজ্ঞায় উল্লেখ করেছে যে, সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো গভর্নেন্স।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক প্রকাশ করে যে, সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।
-
বিশ্বব্যাংক ঘোষিত সুশাসনের চারটি স্তম্ভ:
১. দায়িত্বশীলতা (Accountability)
২. স্বচ্ছতা (Transparency)
৩. আইনি কাঠামো (Rule of Law)
৪. অংশগ্রহণ (Participation)
0
Updated: 4 weeks ago
‘সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন’—এই অভিমত প্রকাশ করেছে কোন সংস্থা?
Created: 1 month ago
A
বিশ্বব্যাংক
B
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
C
ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক
D
জাতিসংঘ
সুশাসন হলো একটি প্রক্রিয়া যা রাষ্ট্র ও সমাজে ন্যায়, স্বচ্ছতা এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।
-
জাতিসংঘের মতে, সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন।
-
জাতীয় উন্নয়নে সুশাসনের উপস্থিতি সার্বিক উন্নয়নকে টেকসই উন্নয়নে রূপান্তরিত করে।
-
তাই দেশে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সুশাসন অপরিহার্য।
-
ইউএনডিপির মতে, সুশাসন সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করে।
-
বিশ্বব্যাংকের মতে, সুশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের টেকসই উন্নয়ন সাধিত হয়।
0
Updated: 1 month ago