মূল্যবোধ দৃঢ় হয়-
A
শিক্ষার মাধ্যমে
B
সুশাসনের মাধ্যমে
C
ধর্মের মাধ্যমে
D
গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনার জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতি, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। মূল্যবোধ মূলত মানুষের আচরণের মাধ্যমে বিকশিত হয় এবং শিক্ষার মাধ্যমে আরও সুদৃঢ় করা যায়। জন্মের পর থেকেই মানুষ মূল্যবোধের শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে, যা জীবনব্যাপী চলতে থাকে, যদিও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই শিক্ষার ধরণ ও প্রভাব পরিবর্তিত হতে পারে।
শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো মূল্যবোধ অর্জন, যা জ্ঞানার্জন ও শিক্ষার মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়। মানুষের শিক্ষাজীবনকে ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের সর্বোত্তম সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মূল্যবোধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় আচরণের মাধ্যমে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করা যায়।
-
পরিবার হলো মূল্যবোধ শিক্ষার প্রাথমিক উৎস।
-
বিদ্যালয় হলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মূল্যবোধ শিক্ষার প্রধান উৎস।
-
মানুষের জন্মকাল থেকে শুরু হওয়া মূল্যবোধ শিক্ষা আমৃত্যু চলতে থাকে।
-
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরন ও প্রভাব পরিবর্তিত হয়।
-
শিক্ষাজীবন ব্যক্তিগত মূল্যবোধ অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময় হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
কোন মূল্যবোধ রাষ্ট্র, সরকার ও গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত?
Created: 1 month ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
ইতিবাচক মূল্যবোধ
C
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
D
নৈতিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হলো সেই চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য ও সংকল্প যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানুষের দৈনন্দিন আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে।
এই মূল্যবোধ নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহনশীলতা এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থের উপরে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।
-
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিকদের অন্যের মতামত ও মনোভাবকে শ্রদ্ধা করতে হয়।
-
রাষ্ট্রের নাগরিকরা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠী স্বার্থ ও দলীয় স্বার্থকে বিসর্জন দিতে বাধ্য।
-
নাগরিকরা পারস্পরিক সুখ ও দুঃখে একত্রে সমর্থন ও সহায়তা প্রদর্শন করে।
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রাষ্ট্র, সরকার ও বিভিন্ন গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত।
-
এর ভিত্তি উদারতাবাদ।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রভাব:
-
রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধের বিকাশ।
-
রাজনৈতিক সহনশীলতা ও পরমতসহিষ্ণুতা।
-
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যালঘিষ্ঠের শ্রদ্ধা এবং সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ।
-
বিরোধী মত প্রকাশ ও প্রসারের সুযোগ প্রদান।
-
নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার মানসিকতা গঠন।
-
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রাষ্ট্র, সরকার ও গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত এবং এটি ইতিবাচক বা সামাজিক মূল্যবোধ থেকে পৃথক, কারণ সামাজিক মূল্যবোধ দেশ বা সমাজ অনুযায়ী ভিন্ন রূপে প্রকাশ পায়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কত সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
২০১০
B
২০১১
C
২০১২
D
২০১৩
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকার কর্তৃক প্রণীত একটি কাঠামোবদ্ধ পরিকল্পনা, যা নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সততা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
এই কৌশল নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অংশীদারের ভূমিকা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে এবং শুদ্ধাচারকে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
-
স্লোগান: সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়
-
প্রণয়ন: বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে এই কৌশল গ্রহণ করেছে
-
লক্ষ্য: দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা
-
ভূমিকা: রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অংশীদারদের দায়িত্ব নির্ধারণ
-
গ্রহণকারী: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
-
শুদ্ধাচারের সংজ্ঞা: নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা
শুদ্ধাচারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় এবং সমাজে অনাচার হ্রাস পায়। ব্যক্তি পর্যায়ে এটি কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা এবং চরিত্রনিষ্ঠার প্রকাশ। নাগরিকরা রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
শুদ্ধাচারের প্রচলন হলে দুর্নীতি হ্রাস পায়, জনগণ অন্যায় কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনাচার কমে।
0
Updated: 1 month ago
সামাজিক অবক্ষয় বলতে নিম্নের কোনটি বোঝায়?
Created: 4 weeks ago
A
অর্থনৈতিক উন্নতির অভাব
B
মূল্যবোধের অনুপস্থিতি
C
রাজনৈতিক অস্থিরতা
D
শিক্ষার অভাব
সামাজিক অবক্ষয় হলো সামাজিক মূল্যবোধের অনুপস্থিতি বা হ্রাস, যা সমাজের নিয়ম, রীতি ও অনুমোদিত আচরণের অবনতি নির্দেশ করে। এটি সমাজে নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং সামাজিক সহমর্মিতার অভাব সৃষ্টি করে। সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ এবং বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব এবং অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়।
-
এই মূল্যবোধের অবনতি বা দুর্বলতাকেই সামাজিক অবক্ষয় বলা হয়।
-
আইনের শাসনের দুর্বলতা, মানুষের সহনশীলতার অভাব এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশ সামাজিক অবক্ষয়ের মূল কারণ।
-
ধর্মীয় অপব্যাখ্যা মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করতে পারে; উদাহরণস্বরূপ, মনগড়া ফতোয়াজারির মাধ্যমে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করা।
-
তাই আইনের শাসন সামাজিক অবক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য:
-
সামাজিক মাপকাঠি
-
যোগসূত্র ও সেতুবন্ধন
-
নৈতিক প্রাধান্য
-
বিভিন্নতা
-
আপেক্ষিকতা ও পরিবর্তনশীলতা
-
নৈর্ব্যক্তিকতা
-
0
Updated: 4 weeks ago