A
প্রজ্ঞা, সাহস, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ন্যায়
B
অপ্রত্যয়, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ
C
সুখ, ভালোত্ব ও প্রেম
D
প্রজ্ঞা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, সুখ ও ন্যায়
উত্তরের বিবরণ
সদ্গুণ বা Virtue হল মানুষের চরিত্রের সেই গুণাবলি যা তার উৎকর্ষতা বা উৎকৃষ্টতা প্রকাশ করে। Virtue শব্দটির আভিধানিক অর্থ Excellence। মানুষের চরিত্রে যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য তার উৎকর্ষতা প্রমাণ করে, সেগুলোকেই সদ্গুণ বলা হয়।
-
প্লেটো চারটি প্রধান সদ্গুণ (Cardinal Virtues) উল্লেখ করেছেন: প্রজ্ঞা, সাহস, মিতাচার ও ন্যায়।
-
এই চারটির মধ্যে ন্যায়কে তিনি রাষ্ট্র ও ব্যক্তি উভয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সদ্গুণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
ব্যক্তি বা রাষ্ট্রে যখন অন্য তিনটি সদ্গুণ উপস্থিত থাকে, তখনই ন্যায়ের উদয় ঘটে।
-
এই নীতি অনুসরণ করলে মানুষের মধ্যে যে সদ্গুণের জন্ম হয় তা শুধু মানুষের মধ্যেই নয়, অন্যান্য সকল কাজকর্ম ও জীবনের ক্ষেত্রেও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপনে সহায়ক হয়।
-
এভাবেই নৈতিকতা শুধুমাত্র ব্যক্তি বা সমাজে সীমাবদ্ধ না থেকে, আরও বিস্তৃতভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

0
Updated: 19 hours ago
একজন জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ হলো-
Created: 2 weeks ago
A
স্বাধীনতা
B
ক্ষমতা
C
কর্মদক্ষতা
D
জনকল্যাণ
জনপ্রশাসকের মৌলিক মূল্যবোধ: জনকল্যাণ
জনপ্রশাসনের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারের সাফল্য ও স্থায়িত্ব প্রধানত জনমতের উপর নির্ভরশীল। কারণ:
-
আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে সরকার জনমতের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।
-
সরকার ও শাসক জনমতকে উপেক্ষা করলে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
-
সদা সচেতন জনমত স্বেচ্ছাচার রোধ করে এবং গণতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে।
জনমতের প্রভাব সরকারের কাজকর্মে:
-
জনপ্রতিনিধি নির্বাচন ও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে জনমত মুখ্য ভূমিকা রাখে।
-
জনকল্যাণমূলক নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকার জনমতের দিকে লক্ষ্য রাখে।
-
জনমতের চাপের ফলে সরকার প্রগতিশীল ও যুগোপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
-
জনমত সরকারের প্রতি ইতিবাচক থাকলে সরকার দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে।
-
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তনেও জনমতের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 2 weeks ago
মূল্যবোধ পরীক্ষা করে -
Created: 1 week ago
A
ভাল ও মন্দ
B
ন্যায় ও অন্যায়
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলো
মূল্যবোধ
-
ইংরেজি প্রতিশব্দ: Value
-
সংজ্ঞা: মূল্যবোধ হলো এমন নীতি ও মানদণ্ড যা মানুষের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে পরিচালনা করে।
-
উৎস: পরিবার হলো মূল্যবোধের প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র, আর শিক্ষালয় হলো প্রাতিষ্ঠানিক উৎস।
-
ব্যাখ্যা: মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ তার চিন্তাভাবনা, আশা-আকাঙ্খা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাজ করে। এটি মানুষকে তার আচরণ ও কার্যকলাপে সঠিক দিশা দেখায়।
-
প্রকৃতি: মূল্যবোধ স্থায়ী নয়; সময় ও পরিবেশ অনুযায়ী এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
-
উদাহরণ: শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলাবোধ ও মানবিক আচরণ—all এগুলো মূল্যবোধের অংশ।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
যে সমস্ত চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শ মানুষের আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের সমষ্টিই মূল্যবোধ।
-
মূল্যবোধের সাহায্যে মানুষ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিকতা-অনৈতিকতা ইত্যাদি বিচার করে।
-
চিরন্তন মূল্যবোধ হলো সত্য ও ন্যায়, আর এর বিপরীতে দাঁড়ায় সার্থকতা, শঠতা, অসহিষ্ণুতা।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে?
Created: 1 week ago
A
শাসন প্রক্রিয়া ও মানব উন্নয়ন
B
শাসন প্রক্রিয়া এবং সুশাসন
C
শাসন প্রক্রিয়া এবং নৈতিক শাসন প্রক্রিয়া
D
শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
‘সুশাসন’ বা Good Governance ধারণাটি প্রথম আলোচনায় আনে বিশ্বব্যাংক।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো সুশাসন শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সেখানে বলা হয়— উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনুন্নয়নের মূল কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP মনে করে, সুশাসনের মাধ্যমে একটি দেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা
-
১৯৯২ সালে প্রকাশিত "Governance and Development" রিপোর্টে বলা হয়—
“Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country’s economic and social resources for development.”
অর্থাৎ, একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় ক্ষমতা প্রয়োগের ধরনই হলো Governance বা শাসন প্রক্রিয়া। -
আবার ১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক গভর্নেন্সকে ব্যাখ্যা করে—
“সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের প্রক্রিয়াই হলো Governance।” -
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক জানায় যে, সুশাসন মূলত চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago