প্লেটো “সদণ্ডণ” বলতে বুঝিয়েছেন-
A
প্রজ্ঞা, সাহস, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ন্যায়
B
অপ্রত্যয়, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ
C
সুখ, ভালোত্ব ও প্রেম
D
প্রজ্ঞা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, সুখ ও ন্যায়
উত্তরের বিবরণ
সদ্গুণ বা Virtue হল মানুষের চরিত্রের সেই গুণাবলি যা তার উৎকর্ষতা বা উৎকৃষ্টতা প্রকাশ করে। Virtue শব্দটির আভিধানিক অর্থ Excellence। মানুষের চরিত্রে যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য তার উৎকর্ষতা প্রমাণ করে, সেগুলোকেই সদ্গুণ বলা হয়।
-
প্লেটো চারটি প্রধান সদ্গুণ (Cardinal Virtues) উল্লেখ করেছেন: প্রজ্ঞা, সাহস, মিতাচার ও ন্যায়।
-
এই চারটির মধ্যে ন্যায়কে তিনি রাষ্ট্র ও ব্যক্তি উভয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সদ্গুণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
ব্যক্তি বা রাষ্ট্রে যখন অন্য তিনটি সদ্গুণ উপস্থিত থাকে, তখনই ন্যায়ের উদয় ঘটে।
-
এই নীতি অনুসরণ করলে মানুষের মধ্যে যে সদ্গুণের জন্ম হয় তা শুধু মানুষের মধ্যেই নয়, অন্যান্য সকল কাজকর্ম ও জীবনের ক্ষেত্রেও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপনে সহায়ক হয়।
-
এভাবেই নৈতিকতা শুধুমাত্র ব্যক্তি বা সমাজে সীমাবদ্ধ না থেকে, আরও বিস্তৃতভাবে প্রভাব বিস্তার করে।
0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে -
Created: 2 months ago
A
দুর্নীতি রোধ করা
B
সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা
C
রাজনৈতিক অবক্ষয় রোধ করা
D
সাংস্কৃতিক অবরোধ রক্ষণ করা
মূল্যবোধ শিক্ষার লক্ষ্য ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ
মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের সমাজে সঠিক আচরণ ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে সহায়তা করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করা।
সামাজিক মূল্যবোধ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষ এবং সমাজের আচরণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
-
সামাজিক মূল্যবোধের মধ্যে থাকে: শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়-বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শ্রমের মর্যাদা, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, দানশীলতা, উদারতা ইত্যাদি।
-
সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
সামাজিক অবক্ষয়:
-
সামাজিক অবক্ষয় হলো মূল্যবোধের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি।
-
সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব ও অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। যখন এই মূল্যবোধগুলো দুর্বল হয় বা নষ্ট হয়, তখন সমাজে অবক্ষয় দেখা দেয়।
-
সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে:
-
আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা
-
মানুষের সহনশীলতার অভাব
-
বিশৃঙ্খল পরিবেশ
-
ধর্মীয় বা নৈতিক ভুল ব্যাখ্যা, যেমন: কোনো বিষয়ে ভুল ফতোয়া বা নির্দেশের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করা।
-
-
তাই, আইনের শাসন ও সামাজিক নীতি মানার শিক্ষা সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১মপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
কোনটির মাধ্যমে মূল্যবোধ সুদৃঢ় হয়?
Created: 1 month ago
A
শিক্ষা
B
অর্থনীতি
C
আইন প্রয়োগ
D
রাজনীতি
শিক্ষা এবং মূল্যবোধ
-
জ্ঞানার্জন বা শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধ সুদৃঢ় হয়।
-
শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে মূল্যবোধের প্রসার ঘটে এবং মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ নৈতিকতা, ন্যায়নীতি এবং সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারে।
মূল্যবোধ
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড।
-
শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, আদর্শ ইত্যাদির বিকাশ ঘটে, যা হলো মূল্যবোধ শিক্ষা।
-
মূল্যবোধ হলো রীতিনীতি ও আদর্শের মাপকাঠি; যা সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়।
-
এটি মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি নির্ধারণ করে।
-
একটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষের অন্যতম মাপকাঠি হিসেবে মূল্যবোধ কাজ করে।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি চর্চা ব্যতীত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়?
Created: 3 weeks ago
A
ধর্ম
B
সামাজিক প্রথা
C
মূল্যবোধ শিক্ষা
D
প্রযুক্তিগত দক্ষতা
সুশাসন ও মূল্যবোধ শিক্ষা
-
মূল ধারণা: সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বচ্ছতা, ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা, মানবিকতা ও নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
মূল্যবোধ শিক্ষার ভূমিকা: এই গুণাবলী অর্জন করা যায় মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমে। এটি ব্যক্তি ও সমাজকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে, ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক।
-
সুশাসন ও মূল্যবোধের সম্পর্ক: মূল্যবোধ শিক্ষা ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ:
-
ধর্ম মানুষের নৈতিকতা গঠনে সহায়তা করতে পারে, তবে এটি সুশাসনের একমাত্র পূর্বশর্ত নয়।
-
কিছু সামাজিক প্রথা সুশাসনের সহায়ক হলেও, অনেক ক্ষেত্রে এগুলো বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে।
-
প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রশাসনিক বা কার্যকরী দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে, কিন্তু নৈতিকতা ও ন্যায়পরায়ণতা ব্যতীত সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না।
0
Updated: 3 weeks ago