মূল্যবােধের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলাে-
A
বিভিন্নতা
B
পরিবর্তনশীলতা
C
আপেক্ষিকতা
D
উপরের সবগুলােই
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড, যা সময়, স্থান ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। এটি সমাজে মানুষের আচার-ব্যবহার, চিন্তা ও জীবনযাপন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মূলত, মূল্যবোধ সামাজিকভাবে গৃহীত নীতি এবং নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে কাজ করে এবং মানুষের কর্মকাণ্ডের ভালো-মন্দ বিচার করার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হয়। মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:
-
সামাজিক মাপকাঠি:
-
মানুষের কর্মকাণ্ডের ভালো-মন্দ বিচার করার মূল ভিত্তি হলো মূল্যবোধ।
-
এটি মানুষের আচরণ, ধ্যান-ধারণা, চাল-চলন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের একটি মাপকাঠি।
-
-
যোগসূত্র ও সেতুবন্ধন:
-
মূল্যবোধ সমাজের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে।
-
একই রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান ও আদর্শের মাধ্যমে সমাজের সকলে মিলিত ও সংঘবদ্ধভাবে জীবনযাপন করে।
-
-
নৈতিক প্রাধান্য:
-
মূল্যবোধ আইন নয়, তাই এর বিরোধিতা বেআইনি নয়।
-
এটি মূলত সামাজিক নৈতিকতার অংশ।
-
সমাজে বসবাসকারী মানুষের শ্রদ্ধাবোধের কারণে মূল্যবোধকে মানুষ মান্য করে।
-
-
বিভিন্নতা:
-
দেশ, জাতি, সমাজ ও প্রকৃতিভেদে মূল্যবোধের রূপ বিভিন্ন হয়।
-
একই সমাজে স্থান, কাল ও পরিস্থিতি অনুযায়ী মূল্যবোধের পার্থক্য দেখা যায়।
-
উদাহরণস্বরূপ, পাশ্চাত্য দেশে মেয়েদের যে পোশাক গ্রহণযোগ্য, তা আমাদের দেশে সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
-
-
বৈচিত্র্য ও আপেক্ষিকতা:
-
মূল্যবোধ বৈচিত্র্যময় এবং আপেক্ষিক।
-
আজ যা মূল্যবোধ হিসেবে গৃহীত, তা ভবিষ্যতে ভিন্ন হতে পারে।
-
-
পরিবর্তনশীলতা ও নৈর্ব্যক্তিকতা:
-
মূল্যবোধের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর পরিবর্তনশীলতা।
-
সমাজ ক্রমাগত পরিবর্তিত হয় এবং এ পরিবর্তনের সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
-
অতীতের কিছু মূল্যবোধ আজ অপ্রাসঙ্গিক, যেমন বাল্যবিবাহ ও সতীদাহ প্রথা।
-
বর্তমানের কিছু মূল্যবোধ ভবিষ্যতে নাও থাকতে পারে।
-
মূল্যবোধ নৈর্ব্যক্তিক অর্থাৎ এটি ব্যক্তিস্বত্বার উপর নির্ভরশীল নয়।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কত সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
২০১০
B
২০১১
C
২০১২
D
২০১৩
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকার কর্তৃক প্রণীত একটি কাঠামোবদ্ধ পরিকল্পনা, যা নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সততা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
এই কৌশল নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অংশীদারের ভূমিকা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে এবং শুদ্ধাচারকে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
-
স্লোগান: সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়
-
প্রণয়ন: বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে এই কৌশল গ্রহণ করেছে
-
লক্ষ্য: দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা
-
ভূমিকা: রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অংশীদারদের দায়িত্ব নির্ধারণ
-
গ্রহণকারী: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
-
শুদ্ধাচারের সংজ্ঞা: নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতা
শুদ্ধাচারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় এবং সমাজে অনাচার হ্রাস পায়। ব্যক্তি পর্যায়ে এটি কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা এবং চরিত্রনিষ্ঠার প্রকাশ। নাগরিকরা রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
শুদ্ধাচারের প্রচলন হলে দুর্নীতি হ্রাস পায়, জনগণ অন্যায় কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনাচার কমে।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের পথে অন্তরায় -
Created: 2 months ago
A
আইনের শাসন
B
জবাবদিহিতা
C
স্বজনপ্রীতি
D
ন্যায়পরায়ণতা
সুশাসনের পথে স্বজনপ্রীতির প্রভাব
সুশাসন হলো সমাজে শাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এর অর্থ হলো শাসনযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিকভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পরিচালনা করা।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। এগুলো ছাড়া দুর্নীতি রোধ করা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
সুশাসন নিশ্চিত করতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ এবং ই-গভর্ন্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা এবং স্বেচ্ছাচারিতা হলো সুশাসনের প্রধান বাধা। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, দুর্নীতি সুশাসনের বড় অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
সুশাসনের ধারণাটি কেমন?
Created: 1 month ago
A
একমাত্রিক
B
দ্বিমাত্রিক
C
বহুমাত্রিক
D
কোনোটিই নয়
সুশাসন (Good Governance)
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
এর অর্থ হচ্ছে নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল প্রথম "Good Governance" শব্দটি ব্যবহার করেন।
সুশাসনের ধারণা:
-
সুশাসনের ধারণাটি বহুমাত্রিক।
-
এটি চার ধরনের ধারণা নির্মাণ করে:
১. রাজনৈতিক সুশাসন
২. সামাজিক সুশাসন
৩. অর্থনৈতিক সুশাসন
৪. সাংস্কৃতিক সুশাসন
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য:
-
সুশাসনের ধারণাটি আপেক্ষিক।
-
সুশাসন ধারণাটির উদ্ভাবক হলো বিশ্বব্যাংক।
-
বিশ্বব্যাংক প্রথম ১৯৮৯ সালে Good Governance শব্দটি ব্যবহার করে।
0
Updated: 1 month ago