A
এইচ. ডি, স্টেইন
B
জন স্মিথ
C
মিশেল ক্যামডেসাস
D
এম, ডব্লিউ, পামফ্রে
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন হলো একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রত্যাশা ও অধিকার সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যম। সুশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয় এবং সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP-এর মতে, সুশাসনের মাধ্যমেই নাগরিকরা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং তাদের অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
-
সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিকাশের জন্য সুশাসন অপরিহার্য।
-
তাত্ত্বিক মিশেল ক্যামডেসাস (Michel Camdessus) বলেছেন, 'রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক' (Good Governance is important for countries at all stages of development)।
-
জাতিসংঘের আফ্রিকা অঞ্চলের বিশেষ উপদেষ্টা ইব্রাহিম গানবারি উল্লেখ করেছেন, 'যে সমস্ত রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শুধুমাত্র সে সমস্ত দেশেই ঋণ মওকুফ করা হবে'।

0
Updated: 19 hours ago
জাতিসংঘের অভিমত অনুসারে সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো -
Created: 4 days ago
A
দারিদ্র বিমোচন
B
মৌলিক অধিকার রক্ষা
C
মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন
D
নারীদের উন্নয়ন ও সুরক্ষা
জাতিসংঘ ও সুশাসন
জাতিসংঘ ১৯৯৭ সালে “Governance and Sustainable Development” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো সুশাসনের ধারণা এবং এর গুরুত্ব জাতিসংঘের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনের মতে, সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা উন্নয়ন করা।
কারণ:
-
যখন মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়, তখন মানুষ তাদের অধিকার ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে পারে।
-
একই সময়ে, নারীর উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
-
এর ফলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটে এবং দারিদ্র্য হ্রাস পায়।
জাতিসংঘ সুশাসন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ৮টি মূল উপাদান চিহ্নিত করেছে:
-
অংশগ্রহণ
-
মতামতের প্রতি মনোযোগ
-
জবাবদিহিতা
-
স্বচ্ছতা
-
দায়বদ্ধতা
-
কার্যকরী ও দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা
-
ন্যাযতা
-
আইনের শাসন
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট

0
Updated: 4 days ago
জেরেমি বেন্থাম কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
জার্মানি
B
ফ্রান্স
C
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
D
যুক্তরাজ্য
জেরেমি বেন্থাম (Jeremy Bentham)
-
জেরেমি বেন্থাম একজন ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং আইনশাস্ত্রের তাত্ত্বিক।
-
তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক ছিলেন।
-
বেন্থামই ছিলেন উপযোগবাদের (Utilitarianism) প্রধান প্রবক্তা।
-
তিনি যে সুখবাদ প্রচার করেছিলেন তা ‘অসংযত পরসুখবাদ বা উপযোগবাদ’ (Gross Utilitarianism) নামে পরিচিত।
-
বেন্থাম মনস্তাত্ত্বিক সুখবাদ (Psychological Hedonism) ও আত্মসুখবাদ (Egoism) সমর্থন করলেও, এগুলি থেকে সাধারণ মানুষের কল্যাণ বা ‘পরসুখ’ ধারণা গ্রহণ করেছিলেন।
-
বেন্থামের উপযোগবাদের বিশেষত্ব হলো তিনি সুখের মধ্যে গুণগত পার্থক্য মানতে নারাজ ছিলেন। এজন্য এটিকে ‘অসংযত পরসুখবাদ’ বলা হয়।
-
তার একটি বিখ্যাত উক্তি হলো:
“Quantity of pleasures being equal, pushpin is as good as poetry”
অর্থাৎ, “সুখের পরিমাণ সমান হলে, সাধারণ খেলার আনন্দও কবিতা পড়ার আনন্দের সমান।” -
বেন্থাম সুখের পরিমাণ মাপার জন্য সাতটি দিক উল্লেখ করেছেন:
১. তীব্রতা (Intensity)
২. স্থায়িত্ব (Duration)
৩. নৈকট্য (Proximity)
৪. নিশ্চয়তা (Certainty)
৫. বিশুদ্ধি (Purity)
৬. উর্বরতা (Fecundity)
৭. বিস্তৃতি (Extent)
উৎসঃ Britannica

0
Updated: 1 week ago
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (Millennium Development Goals) অর্জনে সুশাসনের কোন দিকটির উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
সুশাসনের সামাজিক দিক
B
সুশাসনের অর্থনৈতিক দিক
C
সুশাসনের মূল্যবোধের দিক
D
সুশাসনের গণতান্ত্রিক দিক
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (MDG) ও সুশাসনের সামাজিক দিক
-
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (MDG) এর পূর্ণরূপ Millennium Development Goals। এগুলো মূলত বিশ্বে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০০০ সালে নির্ধারণ করা হয়।
-
৬–৮ সেপ্টেম্বর ২০০০ সালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন সম্মেলনে (UN Millennium Summit) ৮টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় এবং তা অর্জনের জন্য ১৫ বছরের সময়সীমা দেওয়া হয়।
-
এই লক্ষ্যগুলো হলো:
-
চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল
-
সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা
-
লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন
-
শিশু মৃত্যুহার হ্রাস
-
মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি
-
এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ
-
পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণ
-
উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব গঠন
-
-
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সুশাসনের গুরুত্ব
-
সুশাসন ও MDG অর্জনের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে।
-
এখানে সামাজিক দিক বলতে বোঝানো হয় জনমত গঠন, সচেতনতা বৃদ্ধি, নীতি প্রণয়ন, এবং সামাজিক জবাবদিহি।
-
এছাড়াও আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সঠিকভাবে বজায় রাখাও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
মূলত, সুশাসনের সামাজিক ও আর্থ-সামাজিক দিকের সমন্বয় MDG অর্জনের জন্য প্রয়োজন।
-
উপসংহার:
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য সফল করতে সুশাসনের সামাজিক দিককে প্রাধান্য দিতে হবে। সরাসরি বলা না হলেও, এটি MDG অর্জনের মূল ভিত্তি।
উৎস: জাতিসংঘ (United Nations)

0
Updated: 2 weeks ago